মোহাম্মদ নূরুল্লাহ্ :
ভাদ্রের নিশিতে
মনে যদি পড়ে যায়
তোমার নয়ন যুগল
দোষিবে কি আমায়
বিনা দোষে।
ভাদ্রপা লিখেছিলেন
হাজার বছর আগে
বিরহের গানগুলো
এই ভাদ্রে।
দুঃখ ভরা মন নিয়ে
বিরহিনী ডাহুক
ডেকে যায় প্রেমিককে।
কী মান অভিমান
কে জানে!!
ক্লান্ত,শ্রান্ত ডাহুক
বিরহিনীর ডাকে
সাড়া দেয়
অবশেষে।
ভাদ্রের এ সময়ে
পথিক হারায়ে পথ
দিশেহারা হয়ে
ঘোরে বিপথে।
ভাদ্রের এই ক্ষণে:
কবি ভাবে বিরলে;
প্রিয়ার তুলতুলে কপোল,
নূপুরের নিক্কনধ্বনি মিশ্রিত
পদযুগল।
শুধু কি তাই —
ভাদ্রের পাকা তাল
মায়ের বানানো
তালের বরা, তালদুধ
মেশানো ভাত, আরো কতো কী!
যার মিষ্টি ঘ্রাণ, এখনো নাকে এসে লাগে!
তোমার তেজ আর উষ্ণতায়
জনজীবন অতিষ্ঠ, হে ভাদ্র!
একদিকে বিদ্যুতের জন্যে
হাহাকার, অপরদিকে বাজারের সবি
তোমার তেজে উত্তেজিত।
এমন তো হওয়ার ছিলনা কথা,
কেন তুমি বিরাগভাজন হলে
বলবে কি আমায় তোমার ব্যথা!
আমি ভুলতে চাই না প্রিয়ার
কালো চুল, ভুলতে চাইনা
তাঁর স্মিত হাসি!
ভাদ্র তুমি স্বরূপে ফিরে এসো
অন্ততঃ একবার,
এ মিনতি করি আমি
সকলের হয়ে।
মোহাম্মদ নূরুল্লাহ্
ফরিদপুর।