চীনের জাতীয়তাবাদী সরকার কর্তৃক গণহত্যা
একনায়কতন্ত্রের জের ধরে ইতিহাসের সবচাইতে বড় গণহত্যার একটি নজির স্থাপনের জন্য চীনের জাতীয়তাবাদী সরকারকে দায়ী করা হয়ে থাকে। বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রুডলফ রুমেলের হিসেব মতে, প্রায় ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮৫ লাখ গণহত্যার পেছনে চীনের এই জাতীয়তাবাদী সরকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি এই গণহত্যার কিছু কারণ অনুসন্ধান করেছিলেন। প্রায় ১০ লাখ চীনা নাগরিককে অনাহারী করে রাখা হয়েছিল এবং হত্যা করা হয়েছিল চীনা কম্যুনিজম উৎখাতের লক্ষ্যে।
চীনা কম্যুনিস্ট এবং সাধারণ চাষীরা রাজনৈতিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন ব্যাপকভাবে। চীনা জাতীয়তাবাদী সরকারের ক্ষমতাবান সরকারি কর্মকর্তারা নিজের লাভের জন্য, গরিব চাষিদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করে দিত। এই কারণে চীনে প্রায় ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২০ লক্ষ মানুষ ক্ষুধার্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল [1928-1946]। চীনা জাতীয়তাবাদী দল নির্বিচারে এবং জোরপূর্বক সাধারণ জনগণকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। এই কর্মযজ্ঞ চলাকালে প্রায় ৪২ লাখ চীনা নাগরিক যুদ্ধে যাওয়ার আগেই ক্ষুধা এবং অসুখে মারা গিয়েছিল। জাপানের উন্নতির ধারা ঠেকানোর জন্য চীনা জাতীয়তাবাদী দল উদ্দেশ্যমূলক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিল প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৮ লাখ ৯৩ হাজার বেসামরিক চীনা নগরিকের জীবন! [সরোয়ার চৌধুরী: স্বৈরশাসনের অধীনে পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত ১০ গণহত্যা, রোয়ার বাংলা, সংগৃহীত: ০১ আগস্ট ২০১৯]
তালিকা করে নারী সেনাদের ধর্ষণ করে মার্কিন নৌসেনারা
নারী সহকর্মীদের কীভাবে ধর্ষণ করা হবে, কাকে আগে, কাকে পরে-তারই এক বিস্তারিত তালিকা তৈরি করেছিল মার্কিন নৌসেনারা। সেই সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে এভাবেই যৌন হয়রানি করে আসছিল। সম্প্রতি জর্জিয়ায় মোতায়েন ইউএসএস ফ্লোরিডা নামের এক সাবমেরিন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই তালিকা। ৩২ জন নারী কর্মীর নামের পাশে তারকা চিহ্ন দিয়ে তাদেরকে ধর্ষণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এ তালিকা হালনাগাদ করত সেনারা।[দৈনিক যুগান্তর, ২১ মে ২০১৯, বারিধারা, ঢাকা]
জয় শ্রীরাম না বলায় মুসলিম কিশোরকে পুড়িয়ে হত্যা
ভারতের উত্তরপ্রদেশে জয় শ্রীরাম না বলায় ১৭ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে কট্টরপন্থী হিন্দুরা। রাজ্যের চানদেউলি জেলায় রোববার রাতে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় ৬০ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে ওই কিশোর সাংবাদিকদের সেই বর্বরতার বর্ণনা দিয়ে যায়। সে জানায়, রোববার রাতে দুধারি সেতু পার হওয়ার সময় চারজন লোক তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলে। সে নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিলে তারা তাকে অপহরণ করে।
এদের মধ্যে দুজন তার হাত বেঁধে ফেলে, একজন গায়ে কেরোসিন ঢালে এবং আরেকজন গায়ে দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে জয় শ্রীরাম বলতে বলতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। [দৈনিক যুগান্তর, ৩০ জুলাই ২০১৯, বারিধারা, ঢাকা]
চলবে …