মোহাম্মদ নূরুল্লাহ ।।
খান সেনাদের পা-চাটা কুত্তাগুলো পড়েছে হুমড়ি খেয়ে
নিরীহ, নিরস্ত্র, কৃষক-শ্রমিক-সধবা-বিধবা অনূঢ়দের উপরে।
কামান আর মর্টার সেলের দ্রিম দ্রিম শব্দে চারদিক কম্পমান;
চাঁদের আলো দূরীভূত হয়ে কালোয় কালোয় ঘনীভূত চারদিক, চারপাশ।
লাশের উপর লাশ যা ইতোপূর্বে কেউ দেখেনি কখনো।
[লর্ড ক্লাইভের পলাশীর প্রান্তরের সে যুদ্ধ কিংবা
মীর নেসার আলী তিতুমীরের বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার চিত্র।]
গরু, ছাগল, কুকুর আর মানুষের লাশ একাকার হয়ে
খালে-বিলে- ডোবায় কিংবা নদীতে ভাসছে।
কাক শকুন ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে আর ঠোকরাচ্ছে
সে এক বীভৎস চিত্র।
খান সেনাদের প্রেতাত্মারা আজও দিনে দুপুরে
নীরীহ নিরস্ত্র লোকদের গুলি করে মারছে, গুম করছে,
বিবস্ত্র করছে রমণীদের।
এরা জানোয়ার সদৃশ;
স্বাধীন দেশে এদের জায়গা হয় কী করে ?
কাল আর কালো মিলে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল ২৫ মার্চ।
বারুদের গন্ধ, গুলির ঠাস্ ঠাস্ আওয়াজ
মায়ের বুক কেঁপে ওঠে।
সন্তানের কান্না থামাতে গিয়ে মা মুখ চেপে ধরে।
প্রেতাত্মারা নিপাত যাক, নিরীহ মানুষ মুক্তি পাক,
নিরস্ত্র মানুষ বেঁচে থাকুক নির্ভয়ে, স্বাধীনভাবে।