ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ ফিরোজ আলম

আযাদ আলাউদ্দীন ।।
ভোলা জেলার সকল মাদরাসা শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন মোঃ ফিরোজ আলম। তিনি লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মোঃ ফিরোজ আলম ১৯৯৪ সালে সরকারি বিএম কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স এবং ১৯৯৫ সালে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে হাদীস ও ফেকাহ বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ন হয়ে শীর্ষ ১০ মেধাতালিকায় স্থান পান।
বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি শেকড় সাহিত্য সংসদের একজন সক্রিয় সংগঠক হিসেবে সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত ছিলেন। তিনি ফিরোজ মাহমুদ নামে লেখালেখি করছেন। তাছাড়া সাহিত্য পত্রিকা শেকড়, মেঘনা ও উৎস’র সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ ‘শোকার্ত ঘ্রাণ’ সাহিত্য পাঠক মহলে ব্যাপক আলোচিত হয়।

বর্তমানে তিনি বরিশাল থেকে প্রকাশিত দ্বি-মাসিক মুক্তবুলি পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে সংযুক্ত রয়েছেন।

গণমুখী ও শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষক মোঃ ফিরোজ আলম বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন দাখিল, আলিম ও ফাজিল ক্লাশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক অন্তত ২০ টি বই রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৩ সাল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে লাললমোহনের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের ক্বিরাত, হামদ ও না’ত বিষয়ে লাললমোহন উপজেলা পর্যায়ের বিচারক তিনি।

মো. ফিরোজ আলম বরিশাল মেট্রোপলিটন কলেজের নির্বাহী পরিচালক, কুঞ্জেরহাট গ্রাজুয়েট কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান, ভোলার আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল হিকমাহ রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদরাসার চেয়ারম্যান ও ভোলার মোহনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত রয়েছেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ এবং ২০২৩ মাদরাসা ক্যাটাগরিতে সার্বিক দিক মূল্যায়ন করে লালমোহন উপজেলা মূল্যায়ন কমিটি তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত করেন।

সর্বশেষ তিনি ভোলা জেলার ৭ উপজেলা থেকে আগত ৭ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মধ্যে নিজ প্রতিভার সাক্ষর রেখে বিচারকদের সার্বিক বিবেচনায় ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *