সৈয়দ ওয়ালিদুর রহমান
ভাবছিলাম একটা কবিতা লিখব
সুটবুট টাই সর্বস্ব কর্পোরেট কর্তারা যেন
মুখ ফিরিয়ে টিশার্ট গ্যাবারডিন আর হাওয়াই শার্টে
ফিরে আসে।
ভাবছিলাম অব্যয়বিহীন একটা মিত্যব্যয়ী কবিতা লিখব
যাতে দীর্ঘ বক্তৃতা ছেড়ে জনপ্রতিনিধিরা জানে
‘Brevity is the soul of wit’.
এমনটা একটা কবিতা লেখার শখ অনেকদিনের
যাতে স্ক্র, নাট আর কলকব্জার ঝনঝনানি হতে
এক পসড়া প্রশান্তি পায় কলকারখানার কর্মী।
ভাবছিলাম র্নিলজ্জ হয়ে
ঊরু, নিতম্ব, নাই নিয়ে একটা গদগদ স্তুতি লিখব
যাতে বমি করে মুখ ফিরে যায় কামাতুর পথচারীর।
সবুজ প্রশস্ত প্রান্তেরর বুক চীড়ে যাওয়া
সরু মেঠোপথ নিয়ে একটা কবিতা লিখব ভাবছিলাম
যেন আবদ্ধ দালান ভুলে লোকজন যাযাবর বনে যায়।
ভাবছিলাম তরিৎচুম্বক তরঙ্গের উর্ধে উঠে
কোয়ান্টামতত্ত্বকে ছাপিয়ে অনশ্চিত মেঘবলয় নিয়ে
একটা ভার্চুয়াল ভাববাদী পরাবাস্তব কবিতা লিখব
যাতে আপাত বাস্তববাদীরা ভয়ে ভরকে ওঠে।
জীবনের সুখদুঃখ দেনাপাওনা হিসেব করে
পার্থিব-অপার্থিব সম্পদ-দায়কে সংখ্যায়িত করে
একটা এক্সপেরিমেন্টাল কবিতার ব্যালেন্সশিট বানাবো
বলে অনেকদিনের ভেবেছিলাম
যেন সম্পদের সংগাটাই বদলে যায়।
ভাবছিলাম
নদী পাখি গান পাহাড় পাথর প্রানহীন প্রান
বুদ্ধি দক্ষতা বিবেক আবেগ সব্যসাচী জ্ঞান
বাস্তব পরাবাস্তব ভাববাদী আনুমানিক বিজ্ঞান
ম্যানুয়াল ভার্চুয়াল জাগতিক মহাজাগতিক বান
সব প্যারাডক্স ঘুচিয়ে একটা কবিতা লিখব-
কিন্তু এ অলস অনিয়ন্ত্রিত ব্যস্ততায় তা আর হয়ে ওটে না
যা হয় তাকে বড়জোড় একগুচ্ছ ছন্নছাড়া গদ্য বলা যায়
Awesome post! Keep up the great work! 🙂