ড. মিজান রহমান । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি অর্জন করে বর্তমানে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নটরডেম কলেজে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন । নটরডেম কলেজের সিংহভাগ সৃজনশীল কার্যক্রমের মধ্যমণি তিনি।
তরুণ ফোকলোরবিদ, প্রাবন্ধিক ও লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক কবি মিজান রহমান একজন শেকড়সন্ধানী পরিশ্রমী গবেষক । তাঁর গবেষণার সীমানায় রয়েছে জাতীয় ও আঞ্চলিক ইতিহাস ঐতিহ্যের সন্ধান ও লোকসংস্কৃতির নানামুখী অনুসন্ধান ।
এবং জীবনানন্দ, ক্ষয়ে যায় বোধের শরীর, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস, বরিশাল পিডিয়া, স্বরূপকাঠির ইতিহাস ও ঐতিহ্য, মাড়াই ধানের ঘ্রাণ, জাগরণের কবি মুকুন্দদাস, বৃহত্তর বরিশালের লোকসংস্কৃতি, বৃহত্তর বরিশালের লোকসাহিত্য ১ম ও ২য় খন্ড, বরিশালের লোকনাটক : বিষয় ও পরিবেশনা, ফোকলোর তত্ত্ব ও বাংলা লোকসাহিত্য, বাংলাদেশে লিটল ম্যাগাজিন চর্চা : অতীত ও বর্তমান, কামিনী রায় : জীবন ও সাহিত্য, চর্যাপদ : পাঠ ও মূল্যায়ন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সহ গবেষণা ও সম্পাদনা নিয়ে এ পর্যন্ত ড. মিজান রহমান এর ৪৫টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত বাংলাপিডিয়ার লেখক এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা প্রকল্পের লোকসংস্কৃতি ও প্রবাদ প্রবচন গ্রন্থদুটির সহকারী গবেষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন ড. মিজান রহমান ।
পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির বরেণ্য সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ মজিবর রহমানের সুযোগ্য সন্তান কবি মিজান রহমান, বাঙলা সমিতি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা এলামনাই ও জাতিসংঘ সমিতি বাংলাদেশের জীবন সদস্য । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের কিংবদন্তী অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের প্রগাঢ় স্নেহধন্য কবি মিজান রহমান অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পাদনা করেছেন সাহিত্য পত্রিকা ‘লোকায়ত’ ও ‘কর্ষণ’ ।
সৃজনশীল ভাবনার মুখপত্র লিটল ম্যাগাজিন ‘কর্ষণ’ সম্পাদনার জন্য পেয়েছেন রোদসী সম্মাননা পদক ২০০৪ । মৌলিক গবেষণা ও লেখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন সময়ে অর্জন করেছেন- বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন বেস্ট বুক এওয়ার্ড ২০০৭, জীবনানন্দ পদক ২০১৫, নতুনমুখ সাহিত্য সম্মাননা ২০১৯, ম্যাজিক লণ্ঠন ৭১৬ তম আড্ডার কবি সম্মাননা ২০১৯ ইত্যাদি । দেশের মূলধারার সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ভাষাপ্রকাশের সত্ত্বাধিকারী ড. মিজান রহমান, ডক্টর’স প্রকাশন নামের একটি পুস্তকপ্রকাশনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞানবিজ্ঞানের নৈমিত্তিক বিকাশেও রেখে যাচ্ছেন যারপরনাই অবদান । দেশের আরেকটি নামজাদা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘কথাপ্রকাশ’ কবি মিজান রহমানের হাত দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ।
লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলন, ইতিহাস চর্চা, মৌলিক কাব্যকর্ম, লোকজ সাহিত্য সংস্কৃতির গবেষণা, পেশাগত অধ্যাপনা, সৃজনশীল সমাজকর্ম- যেখানেই হাত দিয়েছেন ড. মিজান রহমান, সেখানেই সুফল ফলেছে । নদীমাতৃক বরিশালের এই গুণী গবেষক প্রকাশক কবি মিজান রহমান- অব্যাহত সাফল্যের মুন্শীয়ানায় জীবনসায়রের বহুদুর পাড়ি দেবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস, ওয়াকিবহাল সুধীমহলের।
উনার বিয়ে হয়েছে?
হলেও সন্তান সন্ততি আছে?