কাশ্মির থেকে বাংলাদেশ

মাহমুদ ইউসুফ

নুহ নবির পুত্র সাম সেমিটিক সভ্যতার  স্রষ্টা। সামের নাম থেকেই সাম (সিরিয়া) নামকরণ। এশিয়া মাইনর থেকে আরব সাগর, নীলনদ থেকে সিন্ধুনদ পর্যন্ত সামিয় বা সেমিটিক সভ্যতা গড়ে ওঠে। এটিই পৃথিবীর মানব ইতিহাসের প্রথম সভ্যতা। সামের ষষ্ঠস্তরের বংশধর আবু ফির তার গোত্র নিয়ে প্রবেশ করেন ভারতবর্ষে। প্রথমে স্থিত হন সিন্ধুনদের তীরে। ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেন। আবু ফির ভারতে এসে তার নাম রাখেন দাদার নামে দার-আবির বা নিজের নামে দার-আবু ফির। এই দার আবির বা দার আবু ফির থেকেই জন্ম নেয় দ্রাবিড় রাজ্যের দ্রাবিড় সভ্যতা। তাই দ্রাবিড় সভ্যতা সেমিটিক সভ্যতারই একটি শাখা।১ উল্লেখ্য আবু ফিরের ভারত আগমনের পূর্বে এখানে বসতি স্থাপন করেছিল নুহ নবির অন্য পুত্র হামের বংশধররা। হামের পুত্র হিন্দ এর নামানুসারেই হিন্দুস্তান নামকরণ।২ সাম এবং হামের উত্তরপুরুষরা গড়ে তোলে বিশ্ব সভ্যতার অন্যতম কীর্তি হরপ্পা-মহেনজোদারো এবং গঙ্গারিডি সভ্যতা।

আজ থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে হিন্দুস্তানে প্রবেশ করে যাযাবর ও যোদ্ধাজাত আর্য হিন্দুরা। হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদীরা জঙ্গি রথে চড়ে ভারতে প্রবেশ করে উপনিবেশ গড়তে। এ প্রসঙ্গে ড. অতুল সুর বলেন, ‘অশ্ববাহিত জঙ্গি রথে চেপে আর্যরা ভারতবর্ষে আসে।’৩ তাদের আদি নিবাস ইউরোপ। তবে বালা গঙ্গাধর তিলক বলেন, প্রাচীন আর্য জাতির বাস ছিল ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্ব শতাব্দীতে উত্তর মেরু অঞ্চলে।৪ সিন্দুর তীরে পৌঁছে তারা প্রথমেই দ্রাবিড় প্রতিষ্ঠিত হরপ্পা-মহেনজোদারো সভ্যতা ধ্বংসে মেতে ওঠে। তাদের দানবীয় উন্মত্ততায় রেহাই পায়নি ভারতের আদিবাসীরা। ক্রমান্বয়ে তারা হানা দেয় পূর্ব ভারতে, দক্ষিণ ভারতে এবং আরও পরে বঙ্গ দ্রাবিড় তথা গঙ্গারিডি রাজ্যে। ধীরে ধীরে দখল করে সমগ্র হিন্দুস্তান।

শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত চলে আর্য ক্ষত্রিয়দের ধ্বংস প্রক্রিয়া। যজ্ঞ হলো তাদের পূজা অর্চনার অংশ। তাদের অপকর্ম আর উপাসনা এক হয়ে নাম হয় ধ্বংসযজ্ঞ। অর্থাৎ পূজা আর ধ্বংস একাকার হয়ে দাঁড়ায়। ইতোমধ্যে ভারতে বিভিন্ন সময় আসে শক, হুন, মঙ্গোলীয়সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। এ ভূখণ্ডেই পয়দা হয় জৈন, শৈব, বৌদ্ধধর্ম এবং বিভিন্ন তান্ত্রিক মতবাদ। এসব ধর্ম ও জাতি আর্যদের রোষানল থেকে বাঁচতে পারেনি। বৌদ্ধরা দেশ থেকে পালিয়ে বহির্ভারতে যেতে বাধ্য হয়। মিহিরকুল, শশাঙ্ক, সেনরা কচুকাটা করে বৌদ্ধ জৈনদের। বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ সভ্যতার বিলুপ্ত ঘটে ব্রাহ্মণ্যবাদী হুঙ্কারে। ময়নামতি মহাবিহার ও সোমপুর মহাবিহার ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদীরা।৫ বিভিন্ন জাতি বিলীন হয় হিন্দুত্ববাদের গ্যাঁড়াকলে। ঠাকুর কবির ভাষায়, হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন-/শক-হুন-দল পাঠান-মোগল এক দেহে হল লীন। ।

কাশ্মিরে ভারতীয় সন্ত্রাস

কাশ্মির মুসলমান সংখ্যাধিক্য রাজ্য। সে হিসেবে দেশ বিভাগের সময় এটি পাকিস্তানের অঙ্গীভূত হওয়ার কথা। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে নেহেরু সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করে দখল করে ভূস্বর্গ কাশ্মির।৬ তখন থেকে বিগত সাত দশক ধরে ভারত কাশ্মিরের মুসলিম জনতার উপর দানবীয় জঙ্গি সন্ত্রাস চালিয়ে বিজয় উল্লম্ফন করছে।

ভারতীয় বাহিনী ২৬ বছরে ৯৪ হাজার কাশ্মীরি মুসলমানকে হত্যা করেছে। কাশ্মির গণমাধ্যমের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯৪ হাজার ২শ’ ৯০ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ভারতীয় বাহিনীর হাতে। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৩৮ জন মারা গেছে ভারতীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিস দীর্ঘ গবেষণার পর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে ওই হত্যাকাণ্ডের কারণে ২২ হাজার ৮শ’ ৬ জন নারী বিধবা এবং ১০ লাখ ৭ হাজার ৫শ’ ৪৫ জন শিশু এতিম হয়ে পড়ে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতীয় বাহিনী ১০ হাজার ১শ’ ৬৭ জন নারীকে লাঞ্ছিত করেছে এবং প্রায় ১০ লাখ বাসাবাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দীর্ঘ ২৭ বছর সময়ে প্রায় ৮ হাজার নিরাপরাধ মানুষ ভারতীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে গেছে।৭ এর আগে ২০১০ সালে লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভ দা চিলড্রেন এর জরিপ অনুযায়ী, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে ২ লাখ ১৪ হাজার ইয়াতিম শিশু রয়েছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। ৮

সম্প্রতি কাশ্মিরে গণহত্যার বিষয়ে এক ভয়াঙ্কর তথ্য প্রচারিত হয়েছে প্রচারমাধ্যমে। কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী গত তিন দশকে ৯৫ হাজার ২৩৮ জন কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামীকে হত্যা করেছে। ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ হিসাব ধরা হয়েছে। এ সময়ে সাত হাজার ১২০ জনকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। কাশ্মীরি গ্লোবালের এক খবর বলছে, ১১ হাজার ১০৭ নারী ভারতীয় বাহিনীর নিগৃহের শিকার হয়েছেন। এক লাখ ৯ হাজার ১৯১টি আবাসিক ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। আট হাজার কাশ্মীরিকে কারা হেফাজতে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। কেবল চলতি বছরেই পিএইচডি গবেষক, প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষার্থীসহ ৩৫০ কাশ্মীরিকে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- হুররিয়াত নেতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাফি ভাট, ড. মান্নান বসির ওয়ানি, ড. সবজার আহমাদ সোফি, ড. আবদুল আহাদ ঘানি, এমফিল গবেষক আদিমাদ ফয়েজ মালি, ২৪ বছর বয়সী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইশা ফাজালি, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাইয়েদ ওয়াশি সফি শাহ, আসিফ আহমেদ মালিক, মীর হাফিজুল্লাহ, তারিক আহমেদ ঘানি। এ বছরেই শিশু, তরুণ, শিক্ষার্থী, নারী ও হুররিয়াত নেতাসহ দুই হাজার ৩৪৮ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতিরোধ নেতা সাব্বির আহমাদ শাহ, নাঈম আহমেদ খান, সাইয়োদ আসিয়া আন্দ্রাবি, ফেহমিদা সোফি, নাহিদা নাসরিন, আলতাফি আহমেদ শাহ, আইয়াজ মুহাম্মদ আকবর, পীর সাইফুল্লাহ, রাজা মেরাজুদ্দিন কালওয়াল, শাহিদুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ধর, মুহাম্মদ আসলাম ওয়ানি, ব্যবসায়ী জহুর ওয়াতালি, সাঈয়েদ শহীদ শাহ, গুলাম মুহাম্মদ ভাটকে দিল্লির তিহার কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বহু কাশ্মীরি ভারতের বিভিন্ন কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৮ জুলাই স্বাধীনতাকামী তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানিকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়। [দৈনিক যুগান্তর ০৭ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, একই তারিখে বাংলা টেলিগ্রাফ, বরিশাল টাইমস, সিলেট টাইমস, সময়ের আলো, বাঙালি টাইমস]

১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষ স্রেফ উধাও হয়ে গিয়েছে কাশ্মির থেকে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দিকে। বারে বারে অভিযোগ উঠেছে, ভুয়া সংঘর্ষের নাম করে এঁদের অনেককেই মেরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একটি ক্ষেত্রেও তদন্ত হয়নি, কেউ দোষী সাব্যস্তও হয়নি। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনকে (আফস্পা) ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। উপত্যকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, তাদের সাজা দেবে কে? নিজের দেশের মানুষকে দমাতে কোনও শান্তিকামী রাষ্ট্র এই পথ নিতে পারে? হাজার হাজার মানুষকে জেলে পুরে, কণ্ঠরোধ করে, তাদের বুলেটের মালা পরিয়ে নিরুদ্দেশের কফিনে ভরে দিতে পারে? গণতন্ত্র এ ভাবেই তার দায়িত্ব পালন করবে? এই প্রশ্ন দেশের ‘নিরুপদ্রব’ অংশের মানুষজন তুললে তাঁরাও দেশদ্রোহী হয়ে যাবেন নিশ্চয়? ৯

