মানিক মিয়া ১৯৪৬ সালে জননেতা সোহরাওয়ার্দীর প্রতিষ্ঠিত ও আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার পরিচালনা বোর্ডের সচিব পদে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালের শেষ দিকে কাগজটি বন্ধ হয়ে গেলে কলকাতা ছেড়ে ঢাকা চলে আসেন। ১৯৫১ সালের ১৪ আগস্ট বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের মুখপত্র সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৬৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক প্রেস ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি এবং ১৯৫৬ সাল থেকে দুই বছরকাল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারওয়েজের (পিআইএ) পরিচালক ছিলেন।
মানিক মিয়া ছিলেন স্পষ্টভাষী, নির্ভীক ও আপসহীন। গণমানুষের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সামরিক শাসনের অবসানে তার অবদান স্মরণীয়। ছয় দফা আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইত্তেফাকের প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং এর ছাপাখানা নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ১৯৬৭ সালের ২৯ মার্চ তিনি মুক্তি লাভ করেন। এর আগেও রাজনৈতিক কারণে তাকে ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে গ্রেফতার করা হয় ।
গণদাবির মুখে আইয়ুব সরকার ১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইত্তেফাকের প্রকাশনা থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৬৯ সালের ২৬ মে মানিক মিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডি যান। সেখানে ৩১ মে রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পয়লা জুন তিনি ইন্তেকাল করেন।
তথ্যসূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত