সোনারগাঁও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় : বাংলাদেশের প্রথম ও প্রাচীনতম উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 

 

মাহমুদ ইউসুফ

বাংলাদেশের প্রথম ও প্রাচীনতম উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। সোনারগাঁয়ে ইসায়ি ১৩ শতাব্দীতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। রফুদ্দিন আবু তাওয়ামা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন নামজাদা সমাজ সংস্কারক, আলেম, শিক্ষাবিদ এবং ইসলামি আইনবিদ। হাদিস এবং ইসলামি আইনশাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি ভেষজশাস্ত্র, গণিতভূগোল শাস্ত্র এবং রসায়ন শাস্ত্রেও একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। 

ইসায়ি তেরো থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত সোনারগাঁও ছিলো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ নগরসমূহের মধ্যে অন্যতম সেরা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জ্ঞানীগুণী, পর্যটক, জ্ঞান পিপাসু, পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান হয়ে ওঠে সোনারগাঁও। এখানে গড়ে ওঠে বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষিত বাঙালি মুসলিম সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে ১২৭৫ সালে সোনারগাঁও থেকে। সেসময় শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্ররা আসতো।’ এদেশে জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতার প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রযাত্রা শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখানে কুরআন, হাদিস, ফিকাহ, ভূগোল, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতশাস্ত্রসহ বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা শিক্ষা দেয়া হতো।

 

হদিস
১. দৈনিক ইত্তেফাক: ২৬ এপ্রিল ২০১৪, শনিবার
২. এম এস শহিদ: শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.), দৈনিক সংগ্রাম, শনিবার ২৮ নবেম্বর ২০১৫ 
৩. শরফুদ্দীন আবু তাওয়ামা, উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ, সংগৃহীত-  ১৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *