ভারতে মুসলমান নিধনে স্পেনীয় মেথড প্রয়োগ

 

ভারতীয় বুদ্ধিজীবি ভি. টি. রাজশেখর বলেছেন,
‘স্পেন থেকে ইসলাম কীভাবে উৎখাত হলো ভারতে হিন্দু নাজীদের জন্য এ বিষয়টি বিংশ শতাব্দির ৩০ থেকে ৪০ দশকের গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল। সুদীর্ঘ সময়ের পরীক্ষা নিরীক্ষার ফসলস্বরূপ আহত জ্ঞানকে তারা অনুরূপভাবে ভারতবর্ষে [অর্থাৎ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করল।] অপরদিকে মুসলিম নেতৃবৃন্দ এর প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা নেয়া থেকে বিরত থাকায় হিন্দু নাজী গোষ্ঠী এখানে [মুসলিম উৎখাত ও নির্মুলের] স্পেনীয় মেথড প্রয়োগে একের পর এক পদক্ষেপ নেয়া  শুরু করে।মুম্বাইর নামজাদা এ সাংবাদিক আরও লিখেছেন,  ‘ভারতে কোনো মুসলিম রমণীই নিরাপদ নয়’।

ভারতে মুসলিম নিধন এর ছবির ফলাফল

ভি. টি. রাজশেখর বলেছেন, ‘যদি বর্তমান মুসলিম নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে শুধু বাবরী মসজিদ অনির্মিতই থাকবে না, বরং বেনারস, মথুরার জামে মসিজদসহ অন্যান্য ৩০০০ মসজিদের অবস্থাও বাবরী মসজিদের মত হবে। মুসলমানদেরকে পঙ্গু করে ফেলা হবে। যার প্রথম শিকার হবেন মুসলিম নেতৃত্ব। এসব কারণেই ডি.ভি. এডিটর আর্য হিন্দু নাৎসীদের বাবরী মসজিদ ধ্বংস করাকে স্বাগত জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘মুসলমানদের জন্য আরেকটি ভীতিজনক বিপদ হচ্ছে মুসলমানদের উপর কায় কারবারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক আক্রমণ পরিচালনার জন্য ইহুদিবাদী শক্তিসমূহকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। নিউওয়ার্ল্ড অর্ডারের ছদ্মাবরণে শ্বেতগোষ্ঠী ইহুদীবাদীরা ভারতীয় ব্রাহ্মণ্য বা আর্য শাসকদের সাথে এক সাধারণ সম্পর্কে সূত্র খুঁজে পেয়েছে; কিন্তু মুসলিম নেতৃত্ব এসব ইহুদী শয়তানদের ভারতীয় মুসলমানদের দোরগোড়ায় পৌঁছার ব্যাপারে কদাচিৎ বিচলিত মনে হয় না’।

ভারতে মুসলিম নিধন এর ছবির ফলাফল

তাইতো আমরা দেখতে পাই,
১৯৪৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতে মোট ১৬০০০ টি মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয় এবং এতে নিহত হয় প্রায় ২০ লাখ মুসলমান। এ হিসেবে ভারতে প্রতিবছর গড়ে ৩০০ টি মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে।

হদিসঃ
১. ভারতীয় মুসলমানদের সমস্যা- ভি. টি. রাজশেখর, অনুবাদ-ড.আ.ই.ম. নেছারউদ্দিন, ইখওয়ান লাইব্রেরী, ৩৪/২, নর্থব্র“ক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা-১২০০, ফেব্র“য়ারি-২০০৩,  পৃষ্ঠা- ১, ৪৮, ৪৯, ৫৮, ৭৪, ৭৫।
২. আত্মঘাতী রাজনীতির তিনকাল ২য় খন্ড- সরকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, বুকস ফেয়ার, ৩৯ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০, প্রকাশ মে ২০০৪, পৃ-৭৯২।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *