মুক্তবুলি প্রতিবেদক ।।
সাংবাদিকতায় সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি) পদক পেয়েছেন দৈনিক নয়া দিগন্তের বরিশাল ব্যুরো চিফ আযাদ আলাউদ্দীন। প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম সানাউল্লাহ নূরী স্মরণে এই পদক প্রদান করা হয়। ১২ মে শুক্রবার ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল লাইভে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিএনসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএনসির সভাপতি শিশু সংগঠক অ্যাডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে দুবাই থেকে অংশগ্রহণ করেন আহমাদুর রহমান। আযাদ আলাউদ্দীন ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সিএনসি পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। তাদের মধ্যে মাওলানা আবদুর রহিম স্মরণে পদক পান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল আউয়াল। সাহিত্যিক ও গবেষক অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান স্মরণে পদক পান কবি তাসরিন প্রধান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিএনসির মিডিয়া এক্সিকিউটিভ ইসমাইল হোসেন।
পরিচিতি
আযাদ আলাউদ্দীনের জন্ম ১৯৮২ সালের ০১ মার্চ ভোলা জেলায়। বাবা মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল খালেক ছিলেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মির্জাকালু ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, মা নজিফা খাতুন গৃহিনী। বর্তমানে তিনি বরিশাল নগরীর স্থায়ী বাসিন্দা।
পড়ালেখা করেছেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের বাংলা বিভাগে। অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করে সাংবাদিকতাকেই মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। কাজ করেছেন বরিশালের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার বার্তাসম্পাদক হিসেবে। বৈশাখী ও দিগন্ত টেলিভিশনেও কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে দৈনিক নয়াদিগন্ত’র বরিশাল ব্যুরো চিফ হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও বরিশাল মেট্রোপলিন কলেজের চেয়ারম্যান এবং বরিশালের আইটি প্রতিষ্ঠান ‘সাতরং সিস্টেমস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং সাংবাদিকতার সাথে সংযুক্ত রয়েছেন আযাদ আলাউদ্দীন। ছিলেন- বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক। বর্তমানে বরিশাল সংস্কৃতিকন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বরিশাল থেকে নিয়মিত প্রকাশ হওয়া ম্যাগাজিন ‘মুক্তবুলি’র প্রকাশক ও সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন। ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় দেশজ প্রকাশন থেকে ‘সাংবাদিকতার বাঁকে বাঁকে’ নামে তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দিন সুস্থধারার একজন লেখক ও সাংবাদিক। দক্ষিনাঞ্চলের নবীন সাংবাদিকদের তিনি একজন পথপ্রদর্শক। তার লেখায় ও কর্মে উদীয়মান সালবাদিকদের তিনি জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছে। আমি তার ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করছি।