স্মৃতিচারণ

মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন প্রিয় সাজ্জাদ ভাই

হারুন আল রাশিদ ।। দীর্ঘদিন থেকেই সুপ্ত আকুতি মনের ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে। কয়েকদিনের জন্য তাবলীগ জামাতে যাবো। এখনকার মতো তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি কর্মকান্ড নিয়ে সংশয় ছিলো না তেমন কারো। স্রেফ মহান রবের সন্তুষ্টির জন্য ঘর থেকে বের হয়ে ঈমানকে মজবুত করা। সাথে সাথে ইসলামের বুনিয়াদি কাজের তালিম নেওয়া। সব শ্রেণীর মানুষ এই জামাতের প্রতি এমন ধারণাই পোষণ করতো। যদিও ইদানিং …

সম্পূর্ণ পড়ুন

স্মৃতিতে কবি কামাল আহসান

ফিরোজ মাহমুদ ।। ১৯৯০ সালে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হই। প্রথমে ডিগ্রি হোস্টেলের পশ্চিম ব্লকের ১১০ নম্বর রুমে, পরবর্তীতে ২০২ এবং ৩০৮ নম্বর রুমে অবস্থান করি অতিথি বোর্ডার হিসেবে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম দিকে ডিগ্রি হোস্টেল ছাত্রদের বিবাদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে রাজনৈনিক কোন্দলের কারণে হোস্টেল ছেড়ে মেসে ওঠাই সমীচীণ মনে করি। তখন কলেজ অ্যাভিনিউ’র পূর্ব …

সম্পূর্ণ পড়ুন

শৈশবের স্মৃতি

নীলা আহমেদ ।। এক হেমন্তের শেষে শীতের হিমেল হাওয়ায় কুয়াশার চাদর ঢাকা এক সকালে, মুয়াজ্জিনের সুললিত কন্ঠের আযান শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দরজা খুলতেই অজানা এক ভালো লাগায় মনটা ছুঁয়ে গেলো। ভোরবেলা না জাগলে প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য আবিষ্কার করা যায় না। ব্রাশ করতে করতে চোখে পড়ল পশ্চিম ঘরের সামনে লাইটের ফকফকা আলো। একটা আমড়া গাছের ছায়াও পরেছে। হঠাৎ কি …

সম্পূর্ণ পড়ুন

কবি মতিউর রহমান মল্লিক

নয়ন আহমেদ ।। এক অপরিহার্য কবিসত্তার নাম মতিউর রহমান মল্লিক। আমাদের মল্লিক ভাই। তাঁকে সর্বদা স্মরণ করি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়; হৃদয়ের গোলাপ ফুটিয়ে স্নিগ্ধ সৌরভে। তাঁর সাথে প্রথম আলাপ হয় বরিশালে, একটি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনে উদ্যোগে। সেটার দিন তারিখ এখন আর মনে নেই। সম্ভবত ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে। আমরা তখন শেকড় সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত। সংগঠনের পত্রিকা বের হয় নিয়মিত। মাসিক পত্রিকা। মল্লিক …

সম্পূর্ণ পড়ুন

প্রিয় আহমদ বাসির

আযাদ আলাউদ্দীন একনিষ্ঠ একজন গভীর পাঠকের নাম কবি আহমদ বাসির। তিনি একাধারে লেখক, আবৃত্তিকার, সাহিত্য সংগঠক, গবেষক ও সম্পাদকসহ নানা বিশেষণে বিশেষায়িত- সবকিছুকে ছাপিয়ে তিনি উদার মনের একজন ভালো মানুষ। কবি আহমদ বাসিরের নামটি ছাপার অক্ষরে প্রথম দেখি ১৯৯৮ সালের দিকে মাসিক কিশোর কণ্ঠ পত্রিকায়। এরপর ছাত্রসংবাদ, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, দৈনিক সংগ্রামের সাহিত্য পাতায় তার অনেক লেখা পড়েছি। ২০০৭ সালে …

সম্পূর্ণ পড়ুন

স্মৃতির আয়নায় সাংবাদিক বেলায়েত বাবলু

বেলায়েত বাবলু ।। বরিশালের মিডিয়া পাড়ায় আমি বেলায়েত বাবলু নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালের ১০ অক্টোবর বরিশাল নগরীর কাটপট্টি রোডে জন্মগ্রহণ করি। পিতাঃ খোকা মিয়া ও মাতাঃ মরহুমা রেবা বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে আমি ছোট। মায়ের হাত ধরেই আমি স্কুল ও কলেজের গন্ডি পেরিয়েছি। আমি ১৯৯৪ সালে নগরীর ঐতিহ্যবাহী ব্রজমোহন (বিএম) বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় এবং পরে সরকারি বরিশাল …

সম্পূর্ণ পড়ুন

আমার সাংবাদিকতার ইতিবৃত্ত

সাব্বির আলম বাবু এক ছোটবেলার কথা মনে পড়ে প্রায়শই। ভীষণ আলোড়িত হই। তখন চট্টগ্রামের পতেঙ্গাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহুরুল হক ঘাঁটিতে আব্বার চাকুরীর সুবাদে বিএএফ শাহীন স্কুলে ৫ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায়ই স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন গল্প-কবিতা পড়ার আগ্রহ দেখে আব্বা একদিন সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের একটি শিশুতোষ বই ‘অবাক জলপান’ আমাকে এনে দিলেন। তখন আমার খুশি আর ধরে না। বইটি পড়ার চেয়ে …

সম্পূর্ণ পড়ুন

আলম রায়হান : সাংবাদিকতার ৪৪ বছর

গাজী মো. তাহেরুল আলম ।।   আলম রায়হান। প্রথিতযশা আপোষহীন এক সাংবাদিকের নাম। জন্ম প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালে। ১৯৭৮ সালে সাংবাদিকতায় যাঁর হাতেখড়ি। সরকারি বরিশাল কলেজের বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক স্যারের অনুপ্রেরণা এবং লেখালেখির প্রতি নিজের আগ্রহ ও চেষ্টায় তৎকালীন জেলা পরিষদ থেকে প্রকাশিত ‘বাকেরগঞ্জ পরিক্রমা’য় সাংবাদিকতার শুরু। এর আগে অবশ্য কলেজ ম্যাগাজিন তমালসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে নিয়মিত তাঁর লেখা ছাপা …

সম্পূর্ণ পড়ুন

মধুসূদনের সাগরদাঁড়িতে একদিন

আযাদ আলাউদ্দীন ।। ‘হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন, তা সবে অবোধ আমি অবহেলা করি’ বাংলা সাহিত্যে আধুনিক পথিকৃৎ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। অনেক দেশ ঘুরে কবি অবশেষে নিজ মতৃভূমি বাংলাতেই আবিস্কার করেছেন বিবিধ রতন। বাংলা রেনেসাঁর এই সার্থক প্রতিনিধি মাইকেল মধুসূদনের পৈত্রিক নিবাস সাগরদাঁড়িতে ২০০২ সালের ১৫ মার্চ সরকারি বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা মিলে ভ্রমণে গিয়েছিলাম …

সম্পূর্ণ পড়ুন

আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক

বেগম ফয়জুন নাহার শেলী শিক্ষক শব্দটির বৎপত্তি হল শিক্ষ্ +ণিচ= শিক্ষি (উপদেশ দেয়া)+ অক= শিক্ষক। অর্থাৎ যিনি উপদেশ দেন তিনিই শিক্ষক। প্রচলিত অর্থে, যিনি শিক্ষা দান করেন তিনিই শিক্ষক। এ অর্থে কবি সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলা যায়- `বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র/ নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র’। এদিক দিয়ে শিক্ষক হলো …

সম্পূর্ণ পড়ুন