প্রবন্ধ

কাশ্মির থেকে বাংলাদেশ

মাহমুদ ইউসুফ নুহ নবির পুত্র সাম সেমিটিক সভ্যতার  স্রষ্টা। সামের নাম থেকেই সাম (সিরিয়া) নামকরণ। এশিয়া মাইনর থেকে আরব সাগর, নীলনদ থেকে সিন্ধুনদ পর্যন্ত সামিয় বা সেমিটিক সভ্যতা গড়ে ওঠে। এটিই পৃথিবীর মানব ইতিহাসের প্রথম সভ্যতা। সামের ষষ্ঠস্তরের বংশধর আবু ফির তার গোত্র নিয়ে প্রবেশ করেন ভারতবর্ষে। প্রথমে স্থিত হন সিন্ধুনদের তীরে। ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেন। আবু ফির …

সম্পূর্ণ পড়ুন

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ইতিবৃত্ত: পর্ব ১৭

চীনের জাতীয়তাবাদী সরকার কর্তৃক গণহত্যা  একনায়কতন্ত্রের জের ধরে ইতিহাসের সবচাইতে বড় গণহত্যার একটি নজির স্থাপনের জন্য চীনের জাতীয়তাবাদী সরকারকে দায়ী করা হয়ে থাকে। বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রুডলফ রুমেলের হিসেব মতে, প্রায় ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮৫ লাখ গণহত্যার পেছনে চীনের এই জাতীয়তাবাদী সরকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি এই গণহত্যার কিছু কারণ অনুসন্ধান করেছিলেন। প্রায় ১০ লাখ চীনা নাগরিককে অনাহারী করে রাখা হয়েছিল এবং …

সম্পূর্ণ পড়ুন

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ইতিবৃত্ত: পর্ব ১৬

জোসেফ স্টালিনের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়নে কমপক্ষে নিহত হয় ২ কোটি মানুষ জোসেফ স্টালিনের হাতে, সোভিয়েত পুলিশি রাষ্ট্রের হাতে, কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর একটা বড় অংশ নিহত হয়েছেন ক্ষুধায়, ইউক্রেনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আরোপিত দুর্ভিক্ষে। অন্যরা নিশ্চিহ্ন হয়েছেন ফায়ারিং স্কোয়াডে, সাইবেরিয়ার গুলাগে। স্টলিনের হাতে নিহত ব্যক্তিদের একজন ছিলেন বাংলাদেশের গুলাম আম্বিয়া লোহানী, মস্কো এসেছিলেন রুশ ‘বিপ্লবে’র পরপর। স্টালিনের নির্দেশে বিদেশি …

সম্পূর্ণ পড়ুন

অসভ্যতা-ই যখন সভ্যতার মাপকাঠি

মোহাম্মদ এমরান যুগে যুগে মানুষের স্বভাবজাত আচরণ ও সামাজিক সদাচরণের মাধ্যমে নানান সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। কালের বিবর্তনে এসব সভ্যতার মাপকাঠি দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখান থেকে মৌলিক অংশটুকু বেছে নিয়ে সামঞ্জস্যতার আলোকে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। কিন্তু বর্তমানে সমাজ সংসারে এ সভ্যতা খুব একটা দেখা যায়না। সভ্যতার বিষয়টি বর্তমানে এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটিয়ে অসভ্যতা-ই যেনো এখন …

সম্পূর্ণ পড়ুন

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ইতিবৃত্ত: পর্ব ১৫

অনার্যকে খুন করাই আর্যদের ধর্ম উপমহাদেশে আর্যরা ছিলো আক্রমণকারী। প্রেম, মৈত্রি, মানবতা, মনুষ্যত্ববোধকে কলুষিত করা ছিলো হানাদার আর্য বাহিনীর টার্গেট। এ পথেই তারা ভারতে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে কালক্রমে। অহিংস ভারতবর্ষকে আর্যহিন্দুরা সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য বানায়। অনার্যকে খুন করাই আর্যদের ধর্ম। ঋগবেদ ও অথর্ববেদ ‍আমাদের তাই জানিয়েছে। আজও তাদের চরিত্রে কোনো বদল আসেনি। মোনালী ঠাকুর ঠিকই বলেছেন: ‘ভারত আর বসবাস করার …

সম্পূর্ণ পড়ুন

বিপদের মুখে ভারতের সংখ্যালঘু

  ভারতে জরুরি অবস্থার চেয়েও মারাত্মক পরিস্থিতি চলছে। এবার রাষ্ট্র নিজেই সংখ্যালঘু, দলিত, খ্রিস্টান, মুসলিম ও বামসহ সকল বিরুদ্ধ মতের লোকদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা সমস্যা তৈরি করছে। মিডিয়াকে এখানে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাথে রয়েছে ঘাতক নজরদারির লোকজন ও ঘৃণা ছড়ানোর বাহিনী। যারাই তাদের বিশেষ আদর্শের বিরোধিতা করছে, তাদেরকে অপরাধী বানানো হচ্ছে, আটক করা হচ্ছে অথবা ডান-পন্থী ঘাতকদের মাধ্যমে …

সম্পূর্ণ পড়ুন

বঙ্কিমচন্দ্রের চেতনা

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় আনন্দমঠ উপন্যাসে ভবা মহেন্দ্রকে বলেছেন, কোন দেশের মানুষের সিন্দুকে টাকা রাখিয়া সোয়াস্তি নাই। সিংহাসনে শালগ্রাম রাখিয়া সোয়াস্তি নাই, ঝি-বউয়ের পেটে ছেলে রেখে সোয়াস্তি নাই, পেট চিরে ছেলে বার করে (মুসলমানরা)। সকল দেশের রাজার সঙ্গে রক্ষণা-বেক্ষণের সম্বন্ধ আমাদের মুসলমান রাজ রক্ষা করে কই। ধর্ম গেল, এখন প্রাণ যায়। এ নেশাখোর নেড়েদের (মুসলমানদের) না তাড়াইলে আর হিন্দুর হিন্দুয়ানী থাকে না। …

সম্পূর্ণ পড়ুন

ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা

ভারতীয় সাংবাদিক মৃদুল দে লিখেছেন, ‘ভারতে ১৭৩০ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে অর্থাৎ প্রায় দুশো বছরে ৩৯টি দাঙ্গা হয়েছে। মুলত ২৮ টি উত্তর ভারতের শহরেই। কিন্তু ১৯২৫ সাল থেকে ১৯২৭ সালের মধ্যে অর্থাৎ দুই বছরে ১০১ টি দাঙ্গা হয়েছে। … –১৯৫৩ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে ৬৩০ টি দাঙ্গা হয়েছে, বছরে ৩৮টি। ১৯৬৯ সালে ৫১৯টি, ১৯৭০ সালে ৫২১ টি, ১৯৮০ সালে ৪২৭ …

সম্পূর্ণ পড়ুন

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ইতিবৃত্ত: পর্ব ১৪

  আফ্রিকায় সাদা চামড়াওয়ালাদের ঔপনিবেশিক শোষণ ও বর্বর বর্ণবাদ আফ্রিকা মহাদেশের ইতিহাস হলো ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক চরম অমানবিক শোষণ, লুণ্ঠন, ধর্ষণের ইতিহাস। তারা কেবল মহাদেশটি দখলই করেনি, আফ্রিকা থেকে মানুষ শিকারের ব্যবসা চালিয়েছিল কয়েক শতাব্দী ধরে। আমেরিকা মহাদেশে ও কৃষ্ণ আফ্রিকায় ইউরোপীয় বুর্জোয়ারা যা করেছিল তা ছিলো ইতিহাসের বর্বরতম অধ্যায়। ইউরোপীয় দস্যুর দল পশু শিকারের মতো মানুষ শিকার করত …

সম্পূর্ণ পড়ুন

ভারতে মাঝে-মধ্যে মুসলিম মন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট করা হয় কেন?

  ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা হিন্দুবাদেরই নামান্তর। আর মাঝে মধ্যে ‘মুসলিম’ মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, এমপি বানানো হয় দুটি উদ্দেশ্যে: এক. ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার আসল রূপ ঢাকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ব-বিবেককে বিভ্রান্ত করার জন্য। দুই. ভারতের `দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মুসলিমদের’কে ধোঁকা দেওয়ার জন্য।   বিস্তারিত: এস. এ. সিদ্দীকি বার এট ল: ভুলে যাওয়া ইতিহাস, রফিক মঞ্জিল, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম, প্রথম সংস্করণ, জুলাই ১৯৭৫, পৃষ্ঠা ৮৬।

সম্পূর্ণ পড়ুন