কবিতা : কেউ ভাসছে, কেউ হাসছে

মুক্তা অভিমুক্তি
এত্তো ক্ষতি— এত্তো ক্ষতি—-
সরকার ক্যামনে কাটাইয়া উঠবো?
একদিকে করোনার মহামারী
তার উপর আবার আম্পানের ক্ষতি!
আইজ সরকারের লাইগা
বড়োই মায়া লাগতাছে!
উনার মাথাডা ঠিক আছে তো?
ক্যামনে সম্ভব?
কী কইরা সামলাইবো এত্তো কিছু?
আইচ্ছা, চোরগুলার কি
এট্টু মায়াদয়া হইবো না?
অহন যদি অরা এট্টু ক্ষ্যান্ত দেয়,
তাইলে মনে হয় সক্কল মাইনষের কাছেই
তেরাণ পৌছাইতে পারবো।
নইলে মানুষগুলা সব না খাইয়া মরবো!
করোনার মহামারীতে
দ্যাশের অর্থনীতি এক্কেরে ভাইঙ্গা পড়ছে।
খালি আমগো দ্যাশেই না; সক্কল দুন্যইতে।
ভাবছিলাম কিষ্যির উপর নিরভর কইরা দ্যাশের মানুষগুলা অন্তত
খাইয়া পইরা বাঁচবো।
আর ঠিক এইসময় আম্পান আইয়া
কাল হইয়া দাড়াইলো।
বানের জলে ডুইবা গ্যাছে
মাইনষের ঘরবাড়ি, ক্ষ্যাতের ফসল,
মাছের ঘের, পানের বরজ—
ভাইসা গ্যাছে গবাদিপশু,
ভাইসা গ্যাছে জনপদ।
বুকভরা স্বপ্ন নিয়া মাইনষের
তিলে তিলে গইড়া তোলা সংসার
হইয়া গ্যালো ধ্বংসস্তুপ।
মাথায় হাত দিয়া ভিটার উপর
বইসা রইছে করিমন বিবি,
ওইদিকে স্ত্রী সন্তান হারাইয়া —
বিলাপ করতাছে রহিম্মুদি!
কারো সন্তানের লাশ ভাসছে;
আর কেউ হাসছে!
আইচ্ছা ওইগুলা কি মানুষ?
নাকি হারামী?
দূর্যোগের কতা হুনলেই কেমন
দাঁত ক্যালাইয়া হাসে!
মনে হয় দ্যাশে ঈদ আইছে।
অগোই কপাল—-
দুনিয়ায় অগোরের কহনো
দুর্যোগ দ্যাহোন লাগে নাই।
আল্লায় তগোরের ভালো রাহুক।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *