আযাদ আলাউদ্দীন ।।
.
মুক্তবুলি অনলাইনে প্রকাশিত লেখার মধ্যে মে ২০২১ মাসের সর্বাধিক পঠিত লেখার ‘সেরা লেখক’ মনোনীত হয়েছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিমুল সুলতানা। তিনি একজন সংস্কৃতিবান মানুষ ও আবৃত্তিশিল্পী। সচেতন নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সরকারি সফরে ‘শ্রীলঙ্কার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা’ দেখার সুযোগ পেয়েছেন শিমুল সুলতানা। তার দায়িত্বকালে কীর্ত্তিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে দুইবার শিক্ষা পদক লাভ করে। তিনি শিক্ষক বাতায়ন ও এ টু আই থেকে সেরা নেতৃত্ব এবং জেলা আই সি টি এম্বাসেডর নির্বাচিত হন ২০২০ সালে। শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে ঝালকাঠি জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি।
মুক্তবুলি ওয়েবসাইটে তিনি ‘কেন জিতবে !’ শিরোনামে একটি কবিতা লিখেন। এই কবিতাটি ৯ হাজারেরও অধিক পাঠক পড়েছেন। যা মে মাসের সর্বোচ্চ পঠিত লেখা। সেরা লেখক মনোনীত হওয়ায় তিনি মুক্তবুলির পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাবেন সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও বই। মুক্তবুলি লেখক সম্মেলনে তার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
.
এরআগে কবিতা ও গল্প লেখায় তিনি পেয়েছেন যুগান্তর-ওয়ালটন সেরা গল্প লেখক পুরস্কার, নেদারল্যান্ডস রাস্ট্রদূত প্রদত্ত ল্যাপটপ পুরস্কার, ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক সম্মাননা স্মারক পেয়েছন তিনি। শিশুদের নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন শিমুল সুলতানা। করোনাকালে তার পরিচালনাধীন শিশু মুখ এবং শিমুল বাগিচা পেজ ও গ্রুপ থেকে নিয়মিত সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
শিক্ষা জীবনে শিমুল সুলতানা এইচএসসি পর্যন্ত ঝালকাঠীতে এবং বরিশাল ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স উত্তীর্ন হন। ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড, এম,এড ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি একজন শিক্ষক প্রশিক্ষক।
.
সঞ্চালনা ও আবৃত্তিচর্চায় তিনি সমাদৃত। বরিশাল বেতারে ঘোষক হিসেবে অবসরে কাজ করেন। ইতোমধ্যে তার একক ও যৌথ ৪ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও পত্র পত্রিকায় তার তিনশতাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। একসময় তিনি ম্যাসলাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি) প্রকাশিত মুখপত্র ‘মেঠোবার্তা’য় তৃণমূল সংবাদকর্মি হিসেবে লেখালেখি করতেন।
কৈশরে তিনি সার্ক প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশে প্রথম হয়েছিলেন। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন তিনি ‘কবিতা উৎসবে’ স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। সেই কবিতা শুনে কবি শামসুর রাহমান তখন তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন।
তিনি বিদ্যালয়ের শিশুদের মেধা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে করোনাকালীন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যবস্থা করে চলেছেন। তার স্বপ্ন আগামীর শিশুদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে সবাইকে একাত্ম করা।
অভিনন্দন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
কৃতজ্ঞতা অশেষ মুক্তবুলির সম্পাদক, শুভানুধ্যায়ী
আর পৃষ্ঠপোষকদের বিশেষ ধন্যবাদ যারা আমার লেখাটি পড়েছেন বিদগ্ধজন সকল পাঠকের প্রতি।
অভিনন্দন
শুভকামনা রইল