ফারজানা আফরোজ ।।
.
পৃথিবীর গহন আঁধারে ঢেকে যায় দশদিক,
তারো চেয়ে অধিক কিছুতে হারাই নিজেকে।
হাজারো বছরের পুরনো তাম্রলিপি ঘেঁটে কেউ একজন ছুঁয়েছিলো মমির শরীর।
নিস্তব্ধতা ভেঙে যাকে ডাকেনি কেউ বহুকাল, তুমি তাকে ডেকে গেলে অনিবার।
পৃথিবীর সুপ্রাচীণ পথে পদব্রজে এসে তুমি আমাতে স্বপ্ন খুঁড়ে নিলে।
কোনো কোনো ছোঁয়ায় পাথর ও জেগে ওঠে, ফোটায় পারিজাত।
সুপ্রাচীন মমির শরীর আজ ঘুমে অচেতন,
তাতে আর চেতনা কে জাগায় বলো
তবু অভিযোগ, অভিশাপ জেগে রয়
,শতাব্দীর পর শতাব্দী বিচারের নিরব দাবী নিয়ে।
.
সুচেতন মাটির কোরকে বীজপত্র কথা কয় নিঃসারে।
জেগে থাকে ক্ষীয়মান জীবনীশক্তি নিয়ে।
তুমি তাকে সক্রেটিস হতে বলোনা।
যে নিজেকে ভেঙে ভেঙে গড়ে আবারও সাইটোপ্লাজমের
প্রাচীর ভাঙার খেলায় নিজেকে গড়ে।
.
তাকে তুমি হেমলক হতে বলোনা।
সে তো এক জীবন্ত প্রানের উৎসব।
আমি তাকে মশাল হাতে হেঁটে যেতে দেখি শোভাযাত্রায়।
দেখি ব্যানারে আর ফেস্টুনে সোচ্চার হতে,,,,,,।
তুমি তাকে ডেকে নাও তোমার তীর্থযাত্রায়।
যেখানে আজো পৃথিবীর বুকে আঁকেনি কেউ স্বীয় পদচ্ছাপ,
তোমরা তার বুকে একেঁ দাও চিরায়ত সংগ্রামের সচিত্র প্রতিবেদন।