কীর্তনখোলা নদী

হেলেন রহমান

বরিশাল আর কীর্তনখোলা নদী
দু’টো নাম যেন একসূত্রে গাঁথা,
কত সুখ আর দুঃখের স্মৃতিতে
কীর্তনখোলা করেছে
বরিশালবাসীকে ঋণী!
ফুল ফসলে ভরে তুলেছ
করেছো বরিশালকে সমৃদ্ধ
১৬০ কিলোমিটারের
নদী কীর্তনখোলা
বরিশালকে শস্যে করেছে অনন্য!
শায়েস্তাবাদে যার জন্ম
আঁড়িয়াল খা নদের থেকে
গাবখানে ………
যবনিকা টানা হয়েছে
জানি সে কথা সকলে
জীবন প্রবাহে নদীর প্রভাব
বলাই বাহুল্য-একথা সর্বজনবিদিত
বরিশালে নৌযানে চলার
একমাত্র পথ কীর্তনখোলা
নাব্যতা আর যেন হ্রাস
না পায়- থাকতে হবে সচেতন-

একথা নয় অযথা
মনে রাখতে হবে
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম
নৌবন্দর কীর্তনখোলার
পাড়ে অবস্থিত,
এটা আমাদের ঐতিহ্য!
এ ঐতিহ্য যেন দূষণের কবলে
না হারায়ে যায়,
এক্ষেত্রে হব আমরা সতর্ক।
পর্যটনকেন্দ্র ও যদি এ নদীর
সৌন্দর্যের সাথে
গড়ে মিতালী
তবে তা নিঃসন্দেহে
স্বর্গীয় আর দৃষ্টিনন্দন হবে!
বাংলাদেশ সরকার
অথবা কর্তৃপক্ষ হয় যদি আন্তরিক
তবে শস্য-শ্যামলা
করার ক্ষেত্রে …..রাখবে না
ভূমিকা শুধু
অর্থনৈতিক দিক থেকেও
দেশকে করবে সমৃদ্ধ!
কীর্তনখোলার মাছ বড় সুস্বাদু!
একথা জানি আমরা বরিশালবাসী
তেমনি জানে প্রত্যেক সবর্জন
বরিশালে কীর্তনখোলার তীরে
বসবাস আমার
আমি নিজেকে ভাবছি গর্বিত!

সময় : সকাল ১১:৩১ মিনিট
৩০.০৭.২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *