এ. এম. আবদুল জাহের
একটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেল !
ওরা চেয়ে চেয়ে তা দেখল,
ওরা কী মানুষ ? না, ওরা মানুষ হতে পারেনা !
ওরা নরঘাতক পাকিস্তানী প্রেতাত্মা,
ওরা ৭১’এর যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার-হায়নার দল।
ওরা বাঁচতে দিলনা বঙ্গবন্ধুকে !
যে জাতির মুক্তির পানে
জীবন দিলো ত্রিশ লক্ষ প্রাণ,
যে জাতির মুক্তির জন্য
তিন লক্ষ নারী দিল তার সম্ভ্রম,
শেষ অবধি দিতে হলো
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী
শেখ মুজিবের প্রাণ।
এরপরেও থেমে থাকেনি ওরা,
ওরা পিতার সামনে
নির্মমভাবে কেড়ে নিলো
নিষ্পাপ শিশু সন্তান শেখ রাসেলের প্রাণ।
ওরা কারা ? ওরা কারা ?
ওরা বসে আছে
ক্ষুধার্থ প্রেতাত্মার মতো
ওরা বেচেঁ আছে এখনও
এ বাংলা মায়ের বুকে।
ওরা হত্যা করতে চেয়েছিল
শেখ মুজিব-এর বেচেঁ থাকা সন্তান
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।
ওরা গ্রেনেডের আঘাতে কলংকিত করেছিল
বাংলা মায়ের শেষ ভরসাকে,
বাঁচিয়ে রেখেছে বিধাতা তাঁকে
বাঙ্গালী জাতির স্বপ্ন পুরনের প্রত্যাশা নিয়ে।
অবাক বিশ্ববাসী !
হতবাক ও বাকরুদ্ধ বাঙ্গালী জাতি !!
যে এনে দিল একটি মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকা
যে এনে দিল সাত কোটি মানুষের
স্বপ্ন পুরনের সোনার বাংলা।
জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে
ওরা বাঁচতে দিলনা।
তাঁর বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন
ত্রিশ লক্ষ শহীদের আমিও একজন।
বঙ্গবন্ধুর আত্মা এখনও যেন বলছে, আমি মরিনি !
আমি বেচেঁ আছি প্রতিটি বাঙ্গালির অন্তর গহীনে।
তুমি বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান
স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে
তোমার আত্মত্যাগের এ অবদান থাকবে চিরঅম্লান,
তোমার আত্ম ত্যাগে আজও কাঁদে বাঙ্গালী, কাঁদে শিশু সন্তান।
স্বার্থক তুমি, স্বার্থক তোমার জন্ম
রেখে গিয়েছো তুমি
বাঙ্গালী জাতির জন্য তোমার যোগ্য সন্তান।
এ. এম. আবদুল জাহের (এম.এ,এম.এড)
সিনিয়র সহকারি শিক্ষক
সরকারি সংহতি পাইলট মডেল মা: বিদ্যালয়।
হিজলা, বরিশাল।