নীলা আহমেদ ।।
বুকের গভীরে রক্তের ক্ষত সাঁতরাবো আর রক্তসিন্ধু কতো?
রক্ত ঝরাতে পারিনাতো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা।
ভেজা রাজপথ, টিএসসি, শাহবাগ, রমনার বটমূল
সাইদ, শান্ত, তানবিন, ওয়াসিম নাম না জানা শতফুল।
লাখো শহীদের রক্তেভেজা বাংলার ঘাস-মাটি
ধ্বংস করছে দেশদ্রোহী, খুনি রাজাকারের ঘাটি।
ওরা নমরুদ, ফেরাউন, নপংশুক জঘন্যতম পাপী,
ধিক্ শতধিক্ ঘৃনাভরা ক্রোধ দুঃখদহন তাপি।
দেশের সোনালি বিদ্যাপীঠে বিভৎস কালোছায়া
হত্যাযজ্ঞের মহড়ায় নৃশংস শূণ্য মায়া।
বুকের ভেতর অহর্ণিশ তোলপাড় করে- ‘পানি লাগবে কারো পানি’
কী দোষ ছিল তৃষিত বন্ধুদের সেবায় নিবিষ্ট ‘মুগ্ধ’ র?
‘আমি শহীদ হলে দেহখানি রেখে দিও রাজপথে’
কে ভেবেছে পোস্ট করার পরদিনই- সাইদের রক্তে রন্ঞ্জিত হবে রংপুরের নির্মল পথ!!
ছাদে খেলতে যাওয়া ছোট্ট রিয়ার কি দোষ ছিল?
বাবার কাধে কেনো সামিরের লাশ?
বুকফাটা আর্তনাদে কেঁপে ওঠে আকাশ- বাতাস ভিজে যায় শত জায়নামাজ!
টলেনা তবু সীমারের মন।
কোটি প্রাণের একটিই ছিলো দাবি ‘চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণ’।
এইকি তাদের অপরাধ?
৫২’ র হায়নার মতো কেড়ে নিলি অসংখ্য মায়ের মুখের হাসি
বাবার নিবিড় আশ্রয়, বোনের সঞ্চিত সম্ভ্রম!
শকুনি থাবায় ফেঁড়ে নিলি মূল্যবান মস্তিষ্ক, প্রত্যঙ্গের সবুজ মলাট।
বাতাসে লাশের গন্ধে বিষাক্ত নির্মল প্রশ্বাস
নির্ঘুম নিরন্ন শ্রমিক, মজুর।
আর কতো হত্যাযজ্ঞের ধ্বংসলীলার মরণখেল!
১৯৫২- ২০২৪ কেউ পার পাবিনা।
জেগে উঠবে নজরুল, সুকান্ত, জহির রায়হান, সালাম, বরকত, সাইদ, মুগ্ধ,
রচিত হবে আরেক ফাল্গুনী ইতিহাস!
পদদলিত হবে স্বৈরাচার, নিশ্চিহ্ন বধির রক্তচোষা খুনির রাজত্ব।
বেচেঁ রবে আমার স্বপ্নালু বাংলা।