শের-ই-বাংলা’র গল্প শোনো

প্রফেসর মোঃ মোসলেমউদ্দীন শিকদার:

প্রাক কথন
২৬ অক্টোবর শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক এর ১৫০তম জন্ম শতবার্ষিকী। স্বাধীন বাংলার প্রথম স্বাপ্নিক ও অন্যতম স্থপতি, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বাঙালী গভর্ণর (১৯৫৬-৫৮) শের-ই-বাংলার (১৮৭৩-১৯৬২) নাম শোনেনি এমন মন্দভাগ্য বাংলাদেশে খুব কমই আছে। মৃত্যুর ৬১ বছর পরে এখনও শের-ই-বাংলা তোমাদের অধিকাংশের কাছে প্রিয় ও পরিচিত থাকার কথা। শুধু তোমাদের বলছি কেন, আমাদের বাপ-দাদা এমনকি তাদের পূর্ব পুরুষদের কাছেও ফজলুল হক অতি প্রিয় নেতা ছিলেন। স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান* (১৯২০-৭৫) তাঁর সাড়া জাগানো ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-তে লিখেছেন, ′একদিনের কথা মনে আছে। আব্বা ও আমি রাত দুইটা পর্যন্ত রাজনীতির আলোচনা করি। আব্বা আমার আলোচনা শুনে খুশী হলেন। শুধু বললেন, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তিগত আক্রমণ না করতে। একদিন আমার মা ও আমাকে বলেছিলেন, বাবা যাই করো, হক সাহেবের বিরূদ্ধে কিছুই বলিও না। শেরেবাংলা মিছামিছি শেরেবাংলা হন নাই। বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরূদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাঁধা পেয়েছি।” বঙ্গবন্ধু নিজেও পল্টনের একাধিক জনসভায়, ‘কারাগারের রোজনামচায়’ তাঁর এককালের শীর্ষস্থানীয় প্রবীণ নেতা শেরেবাংলা এ.কে ফজলুল হক সম্পর্কে উচ্ছসিত ভাষায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও স্মৃতিচারণ করেছেন। তোমরা বড় হয়ে এসব সবিস্তারে জানতে পারবে। ইনশা আল্লাহ। উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৯২৪ সালে অবিভক্ত বাংলার স্বল্পকালীন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী হয়েই এ.কে ফজলুল হক কলকাতায় একটি ইসলামিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৯৪৭ সাল থেকে মাওলানা আজাদ কলেজ নামে পরিচিত উক্ত কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ্যাড কাজী গোলাম মাহবুব প্রমুখ বাঙালী মুসলিম নেতৃবর্গ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। স্মরণযোগ্য সেকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীরা কদাচিৎ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেত।

শেরেবাংলা অর্থ বাংলার বাঘ। সুন্দরবনের বাঘ কিংবা ক্রিকেটের কোন বরপূত্র নয় অবশ্যই। ফজলুল হকের নামের সাথে এই বহুল প্রচলিত উপাধি (উপনাম) প্রদানের পটভূমি ও তাৎপর্য যথাসময়ে জানতে পারা যাবে। ইনশাআল্লাহ।

জন্ম ও বংশ পরিচিতি
ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বর্তমান ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া মিয়া বাড়ী মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ব পুরুষদের আদি বসতি ছিল বর্তমান পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার বিলবিলাস গ্রামে। তাঁর দাদা আলহাজ্ব কাজী মুহাম্মদ আকরাম আলী (১৮২০-১৯০০) উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বাউফল থেকে হিজরত পূর্বক বরিশাল জেলার চাখারে বসতি স্থাপন করেন। এ.কে ফজলুল হক এর পিতা এ্যাডঃ কাজী মুহাম্মদ ওয়াজেদ (১৯৪৩-১৯০১) ছিলেন বরিশালের প্রথম মুসলিম উকিল, ধর্মপ্রাণ ও সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব। ১৮৭৭ সালে বরিশাল আগরপুর রোডে ‘ফ্লোরা হাউজ’ নামে নির্মিত দ্বিতল বাড়ী ছিল এতদাঞ্চলের গরীব দুঃখী ছাত্র-ছাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও যে কোন অনাথ ও অসহায়দের আশ্রয়স্থল। শেরেবাংলার গুনবতী মা বেগম সৈয়দুন্নিছা আমৃত্যু (১৯২১) তাঁদের বাসভবন সংলগ্ন একাধিক গৃহে এই সব মেহমানখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর দেখভাল করতেন। শেরেবাংলার মাতাপিতা সহ পূর্ব পুরুষদের কবরস্থান চাখার শেরেবাংলা জামে মসজিদ ও অধুনা বিলুপ্ত ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসা (যা বর্তমানে চাখার গার্লস স্কুল) এর সম্মুখে অবস্থিত। ফজলুল হক এর শৈশব কালের একটা অলৌকিক ও অস্বাভাবিক ঘটনার কথা প্রায় এভাবে জানা যায়। ১৯৭৬ সালের ৩১ অক্টোবর বরিশালে প্রবল ঝড়-তুফান হয় এবং সেই ঐতিহাসিক ঘূর্ণিঝড় ও মহাপ্লাবনে কমপক্ষে লক্ষাধিক লোক মারা যায়। তখন ফজলুল হক এর বয়স ৩ বছর ও তার ছোট বোনের বয়স মাত্র ৬ মাস। অত্যন্ত পূণ্যবতী মা সৈয়দুন্নিছার মনে শিশুপূত্রকে হযরত মুসা (আঃ) এর মা কর্তৃক সিন্ধুকে ভরে নীল নদে ভাসানোর কিংবা নুহ (আঃ) এর আমলের মহাপ্লাবনের কাহিনী স্মরণে এসেছিল কি না জানি না। সেকালের প্রেক্ষাপট অবশ্যই ছিল ভিন্ন।

প্রবল ঝড়-তুফান থেকে নিজের হেফাজতে না রেখে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার উপরে ভরসা করে দুই ছেলেমেয়ের বাহুতে নাম ঠিকানা লিখে বড় তামার পাতিলে ভরে প্রবাহমান পানিতে ভাসিয়ে দেন। অতঃপর তাদের হেফাজতের জন্য ও চলমান ঝড়-তুফান বন্ধের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর সমীপে চোখের পানি ফেলে কায়মনোবার্কে ধরণা দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর অনেকটা অলৌকিক ও আকস্মিকভাবে ঝড়-তুফান থেমে যায় এবং গ্রামের লোকজন দু’ভাইবোনকে উদ্ধার পূর্বক স্নেহময়ী জননী বেগম সৈয়দুন্নিছার নিকটে পৌঁছে দেন। আলহামদুলিল্লাহ। ফজলুল হক আজীবন যেভাবে তাঁর মাতাপিতা ও শিক্ষক মুরুব্বীদেরকে যথাযথ সম্মান ও সেবা করতেন। তা বর্তমান প্রজন্মের জন্য দারুন শিক্ষনীয় বৈকি।

শৈশব ও কৈশোর
এ.কে ফজলুল হক ও তাঁর দু’বোন বদরুন্নেছা ও আফজালুন্নেছা’র প্রাথমিক শিক্ষা পিতৃগৃহে শুরু হয়। ছুটিতে চাখারের বাড়ীতে ও সাতুরিয়া মাতুলালয়ে বেড়াতে গেলেও তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াও বন্ধ থাকতো না – স্থানীয় মক্তবে তাঁদের সাগ্রহে পড়ানো হতো। এসব কচিকাঁচা শিশুদের অসাধারণ মেধাশক্তি ও প্রতিভা দেখে শিক্ষকেরা শিক্ষাদানে উৎসাহিত ও আনন্দবোধ করতেন। সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা ওদের মেধা ও মনন মূল্যায়ন করে বিস্মিত ও অনুপ্রাণিত হতো। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, কিশোর বয়স থেকেই ফজলুল হক সাঁতার কাটা ও যাবতীয় খেলাধুলার মাধ্যমে এতটা শক্তি অর্জন করেন যে, তাঁদের বাসভবনের পাশে বসবাসরত কতিপয় কাবুলিওয়ালা ′বাঙালীরা কুস্তি কিংবা পাঞ্জা লড়তে জানে না” বলে দেয়া চ্যালেঞ্জের জবাবে কিংবদন্তী মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী’র ন্যায় ফজলুল হক তাঁর প্রতিপক্ষকে অনায়াসেরই ধরাশায়ী করেন।

