এনামুল খাঁন
জীবনে এ পর্যন্ত অনেক ক্রেস্ট পেয়েছি কিন্তু সর্বাধিক পঠিত কবিতার জন্য এবারই প্রথম ক্রেস্ট পেলাম । ক্রেস্টটি বরিশাল থেকে পাঠিয়েছেন ‘মুক্তবুলি’ ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটের সত্ত্বাধিকারী সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দীন । এখানে আমার দুটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে । একটি ‘করোনা’ অন্যটি ‘ছ যদি শ হয়’। ‘লেখক যারা, পাঠক তারা’ শ্লোগানকে ধারণ করে মুক্তবুলির পক্ষ হতে লেখকদের উৎসাহিত করার জন্য প্রতি মাসে সর্বাধিক পঠিত লেখার লেখককে ক্রেস্ট, বই ও ম্যাগাজিন পাঠিয়ে সম্মানিত করার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ।
বন্ধুবর সাহিত্যপ্রেমী আযাদ আলাউদ্দীন সবসময় নবীন লেখকদের উৎসাহিত করতে চান । ২০০৩ সালের দিকে আমার প্রথম লেখা ছাপা হয়েছিল বরিশালের দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকায় তাঁর হাত দিয়ে, এরপর অনেকগুলো প্রবন্ধ ও কবিতা ছাপা হয়েছিল এবং সেগুলো বেশ পাঠকপ্রিয় হয়েছিল। আযাদ আলাউদ্দীনের সাথে পরিচয় আমার অতি ঘনিষ্ঠ প্রিয় বন্ধু ভোলার মিজানুর রহমানের মাধ্যমে, মিজান বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক ভোলার লালমোহন শাখার ম্যানেজার। ছাত্রজীবনে বরিশাল বিএম কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পড়ার সময় বন্ধু মিজানের সাথে আমার বেশির ভাগ সময় কাটত; এছাড়া পরবর্তীতে কষ্টকর দুঃসময় ও বেকারত্বের যন্ত্রণা আমরা ঢাকায় একত্রে পার করেছি । মিজান, আলাউদ্দীন আর আমি একত্রে বরিশালে বহু রাত বহুদিন পার করেছি । আমরা তিনজনই ছিলাম একই ইয়ারের সাহিত্যের ছাত্র। মিজান এবং আমি ছিলাম ইংরেজিতে- আর আযাদ আলাউদ্দীন ছিলেন বাংলায়। যে কারণে আমাদের তিন বন্ধুর আড্ডার অন্যতম বিষয় ছিলো সাহিত্য। সাহিত্যের ছাত্র হওয়ায় আমাদের আড্ডা ঘুরেফিরে আবর্তিত হতো সাহিত্যকে ঘিরেই। মিজান ও আলাউদ্দীন উভয়ের গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে আমার । ভোলায় তাদের এলাকার ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের দধি, রাজহাঁসের মাংস, পিঠা আর ইলিশ মাছ খাওয়ার স্মৃতি কখনও ভোলার নয় ।
বন্ধু আযাদ আলাউদ্দীনের মাসিক পত্রিকা ‘মুক্তবুলি’ প্রকাশ এবং করোনাকালিন এই কঠিন সময়ে মুক্তবুলি ওয়েবসাইট চালু রেখে মানসম্মত লেখা প্রকাশ তার বর্নিল কর্মময় জীবনের এক অনন্য সংযোজন। আমি প্রিন্টেড মাসিক মুক্তবুলি ম্যাগাজিন ও মুক্তবুলি ওয়েবসাইটের উত্তোরত্তোর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা প্রত্যাশা করছি।
এনামুল খাঁন ২৮তম বিসিএস ক্যাডার। জেলা কমান্ড্যান্ট , সুনামগঞ্জ ও সিলেট, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি।
সকলের জন্য দোয়া রইলো