মুক্তবুলি প্রতিবেদক ।।
পিরোজপুর শহরের বাবুই পাঠাগার মিলনায়তনে উদযাপিত হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। দার্শনিক ও কবি দেবাশীষ মৃধা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে এ অনুষ্ঠান। ২৬ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার অপরাহ্নে জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম এর সৃষ্টি কর্ম ও তাঁর জীবন আলেখ্য নিয়ে সংগঠনটি জ্ঞাণগর্ভ আলোচনা, আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কবি ও সাহিত্যিক প্রভাষক প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিভিল সার্জন, কবি ও লেখক ডা. এস দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর আফতাব উদ্দিন কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যথাক্রমে কবি ও সংগঠক হাছিবুর রহমান হাছিব, কবি দেলোয়ার হোসেন আলম, কবি ও ছড়াকার একেএম মোস্তফা, কবি এ এম নজরুল ইসলাম, কবি অনির্বাণ চক্রবর্তী, কবি দিলীপ কুমার মিস্ত্রি, কবি সনজয় কুমার রায়, কবি মৃনাল কান্তি রায়, কবি উজ্জ্বল কুমার গুহ, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী ও নাট্যকার মাকসুদ খান সোহান, কবি আবুল হোসেন, কবি নাঈম প্রমুখ।
কবি ও সাহিত্যিক প্রভাষক সমর কৃষ্ণ হালদারের সঞ্চালনায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আলোচনা, আবৃত্তি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি নজরুল এর জীবন দর্শনের উপর লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন।
কবি অনির্বাণ চক্রবর্তী কবি রবীন্দ্রনাথকে লেখা নজরুল ইসলামের একটি চিঠি এবং প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নজরুল কে লেখা চিঠিটি পাঠ করে শোনান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যবাদ, মানবতাবাদী এক মহান কবি। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য সংস্কৃতির সর্বাধিক শাখায় তাঁর বিচরণ ছিলো স্বমহিমায় প্রোজ্জ্বল।
বক্তারা বলেন, ১৯৪২ সাল থেকে ৩৪ বছর ১ মাস ২০ দিন পর ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাকরুদ্ধ অবস্থায় কবি ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে জাতীয় কবি উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই স্বীকৃতি আজও গেজেট হয়ে প্রকাশ পায়নি। দার্শনিক ও কবি দেবাশীষ মৃধা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিষয়টি দাবি আকারে তুলে ধরে বলেন- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এটা অচিরেই গেজেট আকারে প্রকাশিত হোক। অনুষ্ঠান শেষে কবি সাহিত্যিকদের এক সৌহার্দপূর্ণ আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। ##