ফজলুল হক এর অপূর্ব স্মৃতিশক্তি শিক্ষকদের কেন অবাক লাগতো দু’একটা ঘটনা থেকে তার প্রমাণ মিলবে। তার কোনকিছু একবারের বেশী পড়ার আবশ্যক হতো না। পিত্রালয়ের একদিনের ঘটনা। ফজলুল হক একটা বই পড়ে তার পাতা ছিড়ে ফেললেন। মা তাকে এজন্য তিরস্কার করলেন। ফজলুল হক বললেন, পড়া তাঁর মুখস্ত হয়েছে। মা তাকে পড়া জিজ্ঞাসা করায় তিনি অনায়াসেই ছেঁড়া পাতার পাঠ হুবহু মুখস্থ বলে ফেলেন। একবার বিদ্যালয়ে ফজলুল হক শিক্ষককে বললেন, আমাকে কেন এতটুকু পড়া দেন, স্যার? উত্তরে স্যার বলেছিলেন, অন্য সবাইকে যতটুকু পড়া দিয়েছি, তোমাকেও তো তাই দিয়েছি। ফজলুল হক পুনরায় বললেন, আমি এর চেয়ে বেশী পড়তে পারি স্যার। তাৎক্ষনিকভাবে অনুষ্ঠিত স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় তাঁর প্রথম হওয়ার প্রবণতা ছিল। ফজলুল হক এর স্কুল জীবনের প্রথম দিনের কাহিনীটা শোনা যাক।

১৮৮১ সালের শুরুতে কোন এক শুভদিনে, ৮ বছর বয়সে ফজলুল হক ঐতিহ্যবাহী বরিশাল জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হতে যান। তখন জিলা স্কুলের নিয়ম ছিল, নবাগত ছাত্রেরা পিছনে বসবে। পরীক্ষায় যারা ভালো ফল করতো, তারাই সামনের সারিতে বসতো। বিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই, ফজলুল হক পিছনের বেঞ্চে বসতে আপত্তি জানান। অগত্যা, শিক্ষক মন্ডলী তাঁর বিশেষ ভর্তি পরীক্ষা নেন। সেই পরীক্ষায় শিক্ষকদের আশাতীত ভালো করায় শিক্ষকরা তাকে প্রথম দিন থেকেই সামনের বেঞ্চে বসতে দেন। সেদিন আল্লাহ ছাড়া কে জানতো, এই কিশোরের উদ্যোগে এদেশে পরবর্তীকালে এরূপ অসংখ্য স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ ও ছাত্রাবাস শুধু নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ প্রতিষ্ঠিত হবে।

সেকালে খানদানী মুসলিম পরিবারে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ফজলুল হক গৃহে ধর্মীয় বিষয়ে অভিজ্ঞ মৌলভীর নিকট আরবী, ফারসি, উর্দু এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন সহীহ করে শিক্ষার হাতেখড়ি নেন। বরিশাল জিলা স্কুলে অধ্যয়ন কালে ঐ সময় বরিশাল-ফরিদপুর অঞ্চলে মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন আহমদ (১৮৬০-১৯৪১) উক্ত স্কুলের (স্বনামধন্য শিক্ষক ও পরে সভাপতি) ফজলুল হক -কে Friend, Philosopher & Guide এর ভূমিকায় অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।

