এইচ এম জসীম উদ্দীন
.
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তারা চিন্তা ভাবনা করছেন। করোনার সংক্রমণ ও সার্বিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমে জেনেছিলাম আগস্ট মাসের মধ্যে করোনার প্রভাব কমলে সিলেবাস কমিয়ে বর্তমান শিক্ষা বছরেই বার্ষিক পরীক্ষাসসহ অন্যান্য পরীক্ষা শেষ করা হবে নতুবা পরবর্তী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা বর্ষ বৃদ্ধি করা হবে এবং ছুটি কমিয়ে আগামী শিক্ষা বর্ষ ১০ মাস করা হবে। আবার সিদ্ধান্ত আসল ৩ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং অটোপ্রমোশন, আবার কিছু পাবলিক পরীক্ষা বাতিল এছাড়াও মূল্যায়নের বিভিন্ন বিকল্প চিন্তা ভাবনা খোজা হচ্ছে। আমি সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিবেচনা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি আমার নিজস্ব কিছু মতামত তুলে ধরতে চাচ্ছি।
২০১৭ খ্রি: পর্যন্ত জে.এ.সি পরীক্ষার্থীরা চতুর্থ বিষয় নিয়ে (অতিরিক্ত নম্বর যোগ করে) জি.পি.এ ৫ পেত। ২০১৮ খ্রি: থেকে চতুর্থ বিষয় তুলে দেয়া হলো। ধরুন বর্তমানে একটি ছেলে /মেয়ে ৪.৭৫ পেল, যদি চতুর্থ বিষয় থাকত তাহলে হয়তোবা ওই ছেলে /মেয়েটি জিপিএ ৫ পেত। এখন এই বৈষম্যের জন্য বর্তমানে ওই ছেলে /মেয়েটি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না বা উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এমনকি ভবিষ্যতের চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে। ২০১৮ সনে জিপিএ ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থী ২০২১ সনে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ করোনার কারণে বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠ /কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না। তার ক্ষতি পুষিয়ে আনতে বিষয় বা সিলেবাস কমিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা করছে।
বিষয় কমানো হলে ইংরেজি, গনিত, পদার্থ, রসায়ন ইত্যাদির মতো কঠিন বিষয় কমানো হবে না। ফলে ওই ছেলে বা মেয়েটি এসএসসি তে জিপিএ ৫ নাও পেতে পারে। যার খেসারত তাকে সারাজীবন দিতে হবে। এখন আমার পরামর্শ হচ্ছে বিষয় ও সিলেবাস কমানোর পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি বা গ্রেডিং এর নম্বর কমিয়ে আনা (যেমন ৭৫ এ A+, ৬৫ এ A) যা তাকে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনে সহায়তা করবে। তাছাড়া বিষয়টি উচ্চশিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। অর্থাৎ করোনা কালীন ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার এখনি উপযুক্ত সময়। এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কাৃমনা করছি।
.
এইচ এম জসীম উদ্দীন
প্রধান শিক্ষক, আছমত আলী খান ( এ. কে ) ইন্সটিটিউশন, বরিশাল ।
01716268074