মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
.
অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে,
তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে—
আমি তখনও নির্বাক— তাকিয়ে আছি।
যতই দেখছি—
মুগ্ধতা আমাকে এতটা আকৃষ্ট করেছে….
যা হয়ত—অন্য কেউ বুজবেই না?
.
না না না, অন্য কেউ বুজবে কেন?
এত তো শুধু কবির চোখে আলতো ছোঁয়া দিতে এসেছে,
কান্না যে এতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে
তা আজ নতুন করে দেখলাম।
আকাশে জমে থাকা একতাবদ্ধ মেঘমালা—–
নিজের বন্ধনকে ছিন্ন করে
আজ, প্রকৃতিকে নতুনরূপে সাজাতে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে——
এজন্যই হয়ত তার কান্না এতটা বিমোহিত করছে আমাকে।
.
কে না চায়?
একত্রে, একসঙ্গে, পরস্পরের সহযোগী হয়ে
সামাজিক জীবন যাপন করতে।
মেঘমালার চাওয়াও তার ব্যতিক্রম নয়—।
তবুও ঝরে পরছে, কি অঝোর ধারা……
.
কিন্তু,
কান্না ভরা এ বৃষ্টিতে আমি—
নব পৃথিবী উপহার দেবার একটা হাসি মাঝে মাঝে লক্ষ্য করি।
যা আমাকে আশান্বিত করে।
অন্যের জন্য ত্যাগ স্বীকারে,
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দিত হতে—–।
.
মেঘ ঝরে পরছে ঠিকই—
কিন্তু, তার হাসিটা বজ্রের ঝঙ্কারে বার বার দীপ্তি পাচ্ছে।
সেই আনন্দ,
তার নিঃসঙ্গ ঝরে পরাকে…..
এতটুকু ম্লান করে নি,
করেছে আরও জ্যোতির্ময় —-
যা তাকে করে তুলেছে কিংবদন্তী, উদারচেতা ও মায়াময়।
ঝরে পরাতেই, কি নিদারুণ আনন্দ, তাই না?