শারমিন চৌধুরী
শিমুল গাছে বাসা বেধেঁছে ছোট্ট পাখি টুনটুনি
সেখান থেকে ভেসে আসে মিষ্টি সুরের গুনগুনি।
চাদনি রাতে গাছের নিচে নৃত্য করে ফুলপরী
সেথায় এখন বিকেল হলে ছোট্টখোকা উড়ায় ঘুড়ি।
একটু দূরে দাড়িয়ে আছে রহিম চাচার টিনের ঘর
ঘরের সামনে ফুল ফুটেছে দেখতে লাগে কি সুন্দর।
বাড়ির পিছে মেঘনা নদী গায়েঁর বধু জলকে যায়,
নদীর মাঝে লঞ্চগুলো ক্ষণে ক্ষণে সাইরেণ বাজায়।
ধেয়ে আসছে মেঘনা নদী, ফুসে উঠা বর্ষায়
বাড়ি বুঝি যাবে ভেঙ্গে- আশ্রয় এবার অন্যথায়।
একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে এইতো নদীর খেলা
নদীর তীরে চাষ হতো ধান ফসলের গোলা।
লাঙ্গল কাঁধে কোমর বেঁধে খুলেই দেখ জ্ঞানের চোখ
কোদাল নিয়ে খাটে যারা তারাই আসল ভদ্রলোক।
তাদের তৈরি খাবার খেয়ে বাচেঁ যত দেশের লোক
তাদের দু:খ ঘোচানোর দায় এবার তবে সবার হোক।