নাহার আলম ।।
যদিও-বা কিন্তু কিন্তু করছে আমার হাতের সবক’টা আঙুল…
বিষম অস্বস্তিতে বাধোবাধো করছে চোখ ও মন…
ক্ষতঝরা হৃদয় বেঘোরে ঘুমিয়ে তখন… কী করি এখন?
বসন্ত নয়, হসন্ত এসে মাঝখান বরাবর দাঁড়িয়ে যখন!
সব নয়, কিছু প্রিয় নামের আগে বেসামালে বসতে চাইছে –‘অ’!
চোখের পলকে গোনা…নোনাজলে বুনতে চাইছে অকৃতজ্ঞ কিছু বিরহীকণা…
আত্মাভিমানে ক্ষয়ে যেতে চাইছে প্রণয়াকুল প্রহরের মিষ্টি যাতনার সিম্ফনি…
জানি আকাশের পথ ধরে… চীনের সুদূরে…
শোধ করা মোহরে…ছুঁয়ে আছো আজ, অন্য গৃহ-গর্ভের গভীরে!
কী করে বলো, এতো সহজেই যাই ভুলে?
সব জেনেও…তবুও কাটাখালি গলির মোড়ে…পলাতকা গোধূলির তীরে…
জানো? তোমাকেই ভাবছি অবাক উতরোলে!
অচেনা অক্ষরে চেনা গন্ধে তোমাকেই খুঁজছি তাদের কোলাহলে…
খুঁজছি তোমাকেই, হেমন্তের বেলা ক্ষয়ে আসা পাখিদের নীড়ে ফেরার-কালে…