মোহাম্মদ নূরুল্লাহ্ :
” আমি বলেছি —
আমার মতন–
মেনে নিতে পারো,
না – ও পারো
রয়েছে তব স্বাধীন চেতন।
এসেছি ফিরে তব দ্বারে,
নিতে পারো মোরে যতন।
আমি ধূমকেতু নই,
তেজস্বী সূর্যের মতন,
জ্বলতে চাই , জ্বালাতে চাই
এ ভুবন।
আমি সন্ধ্যা তারা নই,
যে হারিয়ে যাবো, রাত গভীর হলে;
স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ পূর্ণিমা চাঁদ।
জগতকে করতে চাই
আলোকিত।
আমি এসেছি–
আনন্দের বার্তা নিয়ে।
প্রস্তুত আছো কিনা পরখ করতে।
আমি বিলাতে চাই–
আমাকে —
নিতে পারো সানন্দে।”
নকিবের বার্তায় চমকে উঠি !
সত্যিই কি আসবে ধরায়
কোন রাহবার?
হয়তো আসবে!
দেখবো নয়ন মেলে।
ঘাসগুলো পুড়ে ছাই হবে।
অসী আর মসী এক হয়ে
সুপ্ত পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলবে।
কোকিলের কণ্ঠে বিদ্রোহী শ্লোগান
মুখরিত হবে চারদিকে।
কাকের কা কা ধ্বনি শুনবো না এ ধরাধামে।
সুকান্ত, জীবনানন্দ, নজরুল
এক স্বরে গাইবে যে গান।
সে গানের সুরে হৃদয় উঠবে নেচে।
ফররুখ দূর থেকে দেখবে তাকিয়ে
কী যে এক মিলন মেলা আসবে
ধরাতে।
ইউক্রেন রাশিয়া পরস্পর মিতালি পেতেছে।
ইসরাইল ফিলিস্তিন পরস্পরকে আলিঙ্গন
করছে।
সুবাতাস বইবে ধরার মাঝে।
এমন একটি পৃথিবী যবে আসবে।
হানাহানি, মারামারি, যুদ্ধ
অভিধানের পাতায় কেবল খুঁজবে।
সে দিনের অপেক্ষায় —
বিশ্ববাসী ক্লান্ত শ্রান্ত।
কেউ এসে বলবে :
“আমি এসেছি–
আমার মতন।”
মোহাম্মদ নূরুল্লাহ্
ছায়ানীড়