কবি

মোহাম্মদ নূরুল্লাহ:

কবিরা কখনো
দেশ-কালের সীমানায়
থাকেন না বদ্ধ।
হৃদয় উজার করে লিখে যান ,
অশ্রুসজল নয়নে বিশ্ববাসীর জন্য।

কখনো সিরিয়ার শিশুর কান্না,
জোঁকের কামড়ে রক্ত চুষে নেয়া
তোতার খেদোক্তি ;
বাদ পড়েনা কিছুই।

পাট পঁচা গন্ধ
কবির নাকে এসে লাগে!
মেঘলুপ্ত সূর্যের মতো ঝাঁঝালো তেজে।

কাস্মির, ফিলিস্তিন,
কঙ্গো, উত্তাল রাজনীতি;
কবিকে করে সন্ত্রস্ত।
ইউক্রেন, রাশিয়া,আফগান, উইঘুর;
কবিকে করে তোলে ক্ষতবিক্ষত।

কবির হৃদয় জমিনে কেবলি
হাহাকারের বসবাস!

কবি খগোল,ভূগোল বিচরণ করে ;
নক্ষত্রপুঞ্জ কবিকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

মায়ার পৃথিবীতে
কালা জাহাঙ্গীর,টোকাই বাবুদের
মাস্তানিতে মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক যখন জিম্মি।

কবিরা তখন অস্থির চিত্ত নিয়ে
দিন করে গুজরান।
অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকে মালাকুল মউত পানে।

কবিদের কাছে সাদা- কালো,
আফ্রোশিয়া না আমেরিকা,না রাশিয়া।

ক্ষুদ্র এ বাছ বিচার নেই।

কবিরা পৃথিবীর!
জাত-পাত এদের মুখ্য নয় ;
কাঁদে মানবতা, কাঁদে কবি,
কাঁদে শব্দেরা ;
কবির ব্যঞ্জনায়!

কবিরা হাসাতেও পারে।
নিজেও হাসে।
পরখ করে পাঠক দেখতে পারেন, কবিদের হাসিকান্না!

পড়লেই বুঝতে পারবেন কবিরা বিশ্বের।

কবির ক্যানভাসে মজলুমের কান্না,
খুব কাছে থেকে শোনা যায়, তাইনা?

মিথ্যার বেসাতি করে বেড়ায় যারা ;
মিথ্যুকদের ছবিগুলো কালচে হয়ে
সাদা কাগজের ক্যানভাসে কবিদের
লিখনির কান্নার মাঝে ফুটে ওঠে!

অসীর চেয়ে মসী যে অধিক শক্তিধর,
কবিরাই তা প্রমাণ করেছে।

ময়লার স্তূপ থেকে
কুকুর আর মানুষ
খাবার খাচ্ছে , এক সঙ্গে ;
এ চিত্রকল্প কবিকে প্রতিনিয়ত কাঁদাচ্ছে।

তাইতো বলি–
কবিরা বিশ্বের।
কবিরা নিঃস্বের।
কবিরা সকলের।

মোহাম্মদ নূরুল্লাহ
ছায়ানীড়

Next Barisal banner ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *