কথাসাহিত্যের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ

রুকাইয়া সুলতানা মুন ।।
.
সাধারণত খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ পৃথিবীতে অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। হুমায়ূন আহমেদ তাদের মধ্যে একজন। জি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথাই বলছি।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন। টানা ৪০ বছর ধরে নিজের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার তার এই অসাধারণ জাদুকরি ক্ষমতা লেখক পাঠক সমালোচক নির্বিশেষে সকল কে বিস্মিত করেছে।
তিনি ছিলেন একাধারে বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক এবং আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় নিজের নামের সাথে মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদের পিতা তার নাম রেখেছিলেন শামসুর রহমান। ডাকনাম কাজল। পরে অবশ্য তার বাবা নিজেই ছেলের নাম পরিবর্তন করে হুমায়ূন আহমেদ রেখেছিলেন। পিতার বদলীর চাকরীর সুবাদে তাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াতে হত। চট্টগ্রামে থাকাকালে তাকে বাচ্চু নামে ডাকত পরিবারের লোকজন। পরে ডাকনাম হিসেবে কাজল নামটাই স্থায়ী হয়ে যায়।
কিছু দিন পরপর ছেলেমেয়েদের নাম পরিবর্তনের অদ্ভূত একটা স্বভাব ছিল হুমায়ূন আহমেদের পিতা ফয়জুর রহমানের। পেশায় তিনি ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। ফয়জুর রহমান নিজেও সাহিত্য অনুরাগী মানুষ ছিলেন। লেখালেখিও করেছেন অল্প বিস্তর। বগুড়া থাকাকালীন তার রচিত ‘দ্বীপ নেভা যার ঘরে‘ নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফয়জুর রহমান এসডিপিও হিসেবে পিরোজপুর মহকুমায় কর্মরত ছিলেন এবং সেখানেই তিনি পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
হুমায়ূন আহমেদের মাতা রত্নগর্ভা আয়েশা ফয়েজ। পেশায় সাধারণ গৃহিণী হলেও তিনি ছিলেন দূরদর্শী বিচক্ষণ ও সুপ্ত সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী। আয়েশা ফয়েজের স্বরচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘জীবন যে রকম‘ তার সাক্ষ্য বহন করে।
তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন তার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। তার অনুজ দু’ভাই হলেন-
১. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল; ছোটবেলায় যার ডাকনাম ছিল বাবুল। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক।
২. আহসান হাবীব- হুমায়ূন আহমেদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। রম্য সাহিত্যিক ও কার্টুনিস্ট হিসেবে তিনি পরিচিত এবং জনপ্রিয়।
হুমায়ূন আহমেদের তিন বোন হলেন-
সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ ও রোকসানা আহমেদ।
.
শিক্ষা জীবন
পূর্বেই বলেছি বাবার বদলির চাকরির সুবাদে হুমায়ূন আহমেদ কে অনেকবার স্কুল বদলাতে হয়েছে। তবে তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তিনি ছাত্রাবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের ৫৬৪ আবাসিক কক্ষে থাকতেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়নে পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
.
কর্মজীবন
হুমায়ূন আহমেদ ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তখন সেখানে লেকচার হিসেবে তার বেতন ছিল ৬৫০ টাকা।
পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ফেরার পর কিছুদিন অধ্যাপনা করে শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন।
.
সৃষ্টি কর্ম
হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, গল্পকার, পরিচালক, নাট্যকার ও গীতিকার। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী একজন জাদুকর। যেখানেই তিনি স্পর্শ করেছেন সেখানেই সোনা ফলেছে।
হুমায়ূন আহমেদের রচিত বইয়ের সংখ্যা তিন‘শতের (৩০০ ) অধিক। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বই ‘নন্দিত নরকে‘ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। এটি তার দ্বিতীয় পান্ডুলিপি, কিন্তু প্রকাশিত প্রথম বই। তৎকালে আহমদ ছফার পৃষ্ঠপোষকতায় বইটি প্রকাশ করে খান ব্রাদার্স। স্ব-প্রনদিত হয়ে ‘নন্দিত নরক‘র ভূমিকা লিখে দেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. আহমদ শরীফ। যার কারনে পাঠক মহলে বইটি নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল। এই বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছিলেন জাফর ইকবাল ও শামীম শিকদার মিলে।
হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বই হচ্ছে ‘ শঙ্খনীল কারাগার‘। তবে এটিই তার প্রথম পান্ডুলিপি। ১৯৭১ সালে পান্ডুলিপি প্রস্তুত হলেও যুদ্ধাবস্থার কারনে সেটা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তাই নন্দিত নরকের পরে শঙ্খনীল কারাগার প্রকাশিত হয়। সেই থেকেই আর হুমায়ূন আহমেদ কে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি কখনো। তার সৃষ্টি চরিত্রগুলোর মধ্যে মিসির আলী, হিমু, শুভ্র, পাঠকের মনে এমনভাবে রেখাপাত করেছে নিজের অজান্তেই তারা কখনো হিমু কখনো মিসির আলি হয়ে উঠতে চেয়েছেন। মাতাল হাওয়া, মধ্যাহ্ন, দেয়াল, বাদশাই নামদার, জোসনা ও জননীর গল্প, বহুব্রীহি ইত্যাদি তার কালজয়ী গ্রন্থ। হুমায়ূন আহমেদ রচিত কিছু বই আমাদের বিভিন্ন ক্লাসে পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস ‘দেয়াল‘ তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত সর্বশেষ গ্রন্থ।
চিত্রপরিচালক ও প্রযোজক নওয়াজীশ আলী খানের হাত ধরে হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনা জগতে প্রবেশ।
হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম নাটক ‘প্রথম প্রহর‘। এটি নওয়াজীশ আলী খানের প্রযোজনায় ১৯৮৩ সালে দেশের একমাত্র টিভি চ্যানেল বিটিভিতে প্রচারিত হয়।
এরপর নওয়াজীশ আলী খান ও হুমায়ূন আহমেদ এই দুই জুটি মিলে একত্রে অনেকগুলো চমৎকার নাটক দর্শকদের উপহার দেন। সেসব নাটকের কথা, চরিত্র ও ডায়লগ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও পরিচালিত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিন রাত্রি‘ নাটকটি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বিটিভি‘ তে প্রচারিত হয়েছিল।
হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি‘ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র।
১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলে এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট আটটি পুরস্কার লাভ করে।
এরপর শ্যামল ছায়া, শঙ্খনীল কারাগার, শ্রাবণ মেঘের দিন, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, আমার আছে জল, দারুচিনি দ্বীপ সহ অনেকগুলো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘ঘেটুপুত্র কমলা‘ চলচ্চিত্র টি নির্মান করেছিলেন। তার অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলোর মত এটিও বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল এবং অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
বহুমুখী মেধার অধিকারী হুমায়ূন আহমেদ অনেকগুলো গান রচনা করেছেন। কালজয়ী সেসব গান সুখে কিংবা দুঃখে আপ্লুত হয়ে সাধারণ মানুষ আজও গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে। তিনি শুধুমাত্র তার সিনেমার প্রয়োজনেই গান লিখতেন। সংখ্যায় অল্প হলেও তার গানের আছে শক্তিশালী নতুন মৌলিক ধারা।
একটা ছিল সোনার কন্যা, আমার আছে জল, চলনা যাই বসি নিরিবিলি, মন চায় মন চায়, নদীর নাম ময়ূরাক্ষী ইত্যাদি গানের মাধ্যমে তিনি সংগীতপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন। তার লেখা এসব গান গেয়ে অনেকেই সেরা গায়ক গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন।
.
ব্যক্তিজীবন
হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মত তার নিজের ব্যক্তিজীবনও বেশ বিস্ময়কর। তিনি ছিলেন লাজুক, আরামপ্রিয় এবং ভোজনরসিক। তিনি দল বেঁধে মানুষের সাথে ঘুরতে ও গল্প করতে পছন্দ করতেন। অবসরে বসে বসে ছবি আঁকতেন। মানুষকে নানাভাবে চমকে দিতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। প্রথম জীবনে ১৯৭৩ সালে তিনি ভালোবেসে দাম্পত্য সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন ধনীর দুলালী সুন্দরী বালিকা গুলতেকিনকে। গুলতেকিন ছিলেন প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ‘র নাতনী। তাদের সংসারে জন্ম নেয় তিন কন্যা (নোভা, শিলা ,বিপাশা) এবং একটি পুত্র নুহাশ হুমায়ূন ।
মেঝ মেয়ে শীলার বান্ধবী ও তরুনী অভিনেত্রী শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জের ধরে তার সাথে গুলতেকিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে। এরপর ২০০৪ সালে ৫৬ বছর বয়সে তিনি মেহের আফরোজ শাওন কে বিয়ে করেন। সে ঘরে জন্মনেয় তার দুটি পুত্রসন্তান নিষাদ ও নিনিত।
দীর্ঘদিনের সাজানো সংসার ভেঙে হুমায়ূন আহমেদের শাওনকে বিয়ে করা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক মুখরোচক গল্প ও সমালোচনা প্রচলিত। অধিকাংশই এক্ষেত্রে শাওনকে দোষারোপ করে থাকেন ।
আসলে আমরা যাকে খুব ভালোবাসি তার দোষ ত্রুটি সাধারণত চোখে পরে না। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হুমায়ূনের সাথে বিয়ের সময়ে শাওন ছিল সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ একটি মেয়ে। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ পরিণত একজন প্রবীণ ব্যক্তি। তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মায়াজালে মোহচ্ছন্ন করা দুঃসাধ্য হত যদি তিনি নিজে না চাইতেন। হুমায়ূন আহমেদ চেয়েছেন বলেই শাওনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা পরিণয়ে গড়িয়েছে।
শেষকথা হলো বিচিত্র পৃথিবীতে সবচেয়ে বিচিত্রতর হলো মানুষের মন। জোর করে বেঁধে রাখা যায় না, মানুষের মন নিয়ত পরিবর্তনশীল। হুমায়ূন আহমেদ কে তার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনের জটিলতা দিয়ে নয়, তার সৃষ্টিকর্মের মাপকাঠিতে পরিমাপ করা উচিত।
.
নুহাশপল্লী
হুমায়ূন আহমেদ ও নুহাশপল্লী একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। নুহাশপল্লীকে হুমায়ূন আহমেদের রাজত্ব বললেও অত্যুক্তি হবে না।
১৯৮৭ সালে তিনি গাজীপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিজুলিয়া গ্রামে ২২ বিঘা জমির ওপর নুহাশপল্লী গড়ে তোলেন। একাজে অভিনেতা ডা: এজাজুল ইসলাম তাকে জমি কেনা ও ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করেন। প্রথম পক্ষের পুত্র নুহাশের নামানুসারে তিনি নুহাশপল্লীর নামকরণ করেন।
পরে ক্রমে নুহাশপল্লীর আয়াতন বেড়ে ৪০ বিঘা জমিতে দাঁড়ায়। নুহাশ পল্লীর সর্বউত্তরে রয়েছে দীঘি লীলাবতী। দীঘিটি হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শাওনের সদ্যজাত ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যা যে জন্মের কয়েকদিন পরেই মৃত্যুবরণ করেন তার নামানুসারে নামকরণ করা হয় ‘দীঘি লীলাবতী‘।
হুমায়ূন আহমেদ ভিতরে বাহিরে আগাগোড়া একজন শিল্পমনা মানুষ ছিলেন। চাঁদের প্রখর জোসনা, টিনের চালে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ, সবুজ বন, নীল সমুদ্র এসব তাকে ঘোরাচ্ছন্নভাবে প্রবল আকর্ষণ করত। তিনি জানতেন প্রকৃতির রূপ-সুধা চুইয়ে চুইয়ে অনুভবে শুষে নিয়ে আত্মাকে তৃপ্ত করতে। গাজীপুরে ‘নুহাশপল্লী‘ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ‘সমুদ্র বিলাস‘ তার সাক্ষী বহন করে।
.
প্রাপ্ত পুরস্কার
হুমায়ূন আহমেদ তার জীবদ্দশায় প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলা একাডেমি পুরস্কার, দেশের ২য় সর্বোচ্চ মর্যাদাবান বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মূলত যারা সৃজনশীল মানুষ তাদের জীবনে সেরা পুরস্কার হল সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও তাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল বাহাত্তর বছর।
তার মৃত্যুর পর অন্যদিন ও এক্সিম ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে ‘হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর তার জন্মদিনে দুজন কে এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বরেন্য এই গুণী মানুষটি মৃত্যুর ভেতর দিয়ে দৈহিকভাবে প্রস্থান করেছেন সত্য। কিন্তু তার লেখা বই, নাটক, চলচ্চিত্র ও গানের মধ্যে দিয়ে তিনি ভক্তকুলের হৃদয়ে জাগরুক হয়ে থাকবেন। তার লেখা গানের মতই তিনি থাকবেন আমাদের নয়নের মনি হয়ে –
যে থাকে আঁখি পল্লবে
তার সাথে কেন দেখা হবে?
নয়নের জলে যার বাস
সে তো রবে নয়নে নয়নে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *