পর্ব ৪
মুহাম্মাদ আবদুল মাননান
রসুল (সা:) তার কথায় অসন্তুষ্ট হলনে। তিনি বললেন : ‘এখন থেকে সাবধান হও। কখনো শিশুদের হত্যা করবে না। প্রতিটি শিশুই নিষ্পাপ ফুলের মতো।’ এই ফুল একদিন প্রস্ফুটিত হয়ে সমাজকে করবে মুখরিত ও আলাকিত।’ শিশুরা হলো আল্লাহর প্রদত্ত আমাদের জন্য নিয়ামত ও বরকত স্বরুপ। রসুল (স.) বলছেনে “শিশুরা হলো জান্নাতের প্রজাপত”। আবদুল্লাহ বনি জাফর (রাঃ) বলনে, মহানবি (সাঃ) যখন কোনো সফর শেষে বাড়িতে ফিরতেন তখন বাচ্চারা তার আগমনের পথে গিয়ে অভ্যার্থনা জানাত। একদা তিনি তার সফর থেকে এসে আমাকে তার বাহনের সামনে বসালনে। অতঃপর নাতি হাসান, হোসেন (রা.) কে বাহনের পিছনে বসালনে। তারপর আমাদের নিয়ে তিনি মদিনায় প্রবেশ করলেন। [মুসলিম : ৬৪২১] আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, বিজয়ীবেশে মহানবি (সাঃ) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন আবদুল মুতালবি বংশের ছোটো ছোটো ছেলে তাঁর কাছে আসেন।তিনি তাদের একজনকে নিজ বাহনের সামনে বসালেন এবং অপর একজনকে পিছনে বসালেন। [বুখারি: ১৭০৪]
আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি মহানবি (সাঃ) এর কাছে হাজির হয়ে বললেন, ‘আমার অন্তর বড়ই কঠিন। তিনি বললেন, তুমি কি তোমার অন্তর কোমল করতে চাও? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে ইয়াতিম বাচ্চাদের আদর করো, স্নেহ-ভালোবাসা প্রদান করো, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও, তাদের খাবার খাওয়াও। তবেই তোমার অন্তর কোমল হবে। মুহাম্মাদ (সা:) এর বয়স যখন ১২ বছর, তখন কুরাইশ ও কাইস গোত্রের মাঝে যুদ্ধ বেঁধে যায়।এই যুদ্ধের নাম ‘হারবুল ফুজ্জার’ বা অন্যায় যুদ্ধ। এ যুদ্ধ ৫ বছর স্থায়ী হয়। মুহাম্মাদ (সা:) স্বয়ং তার চাচা আবু তালিবের সঙ্গে কুরাইশ পক্ষে এ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন । বয়স কম বলে যুদ্ধে মুহাম্মাদ(সা:)এর দায়িত্ব ছিলো তীর কুড়িয়ে আনা। এই যুদ্ধে কুরইশরা জয়লাভ কর।এ যুদ্ধে বীভৎস দৃশ্য মুহাম্মাদ(সা:)কে সাংঘাতিকভাবে আঘাত করে। মক্কায় তখন কিছু ছোট্ট শিশু-কিশোররা মিলে ‘হিলফুল ফুজুল’ বা শান্তিসংঘ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন । আলি (রা.), খালিত বিন অলিদের মতো ছোট্ট শিশু-কিশোররা ছিলেন এ সংঘের মহানবি (সা:) এর বন্ধু ।এভাবে রসুলুল্লাহ (সা.) এর প্রোজ্বল আলোয় আলোকতি হয়েছিল শিশুরা। আলোকিত হয়েছিল বিশ্বভুবন।
::::::::সমাপ্ত:::::::
লেখক :
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাংকার
Darun Lekha