কুরবানি

মো: আবুল কালাম আজাদ ।।

কুরবানি মানে নহে আনন্দ গোশ্ত পোলাও রুটি,
কুরবনি মানে ত্যাগের মহিমা হৃদয়ে উঠুক ফুটি।

কুরবানি মানে নহে বিলাসিতা অর্থের বাহাদুরি,
কুরবানি মানে মুছে যাক সব অন্যায় জোচ্চুরি।

ইব্রাহিম খলিল নবি যখন সপ্নাদিষ্ট হয়ে,
পুত্রকে কুরবানি দিতে উদ্যত নির্ভয়ে।

ইসমাঈলের কন্ঠে সহসা চালিয়ে দিলেন ছুরি,
কেঁপে উঠলো আকাশ বাতাস প্রভুর আরশপুরী।

দয়াময় প্রভু বললেন ডেকে ‘শোন হে বন্ধু শোন,
স্বপ্নরে তুমি সত্যি করেছ, সন্দেহ নেই কোন’।

বেহেশত হতে একটি দুম্বা ফিরিশতা জিব্রিল,
সেথা দিলেন শোয়ায়ে- তখন মুক্ত ইসমাঈল।

কুরবানি হল সেই সে দুম্বা মহা প্রভুর ইচ্ছাতে,
কুল মাখলুক খুশির আবেশে লুটে পড়ে সিজদাতে।

দিতে কুমন্ত্র ইবলিছ সেথা এসেছিল সেই ক্ষণে,
বিতারিত হল নাজেহাল হয়ে প্রস্তর বরিষণে।

পিতা-পুত্রের অমর ত্যাগের কাব্য রচিত হল,
সারা জাহানে এমন নযীর কোথা পাবে তুমি বল?

সেই থেকে হল কুরবানি শুরু মুসলিম দুনিয়াতে,
মুমিনেরা তাই কুরবানি দেয় প্রভুর দিদার পেতে।

ভোগের নহে গো ত্যাগের শিক্ষা নিয়ে আসে কুরবানি,
মুমিন-হৃদয়ে এনে দেয় সে যে ঈমানের ঝলকানি।

Next Barisal banner ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *