শেকড়মুখী রেনেসাঁর কবি শাহাদাৎ হোসেন

মাহমুদ ইউসুফ

কবি শাহাদাৎ হোসেন একজন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, নাট্যকার এবং বেতার ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম ১৮৯৩ সালের আগস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত মহকুমার অন্তর্গত পণ্ডিতপোল গ্রামে। পড়াশুনা পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলার হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। হাড়ায়ো এম. ই. স্কুলে পাঁচ বছর শিক্ষকতাও করেন। তারপরে কলকাতায় আগমন। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ। একাধারে তিনি মাসিক সওগাত, মাসিক সহচর, দৈনিক সুলতান, সাপ্তাহিক মোসলেম জগত সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ শতকের বাংলাভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির শেকড়মুখী ও মূলধারার দিশারী কবি শাহাদাৎ হোসেন। কাব্য, নাটক, কথাসাহিত্যে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দরজা উন্মুক্ত করেন। তাঁকে বাংলার বিশ্বাসী সাহিত্য সংস্কৃতির জনক বললেও অত্যুক্তি হবে না। এ প্রসঙ্গে সতীর্থ মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর বয়ান উল্লেখযোগ্য। তিনি স্মৃতিচারণ (প্রকাশিত: মাহে-নও, ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪) করতে গিয়ে বলেন, ‘শাহাদাৎ হোসেন ছিলেন আমার সমবয়সী। তখনো আমি স্কুলের ছাত্র। একদিন শুনতে পেলাম, বশিরহাটে কবি ভুজঙ্গধর রায় চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিদের চেষ্টায় আহূত এক সাহিত্য সম্মেলনে একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শাহাদাৎ হোসেন নামক একজন তরুণ মুসলিম পুরুস্কৃত হয়েছেন। বশিরহাট আমাদের গ্রাম থেকে ১২-১৩ মাইলের মধ্যে। আমি স্কুলের ছাত্র হয়ে সঙ্গীর অভাবে সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারিনি; কিন্তু সেই থেকে এই তরুণ কবির পরিচয় জানতে আগ্রহী হয়ে উঠি। আগ্রহের অন্যতম প্রধাণ কারণ, সে যুগে কবির মতো কবি বাংলাভাষী মুসলিম সমাজে একজনও ছিলেন না বললেই চলে। অন্তত এমন ধরনের কবি কেউ ছিলেন না, যাঁকে অগ্রসর হিন্দু সমাজের কবি-সাহিত্যিকরা স্বীকৃতি দিতে উৎসুক ছিলেন।’ কবি ও গবেষক আবদুল মান্নান সৈয়দ বলেন, ‘বাঙালি-মুসলমান কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম কবি, যিনি কবিতাকে কবিতারই আপন শিল্পমূল্যে প্রথম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রেম, প্রকৃতি, ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র- এই সমস্ত বিষয়েই তিনি কবিতা লিখেছিলেন; কিন্তু সমস্তকেই তিনি নিয়ে এসেছিলেন তাঁর সৌন্দর্যের বৃত্তে, তাঁর কল্পনার উচ্ছল আয়তনে।’ (আবদুল মান্নান সৈয়দ: শাহাদাৎ হোসেনের ইসলামী কবিতা, পৃ ২৩০)

পরবর্তীতে এই ধারাকে পরিপুষ্ট ও শ্রীবৃদ্ধি করেন কবিতায় গোলাম মোস্তফা, কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমদ, সংগীতে আব্বাসউদ্দীন আহমদ, আবদুল আলীম, কবি মতিউর রহমান মল্লিক, নাটকে ড. আসকার ইবনে শাইখ, ওবায়দুল হক সরকার, আরিফুল হক, গল্পে অধ্যাপক শাহেদ আলী, সাংবাদিকতায় মাওলানা মোহাম্মাদ আকরম খাঁ, মৌলভী মুজীবুর রহমান, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, মোহাম্মদ মোদাব্বের প্রমুখ।

তাঁর কবিতায় তাওহিদে বিশ্বাসী ঐতিহ্য সচেতনতা ও নিসর্গ প্রীতি লক্ষ করা যায়। আল্লাহতে বিশ্বাসী মূলধারার  জনগোষ্ঠীর চিন্তাচেতনা, আদর্শ, জীবনকাহিনি উপস্থাপন করেন তাঁর কলমের কালিতে। তাঁর স্বপ্ন ছিলো এক খোদার রাজ্য গড়া। জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান বলেছেন, ‘প্রাচীন রচনা-শৈলীর অনুশাসন স্বীকার করে শাহাদাৎ হোসেন তার স্বপ্নের রাজ্য নির্মাণ করেছিলেন। শাহাদাৎ হোসেনের কবিতায় ছন্দকুশলতা বিদ্যমান এবং পয়ারের একটি পরিশীলিত বিকাশ সেখানে আমরা লক্ষ্য করি। আদর্শের দিক থেকে শাহাদাৎ হোসেন বৃহত্তর ইসলামী জাতীয়তাবাদী। যে স্বপ্ন থেকে খেলাফাৎ আন্দোলনের উদ্ভব সেই বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্বের স্বপ্ন আজীবন কবির কাছে সত্য ছিলো।’ (মুহাম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান: বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত আধুনিক যুগ, পৃ ৩১০)

কবি শাহাদাৎ হোসেন নামে বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়ের হলেও তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক এবং মানবতাবাদী সাহিত্যিক বোদ্ধা। কাজে কর্মে, চিন্তা চেতনায়, মন মননে, বয়ানে লেখায় সবক্ষেত্রে তিনি অসাম্প্রদায়িকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯২৯ সালে তিনি সওগাত (জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৬) পত্রিকায় ‘ইসলামে পরমতসহিষ্ণুতা’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেন, ‘অজ্ঞতা জীবনের আলোক-পথকে অন্ধকারে আচ্ছন্ন করিয়া রাখে। যতদিন না ইহার হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিতে পারিবে, ততদিন পৃথিবী হইতে তুচ্ছ মনোমানিল্য, হিংসা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, উৎপীড়ন- এককথায় সর্বপ্রকার কলুষ ও অপবিত্রতা কিছুতেই দূরীভূত হইবে না। মানব-সাধারণের একের দুঃখ দুর্গতির প্রতি অপরের ঔদাসীন্যই জীবনের অধিকাংশ দুঃখ-বিপদের হেতু। প্রত্যেক জাতি বা সম্প্রদায় যদি হীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জঘন্য মনোমানিল্য কুসংস্কার ও গোঁড়ামি ত্যাগ করিয়া অন্যের ধর্মমত, আদর্শ ও জ্ঞানসম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভের জন্য আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হয়, তাহা হইলেই দুর্গতির অবসান ঘটে। অজ্ঞতার ইন্ধনে যে পুঞ্জীভূত অঙ্গার জ¦লিয়া উঠিয়াছে একমাত্র জ্ঞানের প্লাবনেই তাহার নির্বাণ সম্ভব।’ (আবদুল মান্নান সৈয়দ: শাহাদাৎ হোসেনের ইসলামী কবিতা, পৃ ১৯১) মুসলিম, হিন্দু, ব্রাহ্মণ, শুদ্র, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ তাঁর কাছে কোনো ভেদাভেদ ছিলো না। মানুষ, মানবতা, মানবাধিকারই তাঁর কাছে মুখ্য। তাঁর কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প, নাটকের মূল আরাধ্য মানবতার জয়গান। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, সম্প্রদায় কোনো বিষয়বস্তু নয়; ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ এটাই চূড়ান্ত। কবি শাহাদাৎ হোসেনের জিন্দেগি ছিলো এ চেতনায় সদা জাগ্রত।

