মোঃ জসিম জনি ।।
‘সাংবাদিক’ আর ‘রিপোর্টার’ শব্দ দুটি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কোন পত্রিকায় মফস্বলে বা উপজেলা পর্যায়ে কাজ করলে কেউ কেউ তাকে সাংবাদিক মানতে চান না। তারা বলেন ‘রিপোর্টার’ বা ‘সংবাদদাতা’ হবে। তারা সাংবাদিক নয়। সাংবাদিক কেবল তারাই যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম পাস করেছেন। ঢাকায় বড় মিডিয়া হাউজে কাজ করেন। বাকী সবাই রিপোর্টার। আমরা প্রায়ই এধরণের কথা শুনি। এ বিষয় নিয়ে আমি ঢাকার নামিদামী কয়েকজন সাংবাদিকের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আবার গুগল ইন্টারনেট থেকেও কিছু তথ্য উপাত্ত খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।
এক্ষেত্রে প্রথমেই আমি বলে নিতে চাই, সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী হতে গেলে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম পাস করে আসতে হবে তার কোন শর্ত নেই। জার্নালিজম একটি ডিগ্রি মাত্র। জার্নালিজম পাস করে সাংবাদিকতা পেশায় এসেছে এমন সংখ্যা খুব কম। বাংলাদেশে বড় বড় টিভি ও পত্রিকা অফিসে কাজ করে তারা প্রত্যেকেই জার্নালিজম করা নয়। তাদের বেশির ভাগই সেখানে স্থান পেয়েছে তার কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার আলোকে। অর্থাৎ যার যত বেশি অভিজ্ঞতা তার মূল্যায়ন তত বেশি। এই অভিজ্ঞতাটা যে জার্নালিজম পাস করে অর্জন করতে হবে তার কোন শর্ত নেই।
একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক হতে হলে জার্নালিজম পাস করারও কোন প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক হতে গেলে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। শিক্ষাগত যোত্যতা না থাকলে কোথাও মূল্যায়ন পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এ্যাক্টেও সাংবাদিকের একই সংজ্ঞা দেয়া আছে। এ কথায় আমরা আসতে পারি, সাংবাদিকতা একটি খুব বিস্তৃত শব্দ। আমরা নিরাপদভাবে বলতে পারি যে সাংবাদিকতা সর্বজনীন শব্দ, রিপোর্টিং এর একটি অধ্যায়। সুতরাং, এই সংজ্ঞা দ্বারা রিপোর্টিং, অবশ্যই অবশ্যই সাংবাদিকতার একটি অংশ। সাধারণত রিপোর্টাররা সংবাদ প্রদান করতে পারে এবং টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপকও হতে পারে। এটি সম্ভব যে একজন সাংবাদিক একজন রিপোর্টার হিসেবেও কাজ করতে পারে।
উইকিপিডিয়ায় সাংবাদিকের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, ‘সাংবাদিকতা হল বিভিন্ন ঘটনাবলী, বিষয়, ধারণা, ও মানুষ সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশন, যা উক্ত দিনের প্রধান সংবাদ এবং তা সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। এই পেশায় শব্দটি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও সাহিত্যিক উপায় অবলম্বনকে বোঝায়। মুদ্রিত, টেলিভিশন, বেতার, ইন্টারনেট এবং পূর্বে ব্যবহৃত নিউজরিল সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্গত।’
তরুন সাংবাদিক ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাংবাদিক নিয়ে। তার মতে, ‘সাধারণভাবে যিনি সংবাদপত্রের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করেন ও লিখেন তাকেই সাংবাদিক বলে অভিহিত করা হয়। তবে বর্তমান সময়ের আধুনিক সাংবাদিকতার বিশাল পরিসরে সাংবাদিককে নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞায় বেঁধে দেওয়া কষ্টসাধ্য বিষয়। এখন সংবাদপত্রের ধরনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি সাংবাদিকদের কাজের পরিধিতেও পরিবর্তন এসেছে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। শতভাগ সঠিক সংবাদ প্রচারের কোনো বিকল্প নেই। মানুষ ঘটনার সঠিক সংবাদ জানতে চায়। সত্য লুকানোর মধ্যে ঘটনার প্রতিকার হয় না। সঠিক ও সৎ সাংবাদিকতা সমাজ বদলে দিতে পারে।’
সংবাদদাতা বা সাংবাদিক (ইংরেজি: Journalist) বিভিন্ন স্থান, ক্ষেত্র, বিষয় ইত্যাদিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহপূর্বক সংবাদ কিংবা প্রতিবেদন রচনা করে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন এটাই সাংবাদিক বা সংবাদদাতার কর্ম। একজন প্রতিবেদক তৃণমূল পর্যায় থেকে তথ্যের উৎসমূল অনুসন্ধান করেন, প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার পর্ব গ্রহণ করেন, গবেষণায় সংশ্লিষ্ট থাকেন এবং অবশেষে প্রতিবেদন প্রণয়নে অগ্রসর হন। তথ্যের একীকরণ সাংবাদিকের কাজেরই অংশ, যা কখনো কখনো রিপোর্টিং বা প্রতিবেদন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।
সাংবাদিক বলেন আর রিপোর্টার বলেন, এরা খবরের সন্ধান করেন, খবরের পেছনে ছোটেন, খবর নির্বাচন করেন, সম্পাদনা করেন, সংশোধন করেন। সাংবাদিকরা যা করেন, তা হচ্ছে সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা হচ্ছে কাজ। এদের কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা, প্রতিবেদন লেখা এবং সম্পাদনা করা। সততা একজন সাংবাদিকের সবচেয়ে বড় গুণ। অনেক যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলেও সততার অভাবে সাংবাদিকদের অর্জিত সম্মান ধুলোয় মিশে যেতে পারে। সাংবাদিকতা যতোটা না পেশা তার চেয়ে অনেক বেশি নেশা, ভালোলাগা। এই নেশাটা হচ্ছে দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার নেশা।
মোঃ জসিম জনি
মফস্বলের একজন সংবাদকর্মী
লালমোহন, ভোলা
০১৭১২-৭৪০১৩৮
সাংবাদিক রিপোর্টার জার্নালিস্ট সবই এক। সবাই ক্যামেরার পেছনের মানুষ। তাদের ত্যাগই তাদের সম্মান। তাদের কাজই হচ্ছে সত্য উচ্চারণ তা যত নির্মমই হোক। তারা অন্যকে তুলে ধরতে, অন্যের কথা বলতে ভালবাসে। ইখানেই তাদের শ্রেষ্ঠত্ব।
আপনার লেখাটি আমি পড়েছি। একাধিকবার। এবং সংরক্ষন করে রেখেছি আবার পড়ার জন্য। অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে পড়েছি কারন আপনার ঠিকানা লালমোহন, ভোলা। আমার বাড়ী ও লালমোহন; চরভূতা ইউনিয়ন, তারাগনজ গ্রাম। বাড়ীর নাম মোহাম্মদ হাওলাদার বাড়ী। আমাদের বাড়ীর দরজায় হাজীগনজ হাই স্কুল। আমার নাম মো: খলিলুর রহমান।
আমি ১৯৬৪ সালে বিএম কলেজ ও ১৯৬৮ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে পরবরতীতে লন্ডন থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছি। চাকুরী করেছি সরকারী বেসরকারী সংস্থায়। এবং লালমোহন হাই স্কুল থেকেই ১৯৬২ সালে মেট্রিক পাস করেছি।
যাই হউক, আপনার লেখাটি আমাকে মুগ্ধ করেছে এবং প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে “সাংবাদিক” আর রিপোর্টার্র পার্থক্য টা এর পূর্বে আমি এত স্পষ্ট করে পড়িনি জানিওনি।আমার ভাল লেগেছে। আমরা সাধারন লোকজন সাংবাদিক দের সত্য সন্ধানী মনে করি। এর জন্য প্রয়োজন সততা, সাহসিকতা এবং বিশুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী। বিশেষ করে রাজনৈতিক মিথ্যাচার, অর্থনৈতিক দুরবিততায়ন আর ব্যাপক চলমান দূরনীতির খবর যাতে গনমানুষের দৃষ্টি গোচর হয় তার জন্য নিরলোভ হয়ে রক্ত চক্ষু এড়িয়ে কাজ করার নামই সাংবীদিকতা। অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকগন সমাজ গঠনে, গনতন্ত্র প্রতিষঠায় মূল্যবান অবদান রেখেছেন। মাসকারেনহাস, এসানজ, সহ অনেকের নাম আপনার জানা আছে। নেতা আর প্রভাবশালীদের জন্য নয়, দেশের সাধারন মানুষের প্রকৃত মুখপাত্র হতে পারাটাই পূর্ন সাংবাদিকের সংজ্ঞা বলে আমি মনে করি। রোজিনার অন্যায় গ্রেফতারের সময় আমরা তা দেখেছি। কিন্তু সব অনিয়ম এর ব্যাপারে তেমনি ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী প্রতিবাদ আমরা দেখিনাই।
যাই হউক আমার এলাকার একজন সাহসী লেখক হিসাবে আপনাকে ধন্যবাদ, মি: জসিম। দেখা হবে, কথাও হতে পারে। আপনার নাম্বার দেখেছি।
আমার ছোটভাই সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারমান বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার। তবে আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নাই। আপনাকে পুনরায় ধন্যবাদ। একজন সফল পেশাজিবী সাংবাদিক হিসাবে ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবেন এই কামনা করে এখনকার মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thanks very much. I have no website
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। আর আপনার পরিচয়ও পেলাম। আশা করি আপনার সাথে একদিন অবশ্যই সরাসরি কথা হবে। সে আশায় রইলাম।
সত্যিই জসিম সাহেব আপনার লেখাটি পড়ে ভীশন অনুপ্রাণিত হয়েছি।আসলেই মানুষের জন্যে, দেশের জন্যে, দশের জন্যে ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে এই পেশায় এসেছি। এতে করে কোন পকেটে ভারী নাহলে কি হবে, দোয়ার পাল্লাযুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।
আপনাকে ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ার জন্য
আপনার লেখাটি পড়লাম,ভালো লাগলো। বিতর্কিত একটা বিষয়ের উপর সাবলীল আলোচনা করেছেন। এখন একটা জেলাতে শতাধিক সাংবাদিক(?) উপজেলা,শহর,ইউনিয়ন,শিক্ষাঙ্গন ভিত্তিকও সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। হকার , ফুটপাতের দোকানদার,টাউট বাটপার ,লুচ্ছা লাফাঙ্গা অনেকেরই গলায় ঝোলে পরিচয় পত্র। এদের প্রধান খবর হচ্ছে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং,এমপি সাহেবের ত্রাণ বিতরণ,কম্বল বিতরণ,এনজিওর বিভিন্ন সংবাদ। সংবাদ সম্মেলন হলেই একটা হলুদ খামের লোভে কানা বকের মত এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এদের অনেকেই আছে যারা ঠিকমত নিজের নাম, ঠিকানাও লিখতে পারেনা। তবু এরা সাংবাদিক। গলায় আইডি কার্ড,পাছার নিচে দামি মোটর সাইকেল আর কাঁধে দামি ক্যামেরা। কপি পেস্ট আর ই মেইল না এলে দেখতাম কে কত সাংবাদিক না কি রিপোর্টার ।ভালো থাকবেন , এমন আরো লেখা চাই।শুভকামনা অহর্নিশ………..
