মোঃ জাহিদ হোসেন:
ভালো মানুষ হতে চাই
যাতে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পায়।
ভালো মানুষ হতে চাই
যাতে সাহায্য করতে পারি
গরিব দুঃখকে তাই।
থাকি না আমি যেই পেশাতেই
ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার
কাজ করব দেশের জন্য
যাতে দুঃখ দূর হয় সবার।
একজন শিশু জন্ম গ্রহণের সাথে সাথে তার পরিবারের সকল সদস্যের একটা স্বপ্ন তৈরি হয়। সাথে সাথে তা প্রকাশ না হলেও কিছুদিন পর যখন শিশুটি ‘অ’ ‘আ‘ ‘ক‘ ‘খ’ শুরু করে বর্ন শিখানো পাশাপাশি মনের মধ্যে এক ধরনের স্বপ্নের জাল বুনতে থাকেন। সবাই ভাবে মেয়ে হলে ডাক্তার আর ছেলে হলে ইঞ্জিনিয়ার হবে! সাধারণত খুব কম বাবা-মা ই এই ভাবনা কে প্রাধান্য দেয়, সব বাবা-মা যে এমন তা কিন্তু নয়। মানুষের অল্প সংখ্যক কথা বলেছি।যাদের কারণে অনেক মেধাবী তরুন তরুনীরা অল্পতে ঝরে পড়ে। আমরা ছোটবেলা থেকেই, বইয়ের পাতায় কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা পড়ি, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি কথা হলো ”পরিবারই শিক্ষার প্রধান স্তর ”। যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি বলা হয়, তোমাকে সবার আগে হতে হবে একজন একজন ভালো মানুষ, তাহলে বোধ হয় আমাদের দেশে এই সমাজ ব্যবস্থায় ডাক্তার ইন্জিনিয়ার কম থাকলেও ভালো মানুষের সংখ্যা বেশী হতো।
একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে কোনো মানুষ এমনিতে গড়ে উঠে না। হ্যাঁ, মা-বাবা তার শিশুকে শেখান সদা সত্য কথা বলতে, সৎ পথে চলতে কিন্তু খুব কম মানুষই পরবর্তীতে তা মেনে চলে, কারণ তার আশে পাশের পরিবেশ তাকে হিংস্র করে তোলে, কিন্তু একজন মা অথবা বাবার দায়িত্ব কি এখানেই শেষ?
সবাই হয়তো পরীক্ষার খাতা ষষ্ঠ দশম শ্রেণী পর্যন্ত এই সম্প্রসারণ লেখা কিন্তু মেনে চলে, তাহলে কি শিক্ষার কোন দাম আছে? যদি শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হয়, তুমি জীবনে কি হতে চাও? উত্তরে সে বলবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। কোন শিক্ষার্থীই বলবে না আমি মানুষ হতে চাই।
মোঃ জাহিদ হোসেন।
শিক্ষার্থী: বরিশাল মেট্রোপলিটন কলেজে।