ভারতীয় বুদ্ধিজীবি ভি. টি. রাজশেখর বলেছেন, ‘স্পেন থেকে ইসলাম কীভাবে উৎখাত হলো ভারতে হিন্দু নাজীদের জন্য এ বিষয়টি বিংশ শতাব্দির ৩০ থেকে ৪০ দশকের গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল। সুদীর্ঘ সময়ের পরীক্ষা নিরীক্ষার ফসলস্বরূপ আহত জ্ঞানকে তারা অনুরূপভাবে ভারতবর্ষে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করল। অপরদিকে মুসলিম নেতৃবৃন্দ এর প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা নেয়া থেকে বিরত থাকায় হিন্দু নাজী গোষ্ঠী এখানে স্পেনীয় মেথড প্রয়োগে একের পর এক পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে।১০ ভারতের বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন মুসলিম মুক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার। তিনি বলেছেন, মুসলিম মুক্ত ভারত চাই।১১

শুধু বর্তমান ভারত নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটান, মিয়ানমার থেকে ভারতীয় কর্তাব্যক্তিরা তথা হিন্দু নাজিরা মুসলিম উৎখাত ও নির্মুলের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশের সহিংসতা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, অপহরণ, জঙ্গিবাদ, কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে অস্থিরতা সবই ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদীদের কারসাজি।

আর মুসলমানরা ! তারা জড়পদার্থের নিস্তর, নিথর হয়ে পড়ে আছে। ঘুমিয়ে আছে সিংহ শাবকের দল। আর শকুনেরা গ্রাস করছে মুসলমানদের এবং তাদের সভ্যতা সংস্কৃতি তাহযিব তমুদ্দুন।

বিশ্বকবি ড. মুহাম্মদ ইকবাল বলেছেন:
শের কি সের পে বিল্লী খেল রহি
ক্যায়সা হায় মুসলমাঁ কা বদনসিব
শাহাদাত কি তামান্না মর গয়ি
তসবিহ কা দানো মে জান্নাত ঢঁঢ রহি;

তরজমা-

ব্যাঘ্রের মাথায় বসে বিড়াল খেলা করছে
কী বদনসিব এই মুসলমানের
নিঃশেষ হয়েছে শাহাদাতের তামান্না
জান্নাত খুঁজে ফিরছে তসবিহর দানার মধ্যে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর আহ্বান কী আমাদের হৃদয়তন্ত্রীতে বাজে না?

সত্যকে হায় হত্যা করে অত্যাচারীরা খাঁড়ায়
নেই কিরে কেউ সত্য সাধক বুক খুলে আজ দাঁড়ায়

তথ্য নির্দেশ :
১. আখতার ফারুক: বাংগালীর ইতিকথা, জুলকারনাইন পাবলিকেশন্স, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা, প্রথম বাংলাদেশ সংস্করণ, এপ্রিল ১৯৭৬, পৃ ৫০-৫২
২. ড. মোহাম্মদ হাননান : বাঙালির ইতিহাস (প্রাচীন যুগ থেকে ১৯৭৪), আগামী প্রকাশনী, ৩৬ বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০, প্রথম বর্ধিত সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, পৃ ২৯
৩. ড. অতুল সুর: হিন্দু সভ্যতার বনিয়াদ, কলিকাতা ৯, জুন ১৯৯১, পৃ ২৫
৪. ঋগে¦দ-সংহিতা [ প্রথম খ-], হরফ প্রকাশনী, এ-১২৬ কলেজ স্ট্রিট মার্কেট, কলকাতা ৭, পৃ ৩৩।
৫. সুরজিৎ দাশগুপ্ত: ভারতবর্ষ ও ইসলাম, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা-১০০০, প্রথম বাংলাদেশ মুদ্রণ, ফেব্রুয়ারি ২০১৪, পৃ ২৯, ১৪১, ২৫৭
৬. এম. এ. মোহাইমেনঃ ইতিহাসের আলোকে দেশবিভাগ, পাইওনিয়ার পাবলিকেশন্স, মতিঝিল ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪, পৃ ২২২।
৭. বাংলামেইল: ১১ এপ্রিল ২০১৬
৮. আনাদলু সংবাদ সংস্থা থেকে দৈনিক নয়াদিগন্ত, ঢাকা, ২৪ মে ২০১৫, পৃ ৫
৯. তাপস সিংহ; আনন্দবাজার পত্রিকা, কলকাতা, ২৭ জুলাই ২০১৬
১০. ভি. টি. রাজশেখর: ভারতীয় মুসলমানদের সমস্যা, অনুবাদ-ড. আ.ই.ম. নেছারউদ্দিন, ইখওয়ান লাইব্রেরী, ৩৪/২, নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা-১২০০, ফেব্রুয়ারি-২০০৩, পৃষ্ঠা- ১ ও ৪৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *