তারাদের উজ্জ্বলতায় যখন বৈচিত্র্য আসে, অর্থাৎ রকমফের দেখা যায়, তখন মনে হয় তারা বুঝি ঝকমক করছে।
“টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর…”
কিন্তু তারাদের এমন টুইঙ্কলিংয়ের কারণ কী?
মূলত, তারাদের উজ্জ্বলতায় যখন বৈচিত্র্য আসে, অর্থাৎ রকমফের দেখা যায়, তখন মনে হয় তারা বুঝি ঝকমক করছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকে আখ্যায়িত করেন বায়ুমণ্ডলীয় স্ফূলিঙ্গ হিসেবে। বায়ুমণ্ডলের গতিই এর কারণ।
বিশেষত, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রায় পরিবর্তনের কারণে বায়ুর ঘনত্ব কমবেশি ওঠানামা করে। তারার আলো যখন বায়ুমণ্ডল ভেদ করে আসতে থাকে, এর খানিকটা বিকৃত বা বদলে যাওয়া গতিপথ এক ধরনের টুইঙ্কলিং ইফেক্ট সৃষ্টি করে।
সমতল এলাকা থেকে তারা দেখলে এ ব্যাপারটি আরও বেশি করে বোঝা যায়, কেননা সেখানে বায়ুমণ্ডলের অপেক্ষাকৃত বেশি পুরু স্তর দেখা যায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশ দেখার সময় তারা এ ধরনের ঝকমকানি এড়াতে তাদের সফিস্টিকেটেড টেলিস্কোপে এক ধরনের বিশেষ অ্যাডাপ্টিভ অপটিকস ব্যবহার করে।
হাবলের মতো অবজার্ভেটরিগুলোও আমাদেরকে ঝকমকানি ছাড়াই তারকারাজি ও অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তু দেখার সুযোগ দেয়।
- সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস