হিমাদ্রী রেহান
.
রোদের বর্ণমালার তেজ নিভে গেছে আজ,
পুণগর্ভার বেদনায় নেমেছে অভিষিক্ত ধারাপাত।
ও মেয়ে শুনছ কি?
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টির শিল্পময় নৃত্য।
তোমারই অভিমান ঝড়াতে হিমাদ্রী সমর্পিত।
নির্জন জানালায় চোখে বিষন্ন আকাশ
স্মৃতির ফাইল মেনুতে বিবাগী স্বপ্নের কম্প্রেসড দীর্ঘশ্বাস।
হলুদ কদম বুকের শুভ্রতায় কষ্ট জেগে ওঠে,
বিবর্তনের জলে ছলছল তোমার ডাহুক আখি ।
বাইরে এসো আজ, চঞ্চলা চপলা বৃষ্টির আলিঙ্গনে,
কষ্ট বয়ে চলার অবসাদের অবসান হবে আজ।
তোমার চোখে বৃষ্টি ঝড়ুক, ধুয়ে যাবে ম্রীয়মাণ মুহুর্তগুলোর ঝাজ।
সর্বগ্রাসী বিজন প্রান্তরের বলয় থেকে
মুক্ত হবে শতচ্ছিন্ন ভালবাসা।
এসো আজ সাবধান বাণী ভুলে,
খোপাতে ফুটে থাকা সম্মোহনী চন্দ্রমল্লিকার গাহনে
সন্ধ্যামালতীর হিল্লোলে আষাঢ়ের পুর্ণ তরঙ্গের তান,
ঢেকে দেবে কামনার ভ্রুণ,
কৈশোরের স্মৃতিমাখা মনে।
নব শিহরণে হিমায়িত বুকে স্পর্শের ওম,
এই সুন্দরী বৃষ্টিইতো দহনের তীব্রতা কমিয়ে এনেছে,
ভেজা মাতাল হাওয়ায় হাসছে উন্মাদনায়,
ছাড়িয়ে সীমানা চরম!
ও বৃষ্টির দেবী, থাকবে কি?
অনন্ত রাত্রি দু:খ ভুলে আমার পাশে!