আপনাকে ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে মন্তব্য দেওয়ার জন্য।
লেখাটি মোটামুটি ভালই চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে পড়ে ভালই লাগলো। আপনার এই সুন্দর লেখার জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন । ঈদ মোবারক।
আপনাকে ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে মন্তব্য দেওয়ার জন্য।
আপনার লেখাটি পড়েছি প্রথমদিকে ভালো লাগলেও শেষদিকে মনে হলো আপনি মুল বিষয়বস্তু থেকে দূরে সরে এসেছেন। মূল বিষয় ” আমরা সাংবাদিক না রিপোর্টার “এ বিষয়ে আরো আলোকপাত করা দরকার ছিলো। শেষে শিরোনাম কে করা প্রশ্নের কোন উত্তর ক্লিয়ার হয়নি। আরো স্বচ্ছ হতে পারতো সরাসরি বলাযেত ” মফস্বলে যারা সংবাদ সংগ্রহ প্রেরণ বা প্রকাশ করে তারা অবশ্যই সাংবাদিক,,,,,, কিছু মানুষের ভ্রান্ত ধারনা সাংবাদিকতায় ডিগ্রী না থাকলে সাংবাদিক বলা যাবে না অন্তত এই ভ্রান্ত ধারণাটা দুর হতো।।।
তবুও ঐ এতটুকু লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে মন্তব্য দেওয়ার জন্য। হয়তো আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে আরো ভালো লিখতে পারিনি।
লেখা ভালো হয়েছে। শেষের দিকে যে বক্তব্য মাসুদ রানা আশা করেছিলো, তা লেখার উপর ও মাঝামাঝি অংশে প্রকাশ পেয়েছে। লেখকের মন খারাপ করার কিছু নেই। তবে কিছু বক্তব্য সহজের ভেতর একটু দুর্বোধ্য, যা বুঝতে একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে ধীর গতিতে। একই কথা নতুন নতুন বাক্য প্রয়োগ করে বলার চেয়ে শেষের দিকে যে নতুনত্ব এসেছে, তাতে লেখার উৎকর্ষতা আলবত বেড়েছে। ধন্যবাদ লেখক ও মন্তব্য দাতাকে।
মন দিয়ে পড়লাম।
তথ্যবহুল লেখা।
বেশ ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ধন্যবাদ জসিম জনিকে তথ্যবহুল ও চমৎকার একটা লেখা পাঠকের জন্য পেশ করায়। এতে অন্তত সাংবাদিক ও রিপোর্টার নিয়ে ঘুরপাক কিছুটা হলেও প্রশমিত হলো। জসিম জনির লেখার সাথে শুধু এইটুকু যোগ করতে চাই, সাংবাদিক, সংবাদদাতা, রিপোর্টার, জার্নালিস্ট মূলত একই অর্থ বহন করে। বাংলা ইংরেজি মিলে একটি অপরটির প্রতিশব্দ। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনায় লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার নুরুল আমিন, লালমোহন, ভোলা।
আপনাকে ধন্যবাদ, লেখাটি আশা করি অনেকের একটা প্রশ্নের জবাব হয়েছে। যা আমরা মফস্বলে প্রায়ই এ প্রশ্নের সম্মুখিন হয়।
অন্যান্য রিপোর্টারদের সাথে স্টাফ রিপোর্টারের তুলনা বা পার্থক্য কি?
দেশের জন্য, মানুষের জন্য করলে পরে আমার পকেটের কি হবে।? দেশ আর জনগণতো আমার পরিবারের খরচ বহন করবে না। কেউ গণমাধ্যমের আয়ের উৎসগুলো সম্পর্কে জানাবেন প্লিজ।
আমি ও সাংবাদিক হতে চাই ফাজিল ক্লাশে পড়ি এখন কি ভাবে কি করলে সাংবাদিক হওযা যাবে জানাবেন
চমৎকার উপস্থাপন। প্রিয় ভাই,
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন।আমিন….
খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