মুক্তবুলি প্রতিবেদক ।।
কথাশিল্পী, প্রবন্ধকার ও অনুবাদক নাজিব ওয়াদুদ ৬৩ বছরে পদার্পণ করলেন। ১৯৬১ সালের ২০ জুলাই রাজশাহীর শ্যামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার উত্থান আশির দশকের শেষে, ছোটগল্পকার ও ছড়াকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা নব্বই দশকজুড়ে। এর পাশাপাশি তিনি শূন্য দশকে উপন্যাস, অনুবাদ ও প্রবন্ধ রচনায় মনোনিবেশ করেন।
তার এ পর্যন্ত প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে : ছোটগল্প- কাক ও কারফিউ (১৯৯৮), নষ্ট কাল অথবা হৃদয়ের অসুখ (২০০৮), কমরেড ও কিরিচ (২০১০), পদ্মাবতী কিংবা সুন্দরী মেয়েটির নাক বোঁচা (২০১১), বরেন্দ্রবাংলার গল্প (২০১২), সেরা পঁচিশ (২০১৭);
প্রবন্ধ- বিশ্বসাহিত্য বরেণ্য সাহিত্যিক (২০১৮); অনুবাদ- নোবেল বিজয়ী অরহ্যান পামুক (২০০৮), আনাড়ী রসিকজন (বালজাকের উপন্যাস, ২০১১), জননায়ক (চিনুয়া আচেবের উপন্যাস, ২০১২), আধুনিক ফিলিস্তিনী গল্প (২০১৩), স্বর্ণনদীর রাজা (জন রাসকিনের কিশোর ক্যাসিক, ২০১৩), বিশ্বসেরা ছোটগল্প (২০১৪); চিকিৎসা- কিছু সাধারণ রোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ (২০১৯); উপন্যাস- দ্বিতীয় হৃদয় (২০০৬), বিয়ের ফুল (২০০৮), এক যে ছিল ময়না (২০১২); ছড়া- ফুলকুড়–নি ধানকুড়–নি (২০০৯); সায়েন্স ফিকশন- ভিন গ্রহের জ্বিন (২০১২); সম্পাদনা : পদ্মাপাড়ের ছড়া (২০০৪) ও পদ্মাপাড়ের গল্প (২০০৭)।
সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতিস্বরূপ দেশ-বিদেশের বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন নাজিব ওয়াদুদ। লিটল ম্যাগাজিন ‘পরিলেখ’ ও ‘নন্দন’ সম্পাদনা করেন। কর্মজীবনে তিনি একজন চিকিৎসক।
১৯ জুলাই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান চিকিৎসক হিসেবে অবসরোত্তর ছুটি নিয়েছেন। নাজিব ওয়াদুদের জন্মদিন পালন উপলক্ষে রাজশাহীর পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ ২০ জুলাই বিকেলে নগরীর তালাইমারীস্থ পরিচয় প্রাঙ্গণে নাজিব ওয়াদুদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।