বখতিয়ার খিলজী নাজাতকারী

আল মাহমুদ

ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসনের জুলুম নিপীড়নের বাংলার সকল শ্রেণী, সকল ধর্মের ও সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন যখন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল তখন ঈমানী চেতনায় উদ্দীপ্ত বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গ বিজয় বাংলার মানুষকে নতুন জীবনের সন্ধান দিয়েছিল। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গ বিজয়েরই ফসল। বখতিয়ার খিলজী আক্রমণকারী নয়, তিনি নাজাতকারী।

কবি বঙ্গ বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় ৭ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাবসমূহ উপস্থিত সুধীম-লীর পক্ষ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থিত হয়।

বখতিয়ারের সাদা ঘোড়া এর ছবির ফলাফল

প্রস্তাবসমূহ :
১. প্রতি বছর বঙ্গ বিজয় বার্ষিকী উদযাপন করতে হবে।
২. বখতিয়ার খিলজীকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
৩. বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে তাঁর নামে একটি করে হল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৪. পাঠ্যপুস্তকে আলাদা করে তাঁর জীবনী সন্নিবেশ করতে হবে।
৫. ‘বখতিয়ার খিলজী মিনার’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৬. বখতিয়ার খিলজীর নামে ঢাকায় একটি সড়কের নামকরণ করতে হবে।
৭. বাংলা একাডেমী থেকে তাঁর উপর প্রামাণ্য গ্রন্থ প্রকাশ করতে হবে।

[১৯৯৭ সনে বঙ্গ বিজয়ের ৭৯৩ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বরেণ্য কবি আল মাহমুদ প্রদত্ত বয়ান]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *