মুক্তবুলি ডেস্ক ।।
এটি রূপা বা লোহার মতো অক্সিডাইজ করে না (কালচে হয়ে যাওয়া)। সময়ের সাথে সাথে গোল্ড কয়েনের ওজন কমে না কিংবা বাড়ে না। সোনা ও সোনার তৈরি অলঙ্কার বা শৌখিন জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও মুগ্ধতা চিরন্তন। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন সময় সোনাকে দেখা হয়েছে শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে; সেই সাথে এটি সম্পদ-অর্থবিত্তের প্রতীকও বটে! সবাই চায়, সামান্য পরিমাণ স্বর্ণ হলেও নিজের কাছে রাখতে।
এদিকে দিনদিন বাজারে স্বর্ণের দামও হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সোনালিরঙা এই উজ্জ্বল ধাতুটির দাম কেন এত বেশি? কেন আমাদের কাছে সোনার এত আবেদন?
আসলে ‘স্বর্ণ’ ধাতুটির মধ্যেই রয়েছে এমন কিছু বস্তুর সংমিশ্রণ যা এটিকে বিরল বৈশিষ্ট্য এবং মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহারযোগ্যতা দিয়েছে। মাটির নিচে যেসকল খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়, তার সহজলভ্যতা ও আহরণের হিসেবেও স্বর্ণ অত্যন্ত বিরল। তাই প্রতি বছর খুব কম স্বর্ণ উত্তোলন করা সম্ভব হয়।
তাছাড়া স্বর্ণ একটি অবিক্রিয়াশীল পদার্থ এবং এটি রূপা বা লোহার মতো অক্সিডাইজ করে না (কালচে হয়ে যাওয়া)। তাই সময়ের সাথে সাথে গোল্ড কয়েনের (সোনার মুদ্রা) ওজন কমে না কিংবা বাড়ে না। অ্যালুমিনিয়াম, রূপা, প্লাটিনামের মতো ধাতুগুলো দেখতে প্রায় একই রকম হলেও; সোনা হলুদ রঙয়ের। তাই এটি দেখার সাথে সাথেই চেনা যায়।
স্বর্ণের আকর্ষণীয় জৌলুসের কারণেও এটি গয়না বানানোর আদর্শ উপকরণ। সোনার নমনীয়তার ফলে এটি সহজে গলানো যায় এবং ছাঁচে ফেলে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া যায়। আর এত সব বিরল বৈশিষ্ট্য যখন আছে, তখন দামটা তো চড়া হবেই বৈকি!
সূত্র- হাউ ইট ওয়ার্কস