বরিশাল জিলা স্কুলে অধ্যয়নকালে নিজ গৃহে ইসলাম ধর্ম ভিত্তিক পড়াশুনা ব্যতীত ফজলুল হক বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, অংক, বিজ্ঞান সহ সকল বিষয়ে বিরল কৃতিত্বের পরিচয় দেন। ১৮৮৯ সালে ১৬ বছর বয়সে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ঢাকা বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে আবাসিক বৃত্তির সাথে স্বর্ণপদক পেলেও তাঁর পিতা খুশী হতে পারেননি। তিনি ১৮৬৪ সালে তিনি (মুহাম্মদ ওয়াজেদ) এই জিলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তার পুত্রের কাছ থেকে তিনি আশা করেছিলেন আরো কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল। বরিশাল শহরের আগরপুর রোডের বাড়ি থেকে ঘোড়ার গাড়িতে বা কখনো পায়ে হেঁটে নিয়মিত স্কুলে যেতেন। তখনো বরিশাল শহরে রিকশা বা গাড়ির প্রচলন ছিলো না। জিলা স্কুলকে তিনি আজীবন মনে প্রাণে ভালোবাসতেন। ১৯৩৯ সালের ৬ আগষস্ট অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জিলা স্কুল পরিদর্শন করে তিনি বলেছিলেন, ′আজ আমার জীবন ধন্য।”

শেষকথা
তোমাদের মতো তুখোর জ্ঞানপিপাসু কিশোর-তরুনদের কে উপমহাদেশের কিংবদন্তী জননায়ক, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রণেতা ও উত্থাপক, অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত শেরেবাংলা এ.কে ফজলুল হক সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাঁ, আবুল মনসুর আহমদ, বি.ডি হাবীবুল্লাহ, কবি সুফিয়া কামাল, এ.কে জয়নূল আবেদীন, আজাদ সুলতান প্রমূখের লেখা শের-ই-বাংলার বর্ণাঢ্য জীবনী ও গল্পসূলভ কাহিনী এক্ষণে একেবারে দূষ্প্রাপ্য বিধায়, এই মহান নেতা’র সম্পর্কে নিম্ন স্বাক্ষরকারী’র ষাট বছরের (১৯৬২-২০২২) সাধনার ফসল পর্যায়ক্রমে তোমাদেরকে উপহার দেওয়ার প্রয়াস চলবে। ইনশা আল্লাহ। (সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রদান সাপেক্ষে।)

প্রফেসর মোঃ মোসলেমউদ্দীন শিকদার
অধ্যক্ষ (অবঃ), সরকারি গৌরনদী কলেজ, বরিশাল।
সাবেক নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক ইতিহাস অন্বেষা

প্রবন্ধকার কর্তৃক প্রণীত, অনুদিত ও সম্পাদিত শেরেবাংলা বিষয়ক কয়েকটি রচনা
১। বাংলাদেশে শেরেবাংলা চর্চা : একটি সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা। মাসিক ইতিহাস অন্বেষা, অক্টোবর, ২০১৪। মাসিক অগ্রপথিক, মে, ২০১৬। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শেরেবাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা।
২। শেরে-ই-বাংলা অবিস্মরণীয় ভাষণ (অনুবাদ), ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশনা, ৩৩৮, ২০১৯।
৩। ছোটদের ফজলুল হক, এ.কে জয়নাল আবেদীন, ১৯৬৩, বরিশাল এ.কে. জ. আবেদীন ফাউন্ডেশন, পুনঃ প্রকাশনার পথে, ২০২২।
৪। শেরেবাংলার জীবন ও কর্ম (ভাষণ ও পত্রাদি সহ), ঢাকার উত্তরাস্থ বি.আই.আই.টি কর্তৃক প্রকাশনার জন্য প্রক্রিয়াধীন।
৫। বাঙলী মুসলিম সমাজ ও শেরেবাংলা (একক প্রবন্ধ সংকলন), ঢাকার উত্তরাস্থ বি.আই.আই.টি কর্তৃক প্রকাশনার জন্য প্রক্রিয়াধীন।
৬। শেরেবাংলার গল্প শোনো (অসমাপ্ত পান্ডুলিপি)।

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *