শাহীন কামাল ।।
লকডাউন সেই যাচ্ছি যাচ্ছি করেও
আসন পেতেছে ময়ুর সিংহাসনে
উজির নাজিরের পাকাপোক্ত মসনদে
রোজ নিত্য ফরমান,
ভ্যারিয়েন্টের ভয়ে দিগভ্রান্ত।
হাভাতে শ্রমিকরা কাজে গেছে-
হ্যামিলনের বাঁশিতে যে এখন
ভাতের গন্ধ আসে,
পাখা গজালো পীপিলিকা
বাঁচতে ছুটে –
ক্ষুধা কী ভাইরাস চিনে, বল?
পোয়াতি বউটার মুখে খাবার দিতে
পুলিশের লাঠিপেটা খায় ছমিরুদ্দিন-
রিকশার প্যাডেলে ঘোরে
ছয়জনের সংসার।
স্বপ্নেবিভোর যুবকের চোখে
গোরের অন্ধকার,
পিতার চোখে অনিশ্চয়তার
কালো পঙতি পড়ে বুকফাটা আর্তনাদে,
আগামীর আলোয় পথ চলে।
তিনশত তেত্রিশে ফোন করে
খাবার আনে তিনবেলা উপোস করা মধ্যবিত্ত,
বাড়ির কাজের লোককে বিদায় করেছে
মাস ছয়েক আগে।
অদৃশ্যের কাছে হাত পেতে
আঁধারে আলো খুঁজতে খুঁজতে
নির্মল সকাল দেখে।