আযাদ আলাউদ্দীন
‘প্রবাদ ধাঁধাঁ উৎসবে বরিশাল’ মূলত বেগম ফয়জুন নাহার শেলীর বিভিন্ন সময় লেখা নিবন্ধের সংগ্রহ ও সংকলন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বরিশাল শাখার কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের অধীনে একটি প্রকল্পের আওতায় এ কাজের সূচনা হয়েছিল। পরে এর কিছু অংশ বরিশাল প্রামাণ্য ইতিহাস গবেষক সাইফুল আহসান বুলবুল সম্পাদিত ‘আনন্দপত্র’ এবং কবি তপংকর চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘নান্দনিক’-এ প্রকাশিত হয়। সৈয়দ দুলাল সম্পাদিত বরিশাল চর্চার বাহন ‘আনন্দ লিখন’ পত্রিকার জন্য কাজ করতে গিয়েও এ ব্যাপারে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। এছাড়াও লোকজ উপাদান সংগ্রহে সরাসরি যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ঋণও সংস্লিষ্ট প্রসঙ্গে স্বীকার করেছেন লেখক বেগম ফয়জুন নাহার শেলী।
এ বিষয়ে পথপরিক্রমায় ভবিষ্যতের লোক সংস্কৃতি ও সাহিত্য গবেষক, সংগ্রাহক ও সংকলকরা এগিয়ে এলে এ গ্রন্থের পকাশনার প্রয়াস সর্থক হবে। বইটি প্রকাশ করেছে ‘জয়তী’ (৬৮ কনকর্ড এম্পোরিয়াম, ২৫৩-২৫৪ কুদরাত-ই-খুদা রোড, কাঁটাবন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের বইমেলায় এই বইটি প্রকাশিত হয়। বইটিতে তিনটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ১. বরিশালের লোকজ উৎসব, ২. বরিশালের প্রবাদ প্রবচন ৩. বরিশালের শোলক/ধাঁধাঁ বা ভাঙ্গানী।
লেখক পরিচিতি
বেগম ফজুন নাহার শেলী ১৯৫৬ সালের ৩ মার্চ বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বরিশাল উইমেন্স কলেজ থেকে এইচএসসি, বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ন হন।
বরিশাল মমতাজ মজিদুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা পদে কিছুুদন কাজ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন পিএইচডি পর্যায় গবেষণা করলেও তা অসমাপ্ত রেখে রেডিও তেহরানে ঘোষক ও অনুবাদকের কাজ নিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান চলে যান। ১৯৮৭-১৯৯৫ পর্যন্ত রেডিও তেহরানে কাজ করার পর ১৯৯৫ সালে দেশে ফিরে আবারও বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৬-তে একই কলেজ থেকে অবসরে যান। নারী ঐক্য পরিষদ, বরিশালের সভাপতি, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি।
স্বামী, এক কন্যা এবং দুই পুত্র নিয়ে তাঁর পারিবারিক জীবন। বরিশাল শহরের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ: বাংলা, ত্রয়ী দিশারী নারী কামিনী-রোকেয়া-সুফিয়া (২০১২)।