আযাদ আলাউদ্দীন ।।
বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম গোলাম নাসিরের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাংবাদিকরা বলেছেন- এ.কে.এম গোলাম নাসির ছিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত একজন সাংবাদিক, তিনি তার জীবদ্দশায় সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন, নিজের প্রয়োজনের চেয়ে তিনি অন্যের প্রয়োজনকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। এসব কারণে তিনি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের আপনজন ছিলেন তিনি।
২৪ জুলাই রাত আটটায় বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের আয়োজনে জুম অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল আহসান চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক মো. হাসনাইনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন মরহুম এ.কে.এম গোলাম নাসিরের বড় মেয়ে ও সরকারি বরিশাল কলেজের পদার্থবিজ্ঞান প্রভাষক হাসনাহেনা এবং শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত ছোট মেয়ে লুবনা ইয়াসমিন।
বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলাম ও এমএ আকরাম, দৈনিক নয়া দিগন্তের বরিশাল ব্যুরো চিফ আযাদ আলাউদ্দীন, বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মো. নূরুজ্জামান, কার্যনির্বাহী সদস্য মেজবাউদ্দিন সম্রাট। উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক জোবায়ের সোহেল, এসএম সোহেল, মো. জহিরুল ইসলাম, তায়েফ তালুকদার, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কামরুল আহসান চৌধুরী বলেন- ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের হাত থেকে আমাদের প্রয়াত স্বজন ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম গোলাম নাসিরের পরিবারের হাতে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দিয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সভায় আলোচকরা সাংবাদিক গোলাম নাসিরের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন, একই সাথে প্রতিবছর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রয়াত সকল স্বজনদের জন্য স্মরণসভা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক গোলাম নাছির এর বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি এবং একই সাথে তার পরিবারের সকল সদস্যের উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করছি।