ভারতীয় সাংবাদিক মৃদুল দে লিখেছেন,
‘ভারতে ১৭৩০ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে অর্থাৎ প্রায় দুশো বছরে ৩৯টি দাঙ্গা হয়েছে। মুলত ২৮ টি উত্তর ভারতের শহরেই। কিন্তু ১৯২৫ সাল থেকে ১৯২৭ সালের মধ্যে অর্থাৎ দুই বছরে ১০১ টি দাঙ্গা হয়েছে। … –১৯৫৩ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে ৬৩০ টি দাঙ্গা হয়েছে, বছরে ৩৮টি। ১৯৬৯ সালে ৫১৯টি, ১৯৭০ সালে ৫২১ টি, ১৯৮০ সালে ৪২৭ টি, ১৯৮২ সালে ৪৭৪টি, ১৯৮৬ সালে ৭৬৪টি, ১৯৮৮ সালে ৬১১টি দাঙ্গা হয়েছে। প্রতি বছরেই চারশোর বেশি দাঙ্গার ঘটনা ঘটে চলেছে। ১৯৯০ এর দশকে দাঙ্গার ব্যাপকতা বেড়েছে। বিশেষত বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার পর থেকে।—’১
২০০৫ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ভারতের সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে বলা হয়,
‘ভারতে সংখ্যালঘুরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। কংগ্রেসম্যান হডলফাস টাউন্স বলেন, ভারতে সুন্দর একটি সংবিধান আছে। কিন্তু স্বাধীন ৫৮ বছরেও সেই সংবিধানের সুন্দর সুন্দর বাক্যগুলোকে কার্যকরী হতে দেখা যায় নি। ভারতীয় সংবিধানে কোনো শিখ সদস্য স্বাক্ষর করে নি।… ’ ২
আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি এম. এ. মোহাইমেন বলেছেন,
‘দেশ বিভাগের সময় (১৯৪৭ সালে) কংগ্রেস এবং লীগ নেতারা প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন যে, তারা নিজ ভূখন্ডে সংখ্যালঘুদের পূর্ণমাত্রায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার তাদের ওয়াদা পুরোপুরি রক্ষা করেছে। পাকিস্তান হওয়ার পর শুধু ১৯৫০ সাল ও ১৯৬৪ সালে মাত্র দু’বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিলো। আর ভারতে গত ৬০ বছরে কয়েক হাজারবার সম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। তাতে কয়েক লক্ষ মুসলমান এ যাবত নিহত হয়েছে’।৩
হদিস:
১. মৃদুল দে: প্যালেস্টাইন ও গুজরাতের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়–?/সূত্র–ভারতে মুসলিম নির্যাতন–মুহাম্মদ সিদ্দিক, ঢাকা পাবলিকেশন্স, প্রথম প্রকাশ ২০১১, পৃষ্ঠা ২২৬–২২৭
২. এনা/দৈনিক ইনকিলাব, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
৩. আবদুল মোহাইমেন: ইতিহাসের আলোকে দেশবিভাগ, পাইওনিয়ার পাবলিকেশন্স, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মাতিঝিল ঢাকা–১০০০, প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ইং, পৃষ্ঠা ২৪৫