জীবনের শেষ ছয় বছর বাদ দিলে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের উত্তাল দিনগুলোই ছিলো তাঁর পুরো জীবনকাল। ভারতবর্ষে ইংরেজি বিরোধী লড়াই শুরু করেন নবাব সিরাজদৌলা, মীর মদন, দৌলত আলি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। আঠার শতকে এ আন্দোলনকে বেগবান করে মজনু শাহ, বালকি শাহ, মুসা শাহ, আগা বাকের প্রমুখ। উনবিংশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন সৈয়দ নিসার আলী তিতুমির, মাসুম খান, কাজি মিয়াজান, রহিম উল্লাহ, হাবিলদার রজব আলি, শের আলি খান, হাজি শরিয়ত উল্লাহ, মোহসেন উদ্দিন দুদু মিয়া প্রমুখ মুজাহিদগণ। বিশ শতকে এ সংগ্রাম আরও চাঙ্গা হয়। দেশকাল সম্বন্ধে কবি শাহাদাৎ হোসেন ছিলেন সচেতন। তাই তিনি নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি এ লড়াই থেকে। নিজেই সংগ্রামী সৈনিক হিসেবে ময়দানে সক্রিয় হন। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং ‘রেড শার্ট ওয়ার কাউন্সিল’ এর পরিচালক হিসেবে কলকাতার মির্জাপুর পার্কে বক্তৃতাদানকালে পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এ সম্পর্কে মোহাম্মদ মোদাব্বের বলেন, ‘৩২ সালের ৭ই মার্চ সোমবার বিকেলে কবি শাহাদাৎ হোসেন অক্টারলোনি মনুমেন্টের পাদদেশে সভা করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। পরদিন তাঁর বিচার হয়। কবিকে চার মাসের সশ্রম কারাদ-ে দ-িত করা হয়।’ (মোহাম্মদ মোদাব্বের: ইতিহাস কথা কয়, পৃ ৩৬)  তাঁর পূর্বে আরও যে কজন জাতীয় বুদ্ধিজীবীকে একই ‘অপরাধে’ জেলের ঘানি টানতে হয় তাঁরা হলেন সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজি, কাজী নজরুল ইসলাম, মাওলানা আকরম খাঁ প্রমুখ।

শাহাদাৎ হোসেন মূলত কবি। তবে তাঁর চিন্তাশীল প্রতিভা নানাদিকে পরিব্যাপ্ত। একাধারে তিনি কথাশিল্পী, প্রবন্ধকার, নট, নাট্যকার, আবৃত্তিকার, শিক্ষক ও গ্রন্থগারিক, সম্পাদক ও সাংবাদিক। মৃদঙ্গ, কল্পরেখা ও রূপছন্দা তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো চিত্রপট, মধুছন্দা, তিনতারা, মম্মবীণা ইত্যাদি।

সফররাজ খাঁ, আনার কলি, মসনদের মোহ ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত নাটক। সমসাময়িক মুসলিম নাট্যকারদের মধ্যে অভিনয়কলায় তিনিই ছিলেন সর্বাপেক্ষা দক্ষ, কুশলী এবং আগ্রহশীল। ড. আসকার ইবনে শাইখের আগে মুসলিম নাট্যকারদের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। গল্পগ্রন্থ রূপায়ণ বাংলা ১৩৪০ সালে প্রকাশিত। সাতটি গল্পের সংকলন। গল্পগুলো হলো প্রতিশোধ, সন্ধি, ইজ্জতের দায়, প্রায়শ্চিত্ত, চরিত্রহীন, বিপর্যয় ও দিনমজুরের জীবনপঞ্জী।

উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে রিক্তা, কাঁটাফুল, যুগের আলো, সোনার কাঁকন, লায়লী মজনু, শিরি ফরহাদ, ইউসুফ-জোলেখা, ঘরের লক্ষ্মী, পারের পথে, হিরণরেখা, স্বামীর ভুল, খেয়াতরী, মরুর কুসুম, পথের দেখা, সতী মহিমা ইত্যাদি। বারোয়ারী উপন্যাসের দ্বিতীয় কিস্তির রচিয়তা শাহাদাৎ হোসেন। এ উপন্যাসের অন্যান্য লেখক হলেন মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, গোলাম মোস্তফা, গোলাম জিলানী, মোহাম্মদ কাসেম, নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, কাজী নওয়াজ খোদা, আবদুল কাদির, মোহাম্মদ নূরুল আনাম খাঁ, এ জেড নূর আহমদ, হেমেন্দ্রনাথ রায়, মোহাম্মদ আবদুর রশীদ খাঁ।

শিশু-কিশোর সাহিত্য: মোহন ভোগ, ছেলেদের গল্প, বেগম নূরজাহান, গুলবদন, জাহানারা, জেবনুন্নেসা, বালিকা জবিন ও সুরুচি পাঠ। এছাড়াও কবির অসংখ্য প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সমকালীন পত্র পত্রিকার পাতায়। দু:খের বিষয় তাঁর রচনাবলি বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। আমাদের অবিমৃশ্যকারিতার জন্যই এ দূরাবস্থা। একসময় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাবোর্ডের সিলেবাসভুক্ত ছিলো তার কবিতা-নাটক। কিন্তু কালের ব্যবধানে তথাকথিত প্রগতিশীলতার ধুয়া তুলে সেগুলো বিলুপ্ত করা হয় পাঠ্যসূচি থেকে। হীরা ফেলে কাঁচ তুলে আজ গোটা জাতি মাতোয়ারা। এই ব্যর্থতার দৌড় কতদূর জানা নেই আমাদের।

শাহাদাৎ হোসেন তাঁর শিল্প সাহিত্য জীবনে বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৩২ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় এ্যালবার্ট হলে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশনে সূচনায় তাঁর ‘বরণিকা’ কবিতা আবৃত্তি করেন। ১৯৩৯ সালের ৬ ও ৭ মে কলকাতার মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে সমিতির ষষ্ঠ অধিবেশনে কাব্যশাখার সভাপতিত্ব করেন কবি শাহাদাৎ হোসেন। এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন তদানীন্তন বাংলার প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। ১৯৪৩ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অনুষ্ঠিত সমিতির সপ্তম ও শেষ অধিবেশনে কবি ‘সুধীবরণ’ নামে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাস ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইসলামি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কবি। বশিরহাট ‘বাণীসংঘ’ থেকে সংবর্ধনা এবং কবিকূল শিরোমণি ও পূর্ণেন্দু খেতাব পান।

কবির কর্মস্থল ছিলো কলকাতা। ১৯৪৭ সালের আযাদির পর তিনি বেতারে চাকরি নিয়ে ১৯৪৮ সালের মে মাসে ঢাকায় আসেন। কিন্তু ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে চাকরি চলে যাওয়ার পর দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়ি পণ্ডিতপোলে চলে যান। এমতাবস্থায় দরিদ্রতা আর রোগে-ভোগে ১৯৫৩ সালে কলকাতার হাসপাতালে নিঃসঙ্গ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

তথ্যসূত্র

১. আবদুল মান্নান সৈয়দ: শাহাদাৎ হোসেনের ইসলামী কবিতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ঢাকা, চতুর্থ সংস্করণ, নভেম্বর ২০০২

২. মোহাম্মদ মোদাব্বের: ইতিহাস কথা কয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ঢাকা, তৃতীয় সংস্করণ ২০০৫

৩. উইকিপিডিয়া: ১৬ জুলাই ২০১৭

৪. বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান

৫. মুহাম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান: বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, আধুনিক যুগ, আহমদ পাবলিশিং হাউস, বাংলাবাজার ঢাকা ১১০০, নবম মুদ্রণ ২০০৬

৬. দৈনিক কালেরকণ্ঠ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

৭. ড. এম এ সবুর: দৈনিক সংগ্রাম ০২ জানুয়ারি ২০১৫

৮. মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ সম্পাদিত আবুল কালাম শামসুদ্দীন রচনাবলী দ্বিতীয় খন্ড, বাংলা একাডেমী ঢাকা ১০০০, প্রথম প্রকাশ জুন ১৯৯৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *