বিষফোঁড়া

মিনহাজ সাদ্দাম ।। 
.
জীবনে চলার পথে- পায়ের প্রতিটি কদমেই
এক একটি শিক্ষার মাধ্যম হয় যে পেরোতে,
অন্যের চরিত্রের প্রকাশে আর নিজের চোখের দেখাতে,
কেবল হয় শিক্ষা নিতে আর হয় শেখাতে !
.
চরম শিক্ষা দেয়া ও নেয়ায়, সে হয় যদি হাওলাত
নেয়ার সময় আকুতি মিনতি দেয়ার বেলায় কুপোকাত,
নানান বাহানা তৈরি সেথায়, একটু চাপেই মুখ ভার
প্রজা সেজে নিলো তখন, চাওয়ায় সম্মানে লাগে তাঁর  ।
.
সম্পর্ক গুলো নষ্টই হয়- আবার এই অর্থে
তবুও হয় দিতে হাওলাত অসহায়দের স্বার্থে,
বিবেক দিয়ে যদি করি সব কিছুর বিচার
নিজের দ্বারা হয়না তবে কারোর অন্যায়ের প্রচার।
.
সম্মান যখন বেশি দেয়া হয় অপাত্রের তরে
অহংকার ঘিরে ধরে সেই অসম্মানির ঘরে,
পাঁ তখন মাটিতে থাকেনা উড়ে আকাশের উপরে
ভাবের সাগরে তার মূর্খ বিবেক হাবুডুবু করে।
.
আঢ় চোখে চায় দেখলে আলো, ভালো কাজে দেয় বাঁধা
ফন্দি আঁটে সারাদিন ক্ষণ কারে ছিটাবে কাঁদা,
মন্দমনে ভাবে সারাক্ষণ কার করা যায় ক্ষতি
সুযোগ সন্ধানে তার হিংসুক মন সকল ভালোর প্রতি।
.
নেতার সাথে থেকে কেউবা ভাবে নিজেকে নেতা
মহল্লাতে তার দাপটে জীবন সবার তেতা,
নেতার চামচামী করা প্রসঙ্গে তুলে ছবি তায়
ব্যানার ছাপিয়ে লিখে দেয় তাতে –
নেতার সাথে একান্ত আলোচনায় !
.
নিজের কিছু করার যোগ্যতা নাই সমাজেরই তরে
নেতার আশ্রয়ে থেকে তিনি দাপটের অহংকারে মরে,
ওরে বোকা- বাদ-দে ধোকা- নিজেই কিছু কর
নেতার পরিচয়ে না থেকে নিজ পরিচয় গড়।
.
এক সময়ের অনাহারী পেঠে থাকতো না ভাত
চেয়ে খেয়ে দিন পেরোতো সয়ে হাজার সংঘাত,
দিনের স্রোতে অন্যের দয়ায় যেই দেখেছে আলো
আর মনে নেই বেহাল দশায় কে পেয়েছে ভালো।
.
যার সাহায্যে দিন ফিরলো তাকেই দেখায় আঙুল
সেই ঘাড়েতেই দু’পা চেপে ধরিয়ে দেয় তার ভুল,
দিন পাল্টালে রয় না মনে, কে তখন ছিল পাশে
উপকারের প্রতিদান হয় আঁশ ছোলা বাঁশে ।
.
খারাপ সময় যায় যে চেনা কাছের প্রিয় বন্ধু
সুসময়ে ছিল যে পাশে কারণ অকারণে শুধু,
বিপদ যখন ঘিরে ধরে তাদের বুদ্ধির কুফলে
পাশে তখন কেউ থাকেনা স্বার্থটা ফুরালে।
.
জমিজমা আত্মীয় চেনায় স্বার্থে যখন লাগে টান
ঠকিয়ে খাওয়ার ধান্দা খুঁজে দূর্বল আছে যে জন,
মুখে সারাক্ষণ ইমানের আলাপ কাজে যেন শয়তান
বছর বছর আইল ঠেলে জমি বাড়ানোর থাকে ধ্যান।
.
এমন মানুষ জাতির দুশমন সমাজের বিষফোঁড়া
বিবেকের কাছে নিজেকে সারাক্ষণ রাখে বস্ত্রহারা,
নিচ মানুষিকতার চরিত্র প্রকাশ পায় তার আচরণে
ভালো হওয়ার অভিনয়ে শুধু টুপি-পৈতা পরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *