তিনি নবযুগ, বুলবুল, সহচর এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার সাথেও সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাস্থ্যহানির দরুন ১৯৩৫ সালে নিজ গ্রামে ফিরে যান। জীবনের বাকি দুই দশক কাটিয়ে দেন সেখানেই।
বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্রাঞ্জল ভাষার প্রবন্ধকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে যে ক’জন ব্যক্তিত্ব খ্যাতিমান হয়েছেন, ওয়াজেদ আলী তাদের একজন। প্রজ্ঞাপূর্ণ প্রতিভাবলে উন্নতমানের জীবনী, সম্পাদকীয়, নকশা প্রভৃতি রচনা করা তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল। দুই শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ লিখলেও জীবদ্দশায় তার বই বেরিয়েছিল খুব কম। তাঁর লেখা ছোট বা মাঝারি আটটি গ্রন্থের হদিস পাওয়া যায়। তার বিষয়বস্তু ছিল ইসলামের আদর্শ-ঐতিহ্য-মূল্যবোধ। শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম ও ভাষা সম্পর্কে তিনি অনেক মূল্যবান প্রবন্ধ লিখে গেছেন।
তার রচনার একটি বড় বৈশিষ্ট্য, সহজ-সাবলীল প্রকাশভঙ্গি। তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে- মরুভাস্কর ১৯৪১, মহামানুষ মুহসীন ১৯৪০, সৈয়দ আহমদ, হজরত মোহাম্মদ ১৯৪৮, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৯, মনিচয়নিকা ১৯৫১, ডন কুইকজোটের গল্প ও স্মার্না-নন্দিনী।
বাংলা একাডেমি তার রচনাবলির অংশবিশেষ দুই খণ্ডে প্রকাশ করেছে। আদর্শনিষ্ঠ ওয়াজেদ আলী এতই দৃঢ়চেতা ছিলেন যে, সরকারি চাকরি পেয়েও তা করেননি। বরং সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজসেবাকে জীবনের ব্রতরূপে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন যুক্তিবাদী মানস এবং পরিচ্ছন্ন চিন্তার অধিকারী। ১৯৫৪ সালের ৮ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন মাত্র ৫৮ বছর বয়সে।
Muktobuli | মুক্তবুলি Muktobuli is the most popular online blog to publish the rare news.
