বেগম ফয়জুন নাহার ।।
হে শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ
আজ তোমার এতো আলো কেন
কেন এত আনন্দ?
তোমাকে পূণ্যময় করে
আলোয় আলোকময় করে তুলতে
তিনি আসছেন বলে তাই?
তোমার পবিত্র আলোয়
জ্যোতির্ময় হল
মা আমিনার কোল
ছুটে এলেন ধাই হালিমা
একবুক সুধা নিয়ে।
চেয়ে দেখ ঐ
খান খান হয়ে গেল লাত- মানাত
অত্যাচারী শোষকের দল ভীত-সন্ত্রস্ত
বিপন্ন মানবতা পেল আলোর দিশা।
মজলুম জনতা উল্লসিত
কন্যা শিশুর হাসিতে
ছড়াচ্ছে বেহেশতের সুরভী
ওদের আর কেউ
জীবন্ত কবরে রাখতে পারবেনা
পাবে বাঁচার অধিকার
পাবে মানুষের সম্মান।
আর হাবসী ক্রীতদাসরা?
ওরাও উৎফুল্ল
ওরা যে পেয়েছে তৌহিদের বানী
জেনেছে
মানুষ একটা স্বাধীন সত্ত্বা
মানুষ মানুষের প্রভু হতে পারেনা
প্রভু শুধু একজনই
সর্ব শক্তির আধার আল্লাহ।
তাই তো
রেসালাতের দূত এলেন
প্রথম সূর্যালোকের পথ ধরে
প্রথম বসন্তে
রবিউল আউয়ালের শুক্লা দ্বাদশীতে
‘তুমি যে নূরের রবি
নিখিলের ধ্যানের ছবি
তুমি না এলে দুনিয়ায়
আঁধারে ডুবিত সবই।’
হে প্রিয় নবী রাসুল আমার
বন্ধু আমার হাবিব-এ- খোদা
তোমাকে সালাম
দরুদ তোমার উপর হাজার বার।
‘নবী না হয়ে দুনিয়ায়
না হয়ে ফেরেশতা খোদার
হয়েছি উম্মত তোমার
তার তরে শুকুর হাজার বার।’