নজরুল কাব্যে রাসূলপ্রেম

মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর

।।

বেজেছে নাকাড়া, হাঁকে নকীবের তুর্য,
হুশিয়ার ইসলাম, ডুবে তব সূর্য!
জাগো ওঠ মুসলিম হাঁকো হাইদরী হাঁক।
শহীদের দিনে সব লালেলাল হয়ে যাক

ইসলাম আল্লাহ তায়ালার একমাত্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে ইসলামের অনন্য বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ইসলামের সুমহান সকল নির্দেশনাকে সর্বস্তরের লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যুগে যুগে দুনিয়ার বুকে প্রেরিত হয়েছেন অসংখ্য নবী এবং রাসূল। যাঁরা পথভোলা মানুষদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য জীবনভর কাজ করে গেছেন। সময় দিয়েছেন অকাতরে। একান্ত আপনার করে। এসকল নবীগণের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন আমাদের প্রিয় নবী রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা🙂 যে রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করা প্রতিটি মুমিনের জন্য যেমন জুরুরী ঠিক তেমনি তাঁকে ভালোবাসাও ঈমানের দাবি। রাসূল প্রেম আমাদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। সম্পদ মুমিনের বিশাল পাওয়া

রাসূলগণের প্রেমে অনুপ্রাণিত হয়েছেন কবি সাহিত্যকগণও। কবিরাও লিখেছেন কবিতা, রচিয়েছেন গান এবং সৃষ্টি করেছেন সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার। আল্লামা ইকবাল, শেখ সাদী এবং রুমীদের মতো কবিগণ রাসূল প্রেমে আকুল হয়েছেন। রচিয়েছেন সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার। রেখে গেছেন অনবদ্য রচনা সম্ভার। রাসূল প্রেমে আকুল হয়েছেন আমাদের বাঙালী কবিরাও। তারাও রচনা করেছেন সাহিত্য সম্ভার। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও পিছিয়ে নেই সেই কাতার থেকে। প্রিয় কবির রচনা থেকে তার কিছটাু তুলে ধরার প্রয়াস পাব আলোচ্য রচনায়

পৃথিবী তখন নিকষ আঁধারের তমাচ্ছন্ন আভায় নিমজ্জিত। জাহেলিয়াতের অন্ধকারে জ্ঞানশুন্য মানুষ। মানুষ তখন পশুর চেয়েও নিচে নেমে গিয়েছিল মানুষ আর পশুর মাঝে কোন ভেদাভেদ ছিল না। এমন সময় প্রয়োজন ছিল অহীর জ্ঞানের। দরকার ছিল একজন রাসূলের। আল্লাহ তায়ালা পথহারা বিপথগামী মানুষদের সুপথে নিয়ে আসার জন্য প্রেরণ করলেন নবীকুলের শিরোমণী শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা🙂 কে। তাঁর আগমনে ধন্য হলো পৃথিবী। পুলকিত হলো বিশ্বজাহানের সৃষ্টিজগত। আমাদের জাতীয় কবির ভাষায়
ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ
এলো রে দুনিয়ায়।
আয়রে সাগর আকাশ বাতাস,
দেখবি যদি আয়।

ধূলির ধরা বেহেশতে আজ
জয় করিল, দিল রে লাজ,
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।

দেখ আমিনা মায়ের কোলে
দোলে শিশু ইসলাম দোলে,
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।

আজকে যেতে পাপী তাপী
সব গুনাহের পেল মাফী
দুনিয়া হতে বেইনসাফী
জুলুম নিল বিদায়।

নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
জ্বীন পরী ফেরেশতা সালাম
জানায় নবীর পায়।

রাসূলের আগমনে আন্দোলিত হয় বিশ্বজগত। খুশির ঢল নামে সারা দুনিয়ার পরতে পরতে। ধূলির দুনিয়া সেদিন বেহেশতে পরিনত হয়েছিল। ধূসর সাহারায় নেমেছিল খুশির বান। কচি মুখে নবী গেয়েছিলেন পবিত্র শাহাদাতের বাণী। পাপ পংকিলতার ভারে নুব্জ বেইনসাফী জুলুমবাজেরাও নিয়েছিল বিদায়

পবিত্র কুরআন পরিত্যাগ করার কারণেই সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের আজ বেহাল অবস্থা। সবচেয়ে বেহাল লেজে গোবরে অবস্থা এই উপমহাদেশের মুসলমানদের। মুসলমানদের চিরকাল গোলামে পরিনত করার জন্যে তারা এদেশে তৈরি করেছিল দুধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা। একটি নৈতিক বিবর্জিত বৈষয়িক অর্থা স্যাকুলারিজম শিক্ষা, আর অন্যটি বৈষয়িক শিক্ষা বিবর্জিত মাদরাসা শিক্ষা। এদিকে ভ্রান্ত শিক্ষানীতির কারণে মাদরাসা থেকে বেরিয়ে আসছে অপূর্ণাঙ্গ জ্ঞানের অধিকারী আলেম, আর অন্যদিকে কলেজ ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আসছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষবাদী বলে সাহেব। মুসলমানদেরকে মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ইংরেজরা অত্যন্ত সুকৌশলে দুধরনের শিক্ষা পদ্ধতি চালু করে। এর ফলে ইসলামের প্রকৃত আবেদন মোল্লা সাহেবদের উভয়ের কাছেই অনুপস্থিত। উভয়ের বিভ্রান্ত। মানবতার মহান ধর্ম ইসলাম হয়েছে বিতর্কিত। আক্ষরিক অর্থে এরা দুটি ভাগে বিভক্ত হলেও প্রকৃত অর্থে উভয় দলই কিন্তু বিজাতীয়দের স্বার্থ সংরক্ষণ করছেন। আর জাতি হিসেবে মুসলমানরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছেন। আর এর মধ্যে যদি কেউ ইসলামের সঠিক বানী নিয়ে এগিয়ে আসেন, এরা তখন সাহেবদের কাছে হয়ে যান ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক। আর মোল্লাদের কাছে হয়ে যান কাফের। কবি নজরুলের ভাগ্যেও তা ঘটেছিল। কবি নজরুল ইসলাম গানে, কবিতায়, গল্পেউপন্যাসে, প্রবন্ধেনিবন্ধে বক্তৃতায় চেষ্টা করেছেন এই অধঃপতিত পরাধীন অনৈক্য বিভ্রান্ত মুসলমানদের জাগাতে। মহানবী (সা🙂 সর্ব যুগের সর্বকালের মহামানব। তিনি এসেছিলেন মিথ্যার উপর সত্যের বিজয় নিশ্চিত করতে। জুলুম সরিয়ে ইনসাফ কায়েম করে দেখাতে। শান্তি সভ্যতার বুনিয়াদ গড়ে তুলতে। মানবতার সুমহান কল্যাণে আল্লাহ প্রদত্ত তাঁর বিশাল দায়িত্ব তিনি পালন করে গেছেন। এজন্য আমরা ধন্য। আমরা সৌভাগ্যবান। আমরা কল্যাণের সন্ধান প্রাপ্ত। তাই কবিতা তাঁর এই আগমনকে চিত্রিত করেছেন আশ্চর্য সুন্দর বন্দনা দিয়ে।

রাসূলের আগমনে ধরার বুকে রহম নেমে এসেছিল। বেইনসাফী দূরীভুত হয়েছিল। ঊষার কোলে রাঙা রবির দোল নেমেছিল। শাহাদাতের বাণী ঠোঁটে কুল মাখলুকাতের বিজয় ধ্বনী গেয়েছিলেন তিনি। আকাশ, গ্রহ, তারকারাজীরা যেন আনন্দে লুটে পড়েছিল। বেহেশতের সকল দুয়ার খুলে দিয়ে ফেরেশতারাও গেয়ে উঠেছিলেন দরুদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কবির ভাষায়
তোরা দেখে যা, আমিনা মায়ের কোলে।
মধু পূর্ণিমারই সেথা চাঁদ দোলে।।
যেন ঊষার কোলে রাঙা রবি দোলে।

কুল মখলুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ,
কালেমা শাহাদাতের বাণী ঠোঁটে, কে এলো ,
খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ,
আকাশ গ্রহ তারা পড়ে লুটেকে এলো ,
পড়ে দরুদ ফেরেশতা বেহেশতে সব দুয়ার খোলে।

মানুষে মানুষে অধিকার দিল যে জন,
এক আল্লাহ ছাড়া প্রভু নাইকহিল যে জন,
মানুষের লাগি চিরদীন বেশ নিল যে জন,
বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে জন,

এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী,
ব্যথিত মানবের ধ্যানের ছবি,
আজি মাতিল বিশ্বনিখিল মুক্তিকলরোলে।

নবীর জয়গানে আনন্দের জোয়ারে মেতে উঠেছিল বিশ্বজাহান। নেচে উঠেছিল কুল মাখলুকাত। ব্যথিত মানবের হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ খেলে গিয়েছিল। বিশ্বনিখিল মুক্তির কলরোলে উল্লসিত হয়েছিল। এমনই একজন নবীকে ইসলামের সওদাগর বলেছেন আমাদের জাতীয় কবি। কবির ভাষায়
ইসলামের সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।
বদনসীব আয়, আয় গুনাহগার, নতুন করে সওদা কর।

জীবন ভরে করলি লোকসান, আজ হিসাব তার খতিয়ে নে,
বিনিমূলে দেয় বিলিয়ে সে যে বেহেশতি নজর।

কুরআনের জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে,
লুটে নে রে লুটে নে সব ভরে তোল তোর শূন্য ঘর।

কালেমার কানাকড়ির বদলে দেয় এই বণিক
শাফায়াতের সাত রাজার ধন, কে নিবি আয় ত্বরা কর।

কিয়ামতে বাজারে ভাই মুনাফা যে চাও বহু,
এই ব্যাপারীর হও খরিদ্দার, লওরে ইহার সীলমোহর।

আরশ হতে পথ ভুলে এলো মদিনা শহর,
নামে মোবারক মুহাম্মদ, পুঁজি আল্লাহু আকবর।

সত্যিই দ্বীন ইসলামের সওদাগর ছিলেন আমাদের প্রিয় রাসূল। তিনি আল কুরআনের জাহাজ বোঝাই যে সব হীরা মুক্তা আর পান্নার সমাহার ঘটিয়েছেন তা বিষ্ময়কর! কালেমা শাহাদাতের কানাকড়ির বিনিময়ে তিনি পরকালের মুক্তির জন্য শাফায়াতের যে সাত রাজার ধন এনেছিলেন তা অকল্পনীয়। কিয়ামতের মুনাফা সংগ্রহে তাঁর সেই সওদাগরী ব্যবসা সফল হয়েছিল। আমরা সেই বণীকের খরিদ্দার এখন

দ্বীনের আহবানে জীবন বিলিয়ে দিলেন প্রিয় নবী। তাঁর আদর্শের লালন করতে পারলে পরকালে নাজাত নিশ্চিত। প্রিয় নবীর নামের শ্রোতে আমরা ভেসে বেড়াই জান্নাতী ভেলায়। কবি প্রিয় নবীকে তৌহিদের মুর্শিদ বলেছেন। কবি রাসূল নামের রশি ধরে আল্লাহর দেয়া জীবনপথে এগিয়ে যান। কবির ভাষায়
তৌহিদের মুর্শিদ আমার মুহাম্মদের নাম
মুর্শিদ মুহাম্মদের নাম।
নাম জপিলেই বুঝতে পারি খোদাই কালাম
মুর্শিদ মুহাম্মদের নাম।

নামেরই রশি ধরে যাই আল্লাহর পথে,
নামেরই ভেলায় চড়ে ভাসি নূরের স্রোতে,
নামেরই বাতি জ্বেলে দেখি লোহ আরশধাম
মুর্শিদ মুহাম্মদের নাম।

নামের দামন ধরে আছি, আমার কিসের ভয়,
নামের গুণে পাব আমি খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশতি তঞ্জাম
মুর্শিদ মুহাম্মদের নাম।

কবির ভালোবাসা অকৃতিম। কবি রাসূলকে ভালোবেসেছেন ঈমানের দাবি পূরণ করে। ঈমানের হক আদায় করে। রাসূলের নাম জপে কবি সকল প্রকারের ভয় থেকে নিরাপদে থাকতে চেয়েছেন। আমরাও কবির সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে এগিয়ে যেতে চাই সামনে। শাস্তির মঞ্জিল পানে

কবি রাসূলের নাম যত বেশি করে স্বরণ করেন তত বেশি সুখ পান হৃদয়মনে। কবি রাসূলের নামে মধু খুঁজে পান, পান হৃদয়ের প্রশান্তি। রাসূল কবির প্রিয়তম অন্যতম একজন। কবি নিত্যদিন রাসূলের নাম স্বরণ করে তৃষ্ণা নিবারণ করতে চান। কবির ভাষায়
মুহাম্মদ নাম যতই জপি, ততই মধুর লাগে।
নামে এতো মধু থাকে, কে জানিত আগে।

নামেরই মধু চাহি
মনভোমরা বেড়ায় গাহি,
আমার ক্ষুধাতৃষ্ণা নাহি
নামের অনুরাগে
নাম প্রাণের প্রিয়তম,
নাম জপি মজনুসম,
নামে পাপিয়া গাহে
প্রাণের গোলাপ বাগে।

আমি নামে মুসাফিররাহি,
তাই চাই না তখন শাহানশাহী,
নিত্য নাম ইয়া এলাহী
যেন হৃদে জাগে।

রাসূলকে ভালোবাসা ঈমানের দাবি। রাসূলকে ভালোবাসতে না পারলে ঈমানের পূর্ণতা আসে না। রাসূল আমাদের একমাত্র পথ প্রদর্শক। নাজাতের পথ কেবলমাত্র তাঁর থেকেই পাওয়া যাবে। দুঃখ জ্বালা, মানুসিক বা ঈমানী দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় রাসূলের আদর্শ মেনে জীবন গঠন করা। জীবন পরিচালনা করা। কবি নিজের জীবনে এমন কিছুই পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তাঁর কবিতায়। কবির লেখা গানে। কবির ভাষায়
ইয়া মুহাম্মদ, বেহেশত হতে
খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও।
এই দুনিয়ার দুঃখ থেকে
এবার আমায় নাজাত দাও।।
পীরমুর্শিদ পাইনি আমি
তাই তোমায় ডাকি দিবসযামী,
তোমারই নাম হউক হযরত
আমার পরপারের নাও।।
অর্থবিভব যশসম্মান
চেয়ে চেয়ে নিশিদিন
দুঃখশোকে জ্বলে মরি ,
পরান কাঁদে শান্তিহীন।
আল্লাহ ছাড়া ত্রিভুবনে
শান্তি পাওয়া যায় না মনে,
কোথায় পাব সে আবেহায়াত
ইয়া নবী, রাহ বাতাও।।

কী আবেগ আর অনুভুতি নিয়ে গান লিখলেন প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কবি রাসূলের প্রেমে দিওয়ানা হন, রঙিন হয় কবির আঁখিযুগল। কবি শবেকদর রাতে আলকুরআনের গজল গেয়ে প্রশান্তি পান, শান্তি পান হৃদয়মনে। কবি রাসূলের আদর্শের বিজয় দেখেছেন একান্ত আপনার করে। যে বিজয়ী আদর্শে অনুপ্রাণিত হন বারবার। প্রতিনিয়ত। প্রতিক্ষণে। কবি বেলালের আযান শুনেন তাঁর কবিতায়। গানের পরতে পরতে। কবির ভাষায়
কোন মধুর শারাব দিলে আলআরাবি সাকি।
নেশায় হলাম দিওয়ানা যে, রঙিন হল আঁখি।
তৌহিদেরই শিরাজী নিয়ে
ডাকলে সবায় যা রে পিয়ে।
নিখিল জগ ছুটে এলো,
রইলো না কেউ বাকি।

বসল তোমার মহফিল দূর মক্কামদিনাতে,
আলকুরআনের গাইলে গজল শবেকদর রাতে

নরনারী বাদশা ফকির
তোমার রূপে হয়ে অধীর
যা ছিল নজরানা দিল
রাঙা পায়ে রাখি।

তোমার কাসেদ খবর নিয়ে ছুটল দিকে দিকে,
তোমার বিজয়বার্তা গেল দেশে দেশে লিখে।
লা শরীকের জলসাতে তাই
শরিক হলো এসে সবাই,
তোমার আযানগান শুনাল
হাজার বেলাল ডাকি।

রাসূল প্রেমের কী আকুতি কবির। কী অনুপ্রেরণা তাঁর। কবির আকুতি কবুল করুন আল্লাহ তায়ালা। কবিকে তাঁর জীবনের ভুলগুলো ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করে দিন মহান রাব্বুল আলামীন। কবির রাসূল প্রেমের এই আবেগ আর অনুভুতি আজ আমাদের প্রাণে প্রাণে দোল খায়। প্রেরণা জোগায়। ঈমানের তেজে বলিয়ান হতে অনুপ্রাণিত করে। আবেগে আপ্লুত হই হৃদয় মেলে। রাসূল প্রেমের এই অনুভুতি কবিকে দেখা করার সুযোগ করে দিন প্রিয় রাসূলের সাথে। রাসূল প্রেমের এই অনুভুতির ফলে কবির পরকালীন জীবন হোক ধন্য। মুক্তির পথ খুঁজে পাক কবর দেশের জমিনে। কবি জান্নাতের পাখি হয়ে ফুল কাননে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাক আপনার আত্মার শান্তির জন্য। কবির এই রাসূল প্রেম জাগ্রত হোক আমাদের প্রাণে প্রাণে। নবজাগরণে। আত্মার শিহরণে।

মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর
আরশি প্লাজা, তৃতীয় তলা
ডিবি রোড, গাইবান্ধা।
০১৭১৯২৫৭৬৩৪

One comment on “নজরুল কাব্যে রাসূলপ্রেম”

  • মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর says:

    শুভকামনা নিরন্তর

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>