প্রদীপ মিত্র দীপ
.
সেদিনের সেই প্রদীপ্ত যুবক তুমি-
সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলে যেদিন,
দু’চোখ ভরা আগুন ছিল সেদিন।
স্বপ্ন ছিল পাহাড়সম জঞ্জাল পোড়াবার,
লড়াই ছিল ফুলের জন্য হার না মানার।
বক্ষে সেদিন ছিল তোমার তেজি বিস্ফোরণ,
সময়টাকে পেছনে ফেলার ছিল আয়োজন।
দুর্নিবার এক আর্কষণে যাত্রা হল দুর্বার,
চলার পথে বাধা যত হয়েছে চুরমার।
.
সময়ের বিরান পথে তুমি আজ একা নিঃসঙ্গ,
মুখ থুবড়ে তোমার স্বপ্ন কেঁদে চলে অবিরত।
.
তুমি এখন দাঁড়িয়ে আছ যেথা,
বৃক্ষরা পত্র-পল্লবহীন হেথা।
পথের ধারেই মুঠো মুঠো ছায়া,
বেচে চলছে নিদারুন দৈন্যতা।
চালকের আসনে উপবিষ্ট মহারাজ গর্ধব,
মানুষেরই পিঠে বোঝাগুলো সারি সারি সব।
আহা ! বোঝা বহনে মানুষের সেকি আনন্দ !
বাহ ! মহারাজের সৃস্টি কত যে অনন্য।
মহারাজের আবিষ্কার অভাষা যদিও দুর্বোধ্য,
তুমুল হর্ষধ্বনিতে তাও হয়ে ওঠে কি সুমিষ্ট।
কামার কুমোর সরব হয়ে কলম চালায় গায়ের বলে,
এখন সব কিছুই ভাই তাদেরই দখলে।
.
অবাক রাজ্যে অবিরত লুট হয়ে যাচ্ছে মনুষ্যত্ব,
জরাগ্রস্থ আজ ম্রিয়মান আলোয় চুইয়ে পরা নিখাঁদ সত্য।
.
তবু তুমি জেগে রও অতন্দ্র প্রহরী হয়ে,
স্বপ্ন তোমার বাচাঁতেই হবে আগামীর তরে।
.
বরিশাল
পলিটেকনিক রোড
২৭.০৮.২০২০