সাব্বির আলম বাবু
এক
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে প্রায়শই। ভীষণ আলোড়িত হই। তখন চট্টগ্রামের পতেঙ্গাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহুরুল হক ঘাঁটিতে আব্বার চাকুরীর সুবাদে বিএএফ শাহীন স্কুলে ৫ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায়ই স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন গল্প-কবিতা পড়ার আগ্রহ দেখে আব্বা একদিন সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের একটি শিশুতোষ বই ‘অবাক জলপান’ আমাকে এনে দিলেন। তখন আমার খুশি আর ধরে না। বইটি পড়ার চেয়ে মলাট আর বইটির গন্ধ শুঁকতাম প্রায়ই। কতবার যে পুরো বইটি পড়েছি তা মনে নেই। ধীরে ধীরে পড়ার পরিধি বাড়তে লাগলো। ঠাকুমার ঝুলি, রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা, কাজী আনোয়ার হোসেনের কুয়াশা, মাসুদরানা, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, শেক্সপিয়র, আল মাহমুদ, সৈয়দ ওলিউল্লাহ, সৈয়দ মুজতব আলী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে নবীন-প্রবীন কত কবি-লেখকদের লেখা গো-গ্রাসে পড়েছি আর লুকিয়ে কখনো কেঁদেছি কখনো হেসেছি সেই কৈশোর বেলায় তার কোন সংখ্যা নেই। পরবর্তীতে ধর্মীয় বইয়ের প্রতিও আমার আগ্রহ জন্মে। পবিত্র কুরআন মাজিদ, বাইবেল, তৌরাত, যাবুর, রামায়ন, মহাভারত ইত্যাদির বঙ্গানুবাদ, মনীষিদের জীবনী প্রচুর পড়েছি। পাঠক থেকে কিভাবে যেন হাটি হাটি পা পা করে লেখক বনে গেলাম। মাঝে মাঝে অপটু হাতে ছোট কবিতা-গল্প লিখতে লাগলাম। সেগুলো আবার দেশের বিভিন্ন দৈনিক, মাসিক পত্রিকায় ও লিটল ম্যাগে পাঠাতে লাগলাম আবার কিছু কিছু ছাপা হতে লাগলো। এক সময় দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও লেখা পাঠাতে শুরু করলাম। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ছত্রিশগড়, মুম্বাই, চায়না রেডিও, ভয়েস অফ আমেরিকা, রেডিও তেহরান থেকে প্রকাশিত বাংলা ম্যাগাজিন, শফিক রেহমান সম্পাদিত ঢাকার মৌচাকে ঢিলেও লেখা পাঠাতাম। এই অভিজ্ঞতা আমার সাংবাদিক জীবনে বেশ কাজে লেগেছিল। পাঠক ও লেখক হিসাবে শৈশব-কৈশোরের জমানো বইয়ের একটি সংগ্রহশালা ছিল আমার। বলা যায় ছোটখাট ব্যাক্তিগত লাইব্রেরি। মাঝে মধ্যে যখন সাজানো বুক শেল্ফের উপর নজর বুলাতাম নিজেই অবাক হয়ে যেতাম যে সত্যিই এই বইগুলো কি আমি পড়েছি বা এতে আমার লেখা আছে, নিজেই বিশ্বাস করতে পারতাম না। এক অজানা ভালো লাগায় মনটা ভরে যেতো। তবে বেরসিক প্রকৃতি কখনোই কাউকে পূর্নতা প্রাপ্তি হতে দেয় না। বিস্বাদের ছায়া যেন সেখানে থাকবেই। যেন একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একদিন জমানো বই গুলোর উপর পরে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখলাম বাইরে থেকে সাজানো গোছানো দেখালেও বেশীর ভাগ বইগুলোর ভেতরে উঁইপোকা খেয়ে ফেলেছে। দারুন এক কস্ট পেয়েছিলাম। সেই থেকে আর কখনো বই সংরক্ষণে ইচ্ছা করিনি। যাই হোক, কৈশোরে আব্বার চাকুরী থেকে অবসরের পর নিজ পৈত্রিক এলাকা ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ডাওরী হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে ভর্তি হই। শ্রেনীকক্ষে গিয়ে দেখলাম সহপাঠীরা আমার থেকে বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ে অনেক পিছিয়ে। এটি শহর ও গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থার পার্থক্য বুঝতে পারলাম। আরেকটি বিষয়ে চমকে গেলাম যে, শিক্ষক যে বিষয়ের উপর কোন কিছু লিখতে দেন বা পরীক্ষার প্রশ্নে আসে তাই আমি কমন না পড়লেও ১০/১৫ লাইন আইডিয়ার উপর লিখতে পারি। নিজের এই সুপ্ত প্রতিভা নিজেই জানতাম না। আমার সাংবাদিকতা জীবনে যা কাজে লেগেছিল।
দুই
গ্রামের পোস্ট অফিসের সাথে আমার ছিলো অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। সরকারি ছুটি ছাড়া এমন কোন দিন নেই যে পোস্ট অফিসের বারান্দায় আমি পা দেইনি। তখন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার লিটলম্যাগ ও বিদেশের লিটলম্যাগে পঞ্চাশ পয়সা বা এক টাকার ডাকটিকেট লাগিয়ে খোলা হলুদ খামের উপর বুকপোস্ট বা খোলাডাক লিখে লেখা পাঠাতাম। এবার আসি কিভাবে সাংবাদিকতায় এলাম। আগেই লিখেছি আমি শৈশব থেকেই একজন নিয়মিত পাঠক ছিলাম, আমার আব্বাও তাই। তিনি ছিলেন সাহিত্য-সংস্কৃতিমনা রাজনৈতিক সচেতন পাঠক। অভ্যাসগতভাবে দৈনিক পত্রিকা তার পড়তেই হতো। দৈনিক সংবাদ ও সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পাঠক ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকা হকার বাসায় দিতে শুরু করলো। সেই পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগের মাঝে কাগজ পাঠক ইউনিট (কাপাই) নামক শিক্ষার্থী ও পাঠকদের জন্য একটি বিভাগ ছিল যেখানে পাঠকদেরও লেখালেখির সুযোগ ছিল। নিয়মিত লেখকদের আবার পরিচিতি কোড নম্বর ছিল। আমিও একদিন কৌতুহলবশত একটি কবিতা সেই বিভাগের ঠিকানায় পাঠালাম। হঠাৎ একদিন দেখলাম কবিতাটি ছাপা হয়েছে। এই প্রথম কোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হলো। উত্তেজনায় দুই কান লাল হয়ে গেলো। এরপর একদিন দেখলাম সেই কাপাই বিভাগে একটি ঘোষণা এলো যে, ভোলা জেলার সকল কাপাই বন্ধুদের লালমোহন ডাকবাংলোয় একসাথে মিটিংয়ের আমন্ত্রণ। নির্দিষ্ট তারিখের আগের রাতে ঘুমাতে পারিনি রোমাঞ্চকর অনুভূতির কারনে। কখন আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষণ, যখন সকল লেখক-পাঠকদের সাথে পরিচিত হতে পরবো। অতঃপর নির্দিষ্ট তারিখে পড়ন্ত বিকেল বেলায় ভোলার সকল কাপাই বন্ধুরা একত্রিত হলাম। মোঃ জসিম জনি, রিপন শান, সাইফ বাবলু, জাকির আশরাফ, বাশার ইবনে মোমিন, মাহমুদ হাসান লিটন, ফখরে আজম পলাশ, জাকির হোসেন, আবু ছিদ্দিক, ইয়াসিন সিরাজী, রাশেদ হেলালী, তপতী সরকার, আফরোজা শিখা প্রমুখ নতুন নবীন-প্রবীন লেখক-পাঠকদের সাথে পরিচিত হলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের প্রানবন্ত আড্ডা হলো। আড্ডার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম যে আমি ছাড়া সকলেই স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তোলপাড় কৃস্টি সংসার, নান্দিকার একাডেমী, অঙ্গিকার নাট্যমী, গীতিচয়ন শিল্পী গোষ্ঠী ইত্যাদি সংগঠন তখন বেশ দাপট ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে কাজ করছে। বন্ধু মোঃ জসিম জনি আমাকে তোলপাড় কৃষ্টি সংসারের সদস্য করে নিলেন। আমার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ দেখে তার সম্পাদিত ‘সময়ের শিখা’ পত্রিকায় লেখার আমন্ত্রণ জানালেন। উৎসাহ পেয়ে লিখতে শুরু করলাম। এমনই সময় একদিন ভোলা সদরের সিনিয়র সাংবাদিক-সংস্কৃতিকর্মী ও আবৃত্তিশিল্পী সামস-উল আলম মিঠু ভাই লালমোহনে আসলে বন্ধু মোঃ জসিম জনি আমার সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সাথে মিঠু ভাই গণমাধ্যম বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ম্যাস-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি) পরিচালিত তৃনমূল সংবাদকর্মী প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মশালায় অংশ গ্রহনের জন্য আমাকে আমন্ত্রন জানালেন। আমি সানন্দে প্রস্তাবটি লুফে নেই।
তিন
২০০৪ সালে ভোলায় অনুষ্ঠিত সেই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিকতার অনেক খুটিনাটি বিষয় ও কৌশল শিখলাম। সেখানেও সজিব শাহরিয়ার, মেজবাহউদ্দীন শিপু, আফজাল হোসেন লাভলু, মোজাহেরুল হক রুমেন, আব্দুল হালিম সহ আরো অনেক নতুন বন্ধু পেলাম যারা বর্তমানে স্ব স্ব স্থানে সমুজ্জ্বল। এরই মাঝে বরিশালের সংস্কৃতজন, সৈয়দ দুলাল ও সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন খন্দকারের হাত ধরে বরিশালের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজকের পরিবর্তন বাজারে আসে। বন্ধু মোঃ জসিম জনি আমাকে সেই পত্রিকায় কাজ করার জন্য আমন্ত্রন জানায়। আমরা দুজনেই একসাথে সেখানে বেশ কিছুদিন কাজ করি। গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাধারন মানুষের সমস্যা-সম্ভাবনা, ইতিহাস- ঐতিহ্য-সংস্কৃতি কলমের মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সমকালীন সময়ে একঝাঁক তরুন সংবাদকর্মীর সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটি। সদস্য হিসাবে আমাকে রাখা হয় পরে লালমোহন প্রেসক্লাবের সদস্য করা হয়। হঠাৎ একদিন রোদসী কৃস্টি সংসারের একটি অনুষ্ঠানে বরিশালের দৈনিক বরিশাল বার্তার তৎকালীন বার্তা সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন লালমোহনে এলে তাঁর সাথে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে তাঁর পত্রিকায় কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। কিছুদিন সেই পত্রিকায় কাজ করার পর তিনি অন্য পত্রিকায় চলে গেলেন। তাই আমিও সেখানে কাজ করার উদ্যম হারিয়ে ফেললাম। এর মধ্যে এমএমসি ও পাক্ষিক মেঠোবার্তার আরেকটি প্রশিক্ষণে ঝালকাঠী যাই। সেখানে ঝালকাঠীর সিনিয়র সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দীন হিমু, মেঠোবার্তা সম্পাদক র. ম আরঙ্গজেব, আমীন আল রশীদ, আসমা নারগিস এ্যানী, বরিশালের মামুনুর রশিদ নোমানী, রফিকুল ইসলাম, বরগুনার আবু জাফর সালেহ, সাফায়েত আল মামুন, পিরোজপুরের জাকারিয়া এজাজ প্রমুখের সাথে নতুন করে সম্পর্ক হয়। পাক্ষিক মেঠোবার্তা ছিল তখন একমাত্র পত্রিকা যে মফস্বলের সাংবাদিকদের লেখার সম্মানি দিতো। দৈনিক শাহনামার বার্তা সম্পাদক মামুনুর রশিদ নোমানী তখন আমাকে তাঁর পত্রিকায় কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। দীর্ঘদিন সেই পত্রিকায় কাজ করি। তৎকালীন সময়ে ভোলার সাপ্তাহিক লালসূর্য পত্রিকার সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ ও বাংলার কন্ঠ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোকাম্মেল হক মিলন ভাইয়ের সাথে পরিচয় হওয়ার সুবাদে কিছুদিন তাদের পত্রিকায়ও কাজ করি। একদিন বন্ধু মোঃ জসিম জনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ডেসটিনিতে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিল। সে তখন এই পত্রিকায় লালমোহন থেকে কাজ করতো। আমার লেখালেখির আগ্রহ দেখে নিজের পত্রিকা আমাকে কাজ করার জন্য ছেড়ে দিলো। চরফ্যাসনের সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট নোমান সালমানও সহযোগীতা করেছিল। পরে জনি দৈনিক যুগান্তরে কাজ করা শুরু করলো। ডেসটিনির সম্পাদক রফিকুল আমীন আটক হওয়ার পর দৈনিক ডেসটিনি প্রকাশনা অনিয়মিত হয়ে পরলে আমি ঢাকার সিনিয়র সাংবাদিক আবু জাফর সূর্য ভাইয়ের জাতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে কাজ করি। করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিক সমস্যায় পত্রিকা প্রকাশনা অনিয়মিত হয়ে পড়লে জাতীয় দৈনিক গণকন্ঠে কিছুদিন কাজ করে বর্তমানে দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকায় ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি। তবে মিডিয়াতে কাজ করতে গিয়ে লালমোহনের এমভি নাসরিন ও কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনার নিউজ ও সংসদ নির্বাচনের (উপ-নির্বাচন) নিউজ কভার করায় দৈনিক ডোসটিনি পত্রিকা আমাকে বেশ পরিচিতি এনে দিয়েছিল। অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবির্ভাবে পাঠক এখন আরো আধুনিক ও ডিজিটাল হয়ে ঘরে বসেই সব খবর দেখতে ও পড়তে পারছে। প্রিন্ট থেকে এখন অনলাইন নিউজ পাঠক ও সংবাদকর্মী বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই স্রোতে পা দিয়ে লালমোহন নিউজ২৪, দ্বীপকন্ঠ নিউজ২৪, ভোলাবানী২৪, বাংলার চোখ প্রতিদিন২৪, বরিশাল খবর২৪, অস্ট্রীয়ার আন্তর্জাতিক অনলাইন নিউজ ইউরো সমাচার২৪, গ্রীসের বিডিনিউজ ইউরো২৪ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছি। এভাবেই চলছে আমার সাংবাদিকতা । মিডিয়া জীবনের ১৬-১৭ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে কিন্তু এখনো তৃষ্ণা নিবারণ হয়নি। এগিয়ে যেতে চাই আরো বহুদূর। সেজন্য সকলের দোয়া, ভালোবাসা আর সহযোগীতা কামনা করি।
সাব্বির আলম বাবু
সংবাদকর্মি, লালমোহন, ভোলা।
ভালো লাগলো আপনার কাহিনী পড়ে। আরো এগিয়ে যান বহুদূর। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ধন্যবাদ, নিজের জীবনের সুন্দর একটি সময় লেখা – লিখিতে অতিবাহিত করার গল্প পাঠকদের কাছে তুলে ধরার জন্য।
যেকোন নবীন সংবাদকর্মি এখান থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে আমার বিশ্বাস।
এম লোকমান হোসেন
সদস্য
চরফ্যাশন প্রেসক্লাব,
বার্তা সম্পাদক
দ্বীপকন্ঠ ডটকম।
বন্ধু-ভাতিজা, আমি ছোট খাটো একজন পাঠক হিসেবে যতটুকু বুঝি লেখকের লেখার তৃষ্ণা আমৃত্যু মিটিবার নয়। আমার বন্ধু+ভাতিজা একজন লেখক+সাংবাদিক এটাও আমার জন্যঅনেক গর্বের। সবসময় তোমার সাফল্য কামনা করি।