নীরদচন্দ্র চৌধুরীর বয়ানে মুসলমান

 

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুমিত সরকার লিখেছেন,
‘নীরদ চন্দ্র চৌধুরী কিশোরগঞ্জে কৈশোরের দিনগুলির কথা স্মরণ করে প্রাক ১৯০৫ হিন্দু ভদ্রলোকদের মুসলমানদের প্রতি তাদের আচরণের কথা প্রসঙ্গে ‘চার পর্যায়ের’ কথা বলেছেন। … ‘আমাদের চতুর্থ অনুভূতি ছিল মুসলমান কৃষকদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ মিশ্রিত। আমরা তাদেরকে আমাদের ‘লাইভস্টক (গৃহপালিত পশু) মনে করতাম’। কথাগুলো খুব কড়া, তবে মূলতঃ মিথ্যা নয়।’’

[Dr. Sumit Sarker: The Swadeshi Movement in Bengal; সূত্র- ওবায়দুল হক সরকার: বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে ইতিহাস, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লি. জুলাই ২০০৭, পৃষ্ঠা ৪৬]


নীরদচন্দ্র চৌধুরী

নীরদ চন্দ্র চৌধুরী তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন,
রবীন্দ্রনাথ জমিদার হিসেবে পূর্ববঙ্গের মুসলমান প্রজাদের লাইভস্টক বা গৃহপালিত পশু মনে করতেন। পেশাগত দিক থেকে কবিগুরু ছিলেন একজন জমিদার ও বানিয়া। তাই তিনি পূর্ববঙ্গ প্রদেশ গঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের বিরোধিতা করেছেন। নতুন প্রদেশ গঠনের দিন ১৬ অক্টোবরকে তিনি শোক দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। একইভাবে ১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা যে সভা করে তাতে সভাপতিত্ব করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’।

[এরশাদ মজুমদার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও তরুণসমাজ, উপসম্পাদকীয়, দৈনিক নয়াদিগন্ত, রামকৃষ্ণ রোড ঢাকা,  ২৭ নভেম্বর ২০১১, পৃ ৬]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *